সুন্দর ভালোবাসার পরিসমাপ্তি ।শেষ পর্ব -{১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য}

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

২৪ই ডিসেম্বর ২০২২ খৃস্টাব্দ ।

মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে সুন্দর ভালোবাসার পরিসমাপ্তি বাকি অংশ নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পর্বের পোষ্টের কমেন্টে জানতে চাওয়া হয়েছিলো মেয়েটির নাম কি ,মেয়েটির নাম সুপ্তি।

love-g3e9328644_1920.jpg

source

মেয়েটি ডাক্তারের রুম থেকে বেশ মন খারাপ নিয়ে বের হলো। সায়েম ব্যাপারটি বুঝেও না বুঝার ভ্যান করলো,কারণ সে মনে মনে চিন্তা করলে সুপ্তি কে কিছু জিজ্ঞাসা করলে হয়তো কিছু বলবে না ,আর না হয় মন খারাপ করবে। যাই হোক সায়েম সুপ্তি কে বললো চলো আমরা আশে পাশে কোথায়ও বসি ,যদিও সুপ্তি রাজি ছিল না ,তবে সায়েমের রিকোয়েস্টে রাজি হলো। সায়েম সুপ্তিকে বসিয়ে রেখে একটি জুরুরি ফোনের কথা বলে একটু বাহিরে আসলো।

সুপ্তি র অনেক মন খারাপ ছিলো ,তাই তেমন কিছুই বলে নি। সায়েম ওই ফাঁকে ডাক্তারের চেম্বারে যেয়ে ডাক্তারের পারমিশন নিয়ে ভিতরে গেলো ,এবং ডাক্তারের কাছে সুপ্তির সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলো। তখন ডাক্তার আপনি কি হন সুপ্তির,তখন সায়েম বললো ওর খুব ভাল ফ্রেন্ড। তখন ডাক্তার বললো ওর যা সমস্যা তাতে সে কখনো মা হবে কিনা সন্দেহ ,অর্থাৎ অলোকিক কোন ঘটনা ছাড়া। সায়েম এই কথা শুনে মনে হচ্ছে ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। সায়েম ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে সোজা চলে গেলো সুপ্তির কাছে।

দুই জন স্বাভাবিক কথা বলে সায়েম সুপ্তিকে ওর বাসার কাছে রেখে নিজের বাসায় চলে যায়।আস্তে আস্তে সুপ্তিকে সায়েম এড়িয়ে যাওয়া শুরু করলো। সুপ্তি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সায়েম কে জিজ্ঞাসা করলো তুমি আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছ।একদিন সায়েম সুপ্তিকে বলবো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কারণ কি জিজ্ঞাসা করলো ,সুপ্তি কিছুই যখন বলতে চাচ্ছে না তখন সায়েম সব ঘটনা খুলে বললো যে সে সেই দিন ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছিলো,তোমার এত বড় সমস্যা তুমি কেন আমাকে বললে না ,তখন সুপ্তি চুপ করে রইলো।

একদিন সায়েম সুপ্তিকে বলবো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কারণ কি জিজ্ঞাসা করলো ,সুপ্তি কিছুই যখন বলতে চাচ্ছে না তখন সায়েম সব ঘটনা খুলে বললো যে সে সেই দিন ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছিলো,তোমার এত বড় সমস্যা তুমি কেন আমাকে বললে না ,তখন সুপ্তি চুপ করে রইলো।এরপর সায়েম বাসায় চলে এসে ওর মা আর বোনের সাথে সব কথা শেয়ার করলো ,ওর মা বোন শুনে অনেক বুঝলো আবেক দিয়ে কখনো জীবন চলে না।

সায়েম অনেক ভেবে চিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিলো সম্পর্ক টা আর কন্টিনিউ করবে না। একদিন সায়েম সুপ্তিকে দেখা করার জন্য বলে ,তো সুপ্তি ও দেখা করতে চলে আসে। তখন সায়েম সরাসরি বলে দেয় সে আর সম্পর্ক টাকে কন্টিনিউ করবে না। সুপ্তি কথা শুনে অনেক রিকোয়েস্ট করে সায়েম কে ছাড়া সে বাঁচবে না ,কিন্তু সায়েম কোনো কোথায় শুনতে চাচ্ছে না।এর পর থেকে সুপ্তি অনেক ফোন দিতো কথা বলার জন্য ,মাঝে মাঝে সে কথা বলতো ,আবার মাঝে ফোন রিসিভ করতো না।একটা সময় এইভাবেই সুন্দর ভালোবাসার পরিসমাপ্তি ঘটে।

অবশেষে গল্প শেষ হলো , আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।


এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 
খুব ভাল লিখেছেন গল্প। আজ শেষ পর্ব পড়ে খুব খারাপ লাগল। আসলে আপনি গল্পতে লিখলেও বাস্তবে এরকম অনেক ভালোবাসার পরিসমাপ্তি হচ্ছে কেউ মা হতে পারবে না বা কেউ বাবা হতে পারবে না এসব কারণে। এই গল্পে সুপ্তির সাথেও এরকম হয়েছে। তবে সবাই এরকম মাঝপথে ছেড়ে যায় না এবং তা বাস্তবে আমি দেখেছি। আপনি গল্পের সমাপ্তি সুন্দরভাবে টেনেছেন। ধন্যবাদ আপু।
 2 years ago 

এটা ঠিক মাঝপথে ফেলে রেখে যায়,আবার কেউ আছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখে বিপদে আপদে সব সময়ই পাশে থাকে।ধন্যবাদ

 2 years ago 

যদিও আমি আগের পর্ব গুলো পড়তে পারিনি।তবে আজকের শেষ পর্বটি পড়ে খুব কষ্ট হলো। এভাবেই কতো ভালোবাসা শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের আশে পাশে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

গত পর্ব পড়লে আরো বেশি মজা পেতেন আপু।যাই হোক ভাগ্য বলে একটা কথা আছে,তাই হয়ত এমন হলো।

 2 years ago 

আপনার গল্পের বাকি পর্বগুলো পড়িনি। তবে আজকে শেষ পর্বটি পড়লাম বেশ ভালোই লাগলো। আর হ্যাঁ শেষ পর্বটি একটু খারাপও লাগলো। আসলে শুধু গল্পে না বাস্তব জীবনে এরকম রোগের কারণে অনেক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে বাস্তবতাকে ঘিরেই গল্প হয়।যাই হোক শেষ পর্ব আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 2 years ago 

খুবই খারাপ লাগলো আপনার এই গল্পটি পড়ে। আমি যেহেতু আগের পর্বগুলো পড়িনি তাই এত বেশি গল্পটি বুঝিনি। কিন্তু শেষের দিকে যা বুঝলাম তা খুবই খারাপ লেগেছে। আমাদের বাস্তব জীবনে তো এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে। এখনতো গল্পের মাধ্যমে এরকম বাস্তবিক ঘটনা তুলে ধরা হয়। এরকম কিছু কিছু কারণে বেশিরভাগ সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে গল্পের শেষ অংশ পড়লে পুরোপুরি বুঝা যায় না।তবে হ্যা এই সব ঘটনা বাস্তব জীবনে অহরহ ঘটে থাকে। ধন্যবাদ

 2 years ago 

সুপ্তির কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। সত্যি কোন মেয়ে যদি জানতে পারে সে কখনো মা হতে পারবেনা এটার কোন গ্যারান্টি নেই তাহলে তার ভেতরটা একেবারেই ভেঙে যায়। আর সে সময় যদি তার কাছের মানুষ দূরে সরে যায় তাহলে তো আর কিছু বলার নেই। প্রিয় মানুষটি যদি দুঃখ না বোঝে তাহলে কিভাবে ওই মেয়েটি এগিয়ে যাবে। এরকম ঘটনা এখন বেশিরভাগই দেখা যায়। যাই হোক আপনি কিন্তু খুবই ভালো লিখেছেন গল্পটি। এরকম গল্প গুলোর মাধ্যমে অনেক বাস্তবিক সত্যি ঘটনা এবং কথা তুলে ধরা হয়।

 2 years ago 

আসলে বাস্তব এখানে দুই রকম হতে পারতো,এক আজীবন মেয়েটির সাথে থাকতে পারতো,তা না হয় এভাবেই মাঝ পথে চলে যেত।

 2 years ago 

সত্যি বলতে ভালোবাসার মানুষটা মা হতে পারবে না বলে বা ভালোবাসার মানুষটা বাবা হতে পারবে না বলে তাকে ছেড়ে চলে আসাটা আদৌ ভালোবাসা ছিল কিনা সত্যি ভাবার । বাস্তব জীবনে এটা অনেকের সাথেই হয়। আবার অনেকের সাথে এটাও হয় যে সামনের মানুষটা নিজের শারীরিক অক্ষমতার কথা জেনেও একজন মানুষকে ঠকায়।এটাও তো ঠিক নয়।

 2 years ago 

আসলে একেবারে মন থেকে ভালোবেসে শুরু থেকে শেষ অব্দি কয়জনই থাকে বলেন।ভালো খারাপ নিয়েই মানুষ।