লোভে পাপ পাপে মৃত্য।[10% 𝕭𝖊𝖓𝖊𝖋𝖎𝖈𝖎𝖆𝖗𝖎𝖊𝖘 𝖋𝖔𝖗 @𝖘ʜʏ-ғᴏ𝖝🦊]
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৫ই বৈশাখ, ১৪২৯
২৯ ই এপ্রিল ,২০২২ । আজ রোজ শুক্রবার ।
এখন ষড়ঋতুর গ্রীষ্ম কাল ।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন।আমি ও আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।যদিও বেশ গরম পরেছে।এই গরমে দেখলাম সবাই মোটামুটি অতিষ্ঠ।তার উপরে আমাদের রোজা চলছে,কি যে একটা অবস্থা। মাঝে মাঝে মনে হয় সৃষ্টিকর্তা মনে হয় আমাদের উপর থেকে রহমত উঠিয়ে নিচ্ছে।কারন কাল আমাদের মুসলমানদের একটি বিশেষ রাত ছিলো।এই দিনে মোটামুটি বাহিরের পরিবেশ ঠান্ডা থাকে,এমনি কি গুরি গুরি বৃষ্টি হয়, কিন্তু এ বছর তাও হচ্ছে না।যাই হোক সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।কথা না বারিয়ে প্রতিদিনের মত আমি আজকে হাজির হয়েছি নতুন ব্লগ নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করবো।তো চলুন।

গ্রামের সহজ সরল মধ্যবয়সী মহিলা, নাম তার আনু বেগম।স্বামী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস। স্বামী টুকটাক কাজ করে কোন রকম সংসার চলছে তার।ছেলে ও মেয়েকে পড়াশুনা করাচ্ছে। একটা ভরসা নিয়ে জীবন যাপন করছে ছেলেকে পড়াশুনা করিয়ে, ভালো চাকরি পেলে খুব ভালোভাবে জীবন যাপন করবে।এভাবেই দিনকাল যাচ্ছে।হঠাৎ একদিন মধ্য রাতে একটা ফোন আসলো।কি ভয়ংকর কন্ঠ এবং ভয়ংকর আওয়াজ।যাই হোক আনু বেগমের ফোন দিয়ে বলছে,আমি জিনের বাদশা বলছি,আমাকে এত টাকা দিলে তুমি অনেক টাকার মালিক হবে,আর তোমার ছেলের অনেক বড় চাকরি হবে।আর না দিলে অনেক ক্ষতি হবে।আমি আগেই বলেছিলাম সহজ সরল মানুষ সব বিশ্বাস করলো ভয়ে এখনো কাপচ্ছে।তাদের লোকেশনও বলে দেওয়া হয়েছে,একে বারে শেষ প্রান্তে। কাউকে কিছু না বলে, ৩০,০০০ টাকা ও আরেক বোন নিয়ে রওনা হলো জিনের বাদশাকে টাকা দেওয়ার জন্য। সাথে বেশ খুশি ছেলের চাকরি হবে, তারপর অনেক বড়লোক হবে।জিনের বাদশাকে টাকা দিলে।তারপর হাজির হলো জিনের বাদশার কাছে, উনি টাকা নিয়ে একটা প্যাকেট মুড়ানো কলস দিলো, তারপর বললো এটা স্বনের কলস এখানে না খুলে, বাসায় যেয়ে খুলার জন্য।তারপট তারা খুশি মনে বাসায় এসে, কলস বেশ কয়েকদিন রেখে দিলো না খুলে।বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর দেখে একটি কলস ঠিকই, কিন্তু স্বর্নের না, পিতলে তার মাথায় হাত টাকাগুলো ধার করে নেওয়া । কেমনে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
শেষ কথা এটা যে লোভে পাপ,পাপে মৃত্য।আজ আর লিখবো না। আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
device =samsung SM-A217F
Location = Dhaka
photograpy = story

আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এরপরে রোজায় মানুষ আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর হয়তো দুই একটা দিন এরপর রোজা শেষ করে আমরা হয়তো সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবো। আসলে সহজ সরল মানুষ গুলো এভাবেই ঠকে থাকে। আর এসব জিনের বাদশারা এসব সহজ সরল মানুষ গুলোকে টার্গেট করেই তারা তাদের কাজ হাসিল করে। যদিও আশেপাশে অনেক রকম ঘটনা ঘটে থাকে সেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এরকম জনসচেতনতা মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই একটা সময় এগুলো খুব বেড়ে গিয়েছিলো।এখন আবার একটু কমে আসছে।তবে এখন অন্য উপায়ে মানুষকে ঠাকানো হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টা পড়ার জন্য।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। দেখেন উনি যদি টাকা-পয়সা এবং ছেলের চাকরির কথা ভেবে লোভে না পড়তো তাহলে আজকে এই দশা হতো না। ওনারা যেভাবে আছেন এইভাবে চলে নিজের সন্তানদেরকে মানুষ করতে পারলে এটাই ভালো হতো। একদিকে বলতে গেলে সহজ-সরল অন্যদিকে বলতে গেলে কিছুটা লোভে পড়ে এই দুর্দশা।
সেটাই তো ভেবেছে যদি কষ্ট করে টাকাটা দেওয়া যায়,তাহলে হয়তো দারিদ্রতা দূর হবে।যাই হোক লোভ মানুষকে ধ্বংস করে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
সমাজের এসব কাজ আসে, আমাদের লোভের নৌকায় ভর করে।এ জন্য প্রতারকের চেয়ে প্রতারিতরাই বেশি দায়ী।
ঠিক বলেছেন প্রতারকের চেয়ে প্রতারিতরাই বেশি দায়ী।তাই আপনাদেরকে সচেতন থাকা লাগবে।ধন্যবাদ।
আসলে আপু আপনি ঠিকই বলেছেন লোভে পাপ পাপে মৃত্যু।এরকম ঘটনা আমি বেশ আগেই শুনেছি।আসলে আমি মনে করি যে বাঙালি জাতি একটু বেশি লোভী।আসলে লাভ পাড়ার একটা কারণ আছে সেটা হচ্ছে অভাব।যাইহোক ভদ্রমহিলার কথা ভেবে অনেক খারাপ লাগতেছে। কারণ তিনি ধার করে টাকাগুলো দিয়েছে। আল্লাহ মানুষজনকে হেদায়েত দান করুক। ধন্যবাদ আপু এইরকম একটি বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা সত্যি ঘটনা।আমরা পৎে পথে হোঁচট খেয়েও আমাদের শিক্ষা হচ্ছে না।আর শিক্ষা বা হবে কিভাবে প্রতারক রা যে কত রকম পথ অবলম্বন করে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হাহাহা জিনের বাদশা আবার কি🙄🙄জিনের বাদশা সবার মানুষের সাথে কথা বলে মজার ত। মানুষ এতটাই লোভী ও বোকা কিভাবে হতে পারে জিন কখনো মানুষের সাথে কথা বলতে পারে আর তাকে লোভ দেখিয়ে। মানুষ দিন দিন প্রতারণার কত ধরনের জাল বিস্তার করছে এবং কিছু বোকা মানুষ সেই ফাঁদে পা দিচ্ছে একবারের জন্য ভাবছেনা। আমার মনে হয় এই লোভীদের একটু শাস্তি হওয়া উচিত। তবুও আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি ও জিনের বাদশা বিষয়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের লোভ থেকে দূরে থাকতে হবে।
আসলে আমরা সুস্থ মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবি না।আর ভাববো বা কেমনে এরা যে অনেক টেকনিক অবলম্বন করে।আর শুরুতেই অনেক ভয় দেখাতো,যা ভয়ে মানুষ তাদের কথানুযায়ী কাজ করতো।আর লোভ তো আরো কাজ করতো।ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন লিখেছেন গল্পটি। আসলেই আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত এমন দরিদ্র অসহায় অনেক মানুষের লোভের সুযোগ নিয়ে প্রতারিত করছে একশ্রেণীর অসাধু মানুষ। দিনের বাদশার নামধারী এই চক্রটি বহুদিন থেকে এই অপকর্মটি করে আসছে। আশা করি একসময় সকলেই এ ব্যাপারে সচেতন হবে।
ঠিকিই বলেছেন এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে যাচ্ছে। তারপর ও আমরা সচেতন হচ্ছি না।আসলে মিথ্যবাদী ও আসাধু মানুষের শক্তি তো বরাবরই বেশি থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।