গল্প:(অমিল )পর্ব -২

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago
২০ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৫ ই মার্চ ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।


আজ রোজ মঙ্গলবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ



প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।অনেক ইচ্ছে হল একটি গল্প লিখার জন্য তাই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে বসে পরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

candles-1645551_1280.jpg

>যাই হোক পাল্লারে যেতেই হলো।কাবিন তো তাই খুব বেশি মেহমান আসেনি। কিছুক্ষন পর ছেলে পক্ষও আসলো অল্প কিছু জিনিস পএ নিয়ে,এই যেমন দুইটা শাড়ি, কিছু কসমেটিক আর একটা নাকের ফুল ইত্যাদি। তাদের আবদার এভাবে খাওয়াতে হবে ঐভাবে খাওয়াতে হবে এতজন মানুষ আসবে। বিয়ে পড়ানোর সময় মেয়ের হাতে টাকা দেওয়া লাগে, খুব কম টাকা দিলো কিন্তু মানুষকে শুনালো অনেক টাকা দিয়েছে। নাভানাতো খুব অবাক এরা খুব মিথ্যা কথা বলে তারউপর ছেলের ভাই এবং কাজিনকে কেন পাঞ্জাবি দিলো না এই নিয়েও কথা তারা কানাকানি করছে।


যাই হোক এতকিছুর মাঝে কাবিন হয়ে গেলো যদিও মেয়েটা মন থেকে মানতে পারেনি তারপর ও সমাজ আর মা বাবার জন্য সংসার টা করবে সিদ্ধান্ত নিলো।কাবিন হয়ে গেলো তারপর মেয়েটা তার বাবার বাড়িতেই থাকে কারন অনুষ্ঠান হয়নি বলে কিংবা উঠিয়ে নেয়নি বলে।তবে মাঝে মাঝে জামাই এর সাথে জামাই এর বাড়ি যেত আবার দিনে দিনে ফিরে আসতো।


তাতে ও ছেলের মায়ের সমস্যা মানুষ নাকি হাসাহাসি করে শশুর বাড়ি ঘন ঘন আসলে তখন মেয়েটি কিছুই বললো না কারন তার স্বামী সামনেই ছিলো এই কথা শুনে সেই ও কোন কিছুই বললো না।কিন্তু মেয়েটার বেশ রাগ হলো কেন তার স্বামী কিছুই বললো না।যাই হোক মেয়েটি তাদের বাসায় চলে আসলো আর বললো অনুষ্ঠান হওয়ার আগে আর কখনই ছেলের বাড়িতে যাবে না।যাই হোক এভাবে সময় কেটে যাচ্ছে ।



মেয়ে তখন ভার্সিটির শেষের দিকে যখনই পরীক্ষা আসে অর্থাৎ টাকা জমা দেওয়ার সময় আসে তখনই ছেলের মা মেয়ের বাবাকে ফোব দিয়ে বলতো তারা তাদের ছেলের উপর নির্ভরশীল, আরো নানা কথা।কিন্তু এই কথা কেন বলতো সেটা বুঝতে পারিনি মেয়ের বাবা।পরে একদিন বুঝতে পারে মেয়ের যেন পড়ার খরচ চালাতে না হয় তাই আগে থাকতে ছেলের মা এই কথা বলে।

তারপর মেয়েরও পড়াশুনা প্রায় শেষের দিকে ঠিক তখনই অনুষ্ঠান করার কথা।মেয়ের বাসায় ছেলের বাসা থেকে অনেক জন লোক আসবে কিন্তু মেয়ের বাসা থেকে ছেলের বাসায় কেউ খেতে পারবে না।তারপর অল্প কিছু গয়না দিবে,যাই মেয়ের বাবা মেয়ের সুখের জন্য সবগুলো শর্তে রাজি হয়।

তারপর অনুষ্ঠানের দিন ঠিক হলো মেয়ের বেশ ইচ্ছে ছিলো বিয়ের শপিং সে সহ যেন করে কিন্তু কিসের কি তারা রাজি হয় না।অনুষ্ঠান হলো আবারও ছেলেপক্ষ মেয়ে পক্ষদের বাসায় এসে ঝামেলা তৈরি করলো খাবার ঠান্ডা হলো কেন আরো কত কি।যাই হোক কোন রকম উঠিয়ে নিয়ে গেলো যাওয়া মাএই যে ঘরে মেয়েকে থাকতে দিলো সেই ঘরের মশারী, চাদর,বালিশ, কাঁথা নিয়ে গেলো পরে মেয়ে র বাসা থেকে যখন আনলো তখন সব বিছিয়ে নিলো।


মেয়েটি সহজ সরল মনে নিজের সকল গোল্ড শাশুড়ীর হাতো তুলো দিলো স্বামীর মাধ্যমে এমনকি গিফট পাওয়া গুলো,কারন সে তখনও ভার্সিটিতে ক্লাস করতো তাই সেফটির জন্য শাশুড়ীর লাছে রাখতে দিলো যে যখন পড়তে ইচ্ছে করবে চেয়ে নিবে।


সমবয়সী ননদের সাথে কথা বলতে যায় কিন্তু রেসটিকশন কথা বলতে দেয় না,সারাক্ষণ একা ঘরে কারো সাথে মিশতে দেয়া না, স্বামীকে বললে সে পাওা ও দেয় না এমনকি মেন্টালি সার্পোট ও দেয় না।

যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

device Galaxy A13
LocationDhaka

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 4 months ago 

আপনার গল্পের আগের পর্বটা ও পড়েছিল। আসলে এমন সব নিয়ম কানুন আসলে কোন মেয়ে মানতে চায় না।তবে মেয়েটা যেহেতু রাজি ছিল না তাই বাবা মার বিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।তারপর যেহেতু স্বামী ও তার কথা শোনছে না দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

 4 months ago 

অমিল গল্পটার প্রথম পর্ব না পড়া হলেও, এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে যেমন ভালো লেগেছে, তেমনি খারাপ লেগেছে অনেক বেশি। মেয়েটার শাশুড়ি এবং মেয়েটার স্বামী তো দেখছি খুবই খারাপ। বিয়ে করার পর অনেক শর্ত দিয়েছিল এবং কি অনেকদিন পর্যন্ত মেয়েকে বাবার বাড়িতেই রেখে দিয়েছিল। আর দেখছি মেয়েটাকে কারো সাথে মিশতেও দিত না তুলে নিয়ে যাওয়ার পর। এবং কি কখনো মেন্টালি সাপোর্ট দিবেনা। এখন দেখা যাক মেয়েটার জীবনে কি হয়। পরবর্তী পর্ব টা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করবেন।

 4 months ago 

মেয়েটার বাবা মেয়েটার সুখের জন্য তার শাশুড়ির দেওয়া প্রত্যেকটা শর্ত মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তবুও তার শাশুড়ি এবং তার স্বামী সন্তুষ্টি অর্জন করেনি। তার শাশুড়ি তাকে অনেক রকমের কথা বলত। আর যেকোনো কিছু তাদের জন্য আয়োজন করলে, তারপরও তারা সেটার একটা না একটা খুঁত অবশ্যই ধরতো। আবার তারা মেয়ের বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করবে, কিন্তু মেয়ের বাড়ির লোকজনকে নিজেদের বাড়িতে খাওয়ানোর জন্য বারণ করে দিয়েছে। এগুলো শুনে তো আমার মাথাই খারাপ হয়ে গিয়েছে। মেয়েটার জীবনের পরবর্তীতে কি হতে চলেছে এটা জানার ইচ্ছেটা রয়ে গিয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়ি জানতে পারবো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58132.39
ETH 3138.08
USDT 1.00
SBD 2.44