ছোটবেলর কিছু মজার স্মৃতি।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
আজ শনিবার
২২ই জুলাই ২০২৩ ।
|
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXKonHUZi2Xd2cwLZSpiWc45Fbfj9mWhQwpnJwEM1491t/field-g56e85dd5a_640.jpg)
সেই দিন ছিলো চাঁদনী রাত তবে আকাশ মেঘাছন্ন ছিলো তাই তেমন আলো ছিলো না।আমরা দুইজন দুইজন করে কথা বলছি আর হাঁটছি। আগেই বলেছিলাম দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে একটা বড় কবরস্হান পরে।আমি আর আমার বয়সে ছোট কাজিনের সাথে হাটছি।
আমাদের সামনে আরেক কাজিন যাচ্ছে। যেই তারা কবরস্থান পথ শেষ করে আমরা কেবল কবরস্হানের মাঝপথে ঠিক তখন দুইজন সামনে আওয়াজ করে ওড়না দিয়ে ঢেঁকে সামনে এলো সামনের কাজিন তো বেশ ভয় পেয়ে গেলো,আর আমরা দূরে ছিলাম দেখে তেমন একটা দেখতে পারিনি,তবে ওদের আওয়াজ শুনে হালকা পাতলা ভয় পেলাম।
তারপর দেখি ওই কাজিন ভয় পেয়ে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা। কোন রকম ওকে ধরাধরি করে মামার ঘরে এনে বিছানায় শুয়ালো।আমাদের গ্রামে আবার একটা কুসংস্কার প্রথা ছিলো।কেউ ভয় পেলে দা অথবা বটি আগায় লবন দিয়ে গরম করে খাওয়ানো হয় তাতে নাকি ভয় কমে যায়😜।
যাই হোক আমরা দোয়া পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খাওয়ানে হলো।কিন্তু ও ভয় পেয়ে জ্বর উঠে গিয়েছে। এ দিকে আমাদের ঢাকা যাওয়ার জন্য তারিখ হয়ে এলো,কিন্তু ওর জ্বর কমছে না।পরে আমরা ওর জ্বর কমার পরে ঢাকায় চলে আসলাম।মাঝে মাঝে আমরা গ্রামে গেলে সব কাজিনরা মিলে চাঁদনী রাতে হাঁটাহাঁটি করতাম মাটির রাস্তা দিয়ে।
অনেক সময় শীতকালের রাতে এভাবে হেঁটে হেঁটে গ্রামের টং দোকানে যেয়ে সরের ধোয়া উঠা চা খেতাম।বেশ মজা লাগতো।গ্রামের একটা জিনিস আমার বেশ ভালো লাগতো তা হলো গরম গরম পিঁয়াজু আর মচমচে জিলাপি।আমরা গেলে গ্রামের কাজিন প্রায় আমার জন্য পিঁয়াজু আনতো।আসলে চাঁদনী রাতে গ্রামের রাস্তায় হাঁটা মজাই আলাদা।
মাঝে মাঝে গ্রামে মেলা হতো মেলায় বিভিন্ন রকমের খাবার আনা হতো।এই যেমন বাদাম আর গুড়ের মিশানো কটকটি,নারিকেলের নাড়ু,ঝালমুড়ি, ফুচকা আরো কত কি।
কত রকমের কসমেটিক ও থাকতো।এখন আর তেমন গ্রামে যাওয়া হয় না,কতদিন মনে হয় কাজিনদের দেখি না।যে যার মত ব্যস্ত সময় পার করে।কোন বিয়ে কিংবা ওকেশন না হলে কারো সাথে কারো দেখা হয় না।
হয়তো পুরোনো দিনগুলোতে কখনই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়,তবে কখনও যদি পাওয়া যেত তাহলে বেশ ভালো হতো।যাক পুরনে স্মৃতি গুলো ভুলবারও নয়।এখন ও মাঝে মাঝে দেখা হলে আমরা সারারাত ধরে গল্প করি তারপরও যেন গল্প শেষ হয় না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আমাদের সামনে আরেক কাজিন যাচ্ছে। যেই তারা কবরস্থান পথ শেষ করে আমরা কেবল কবরস্হানের মাঝপথে ঠিক তখন দুইজন সামনে আওয়াজ করে ওড়না দিয়ে ঢেঁকে সামনে এলো সামনের কাজিন তো বেশ ভয় পেয়ে গেলো,আর আমরা দূরে ছিলাম দেখে তেমন একটা দেখতে পারিনি,তবে ওদের আওয়াজ শুনে হালকা পাতলা ভয় পেলাম।
তারপর দেখি ওই কাজিন ভয় পেয়ে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা। কোন রকম ওকে ধরাধরি করে মামার ঘরে এনে বিছানায় শুয়ালো।আমাদের গ্রামে আবার একটা কুসংস্কার প্রথা ছিলো।কেউ ভয় পেলে দা অথবা বটি আগায় লবন দিয়ে গরম করে খাওয়ানো হয় তাতে নাকি ভয় কমে যায়😜।
যাই হোক আমরা দোয়া পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খাওয়ানে হলো।কিন্তু ও ভয় পেয়ে জ্বর উঠে গিয়েছে। এ দিকে আমাদের ঢাকা যাওয়ার জন্য তারিখ হয়ে এলো,কিন্তু ওর জ্বর কমছে না।পরে আমরা ওর জ্বর কমার পরে ঢাকায় চলে আসলাম।মাঝে মাঝে আমরা গ্রামে গেলে সব কাজিনরা মিলে চাঁদনী রাতে হাঁটাহাঁটি করতাম মাটির রাস্তা দিয়ে।
অনেক সময় শীতকালের রাতে এভাবে হেঁটে হেঁটে গ্রামের টং দোকানে যেয়ে সরের ধোয়া উঠা চা খেতাম।বেশ মজা লাগতো।গ্রামের একটা জিনিস আমার বেশ ভালো লাগতো তা হলো গরম গরম পিঁয়াজু আর মচমচে জিলাপি।আমরা গেলে গ্রামের কাজিন প্রায় আমার জন্য পিঁয়াজু আনতো।আসলে চাঁদনী রাতে গ্রামের রাস্তায় হাঁটা মজাই আলাদা।
মাঝে মাঝে গ্রামে মেলা হতো মেলায় বিভিন্ন রকমের খাবার আনা হতো।এই যেমন বাদাম আর গুড়ের মিশানো কটকটি,নারিকেলের নাড়ু,ঝালমুড়ি, ফুচকা আরো কত কি।
কত রকমের কসমেটিক ও থাকতো।এখন আর তেমন গ্রামে যাওয়া হয় না,কতদিন মনে হয় কাজিনদের দেখি না।যে যার মত ব্যস্ত সময় পার করে।কোন বিয়ে কিংবা ওকেশন না হলে কারো সাথে কারো দেখা হয় না।
হয়তো পুরোনো দিনগুলোতে কখনই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়,তবে কখনও যদি পাওয়া যেত তাহলে বেশ ভালো হতো।যাক পুরনে স্মৃতি গুলো ভুলবারও নয়।এখন ও মাঝে মাঝে দেখা হলে আমরা সারারাত ধরে গল্প করি তারপরও যেন গল্প শেষ হয় না।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার ছোট্ট বেলার ঘটনাগুলো পড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম। এরকম অজস্র ঘটনা আমার জীবনেও রয়েছে। যাইহোক এভাবে কেউ যদি অন্ধকারে এসে আমাকে ভয় দেখায় আমি নিজেও অজ্ঞান হয়ে যাবো 😄
আপনার মত আমার নানু বাড়িতে এরকম একটি কবরস্থান আছে আমরা যখনই ওখান দিয়ে ছোটবেলা পার হতাম তখনই সবাই মিলে এমন দৌড় দিতাম। এক নিঃশাষে যাতে কবরস্থান পার হয়ে যেতে পারি। খুবই ভয় লাগতো সেখান দিয়ে যেতে। এমনি ভয়ংকর জায়গা তার উপরে ওভাবে ভয় দেখানোর কারণে আপনার কাজিন খুব ভয় পেয়েছিল। আপনার ছোটবেলার কাহিনী গুলো পড়ে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ আপু।
আপু প্রথমে আপনাকে বলব আপনার টাইটেল টিতে একটু ভুল আছে ঠিক করে নেবেন। আর আমাদের সবারই জীবনে মনে হয় এরকম ছোট ছোট অসংখ্য ঘটনা থাকে । আর ঘটনাগুলো বেশ শ্রুতি মধুর হয়। আপনার গল্পগুলো পড়ছিলাম আর নিজের শৈশবের দাদা বাড়িতে কাটানোর সময় গুলোর কথা মনে করছিলাম ।আমরা এরকম কয়েক কাজিন মিলে ঘুরে বেড়াতাম ,দোকানে চা খেতে যেতাম । সত্যি সেদিনগুলো অনেক আনন্দের ছিল। বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
রাত্রেবেলা কবরস্থান দিয়ে এরকম হাঁটতে লাগলে অনেকে ভয় পাই। যেমন আপনারা হাঁটতে গিয়ে আপনার কাজিন ভয় পেয়েছে। কারণ কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে মানুষের মনের ভিতরে একটা ভয় কাজ করে। আমাদের এরকম ভয় পেলে আগে এরকম লব ণ আগুন এবং লোহা জাতীয় জিনিস সোয়াতেন। যাতে করে বয়গুলো কেটে যায়। এরকম অনেক স্মৃতি মানুষের জীবনে আসে। আপনার ছোটকালের মজার স্মৃতি পড়ে অনেক ভালোই লাগলো।
আপনার ছোটকালের স্মৃতি পোস্ট পড়ে আমার কাছে একটু ভয় লেগে গেল। রাত্রেবেলা কবরের পাশ দিয়ে হাঁটতে এমনিতে অনেক ভয় লাগে। আসলে এরকম ভয় পেলে অনেক সময় মানুষ অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। আপনার কাজিন হয়তো বা একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে ওই সময় মানুষ ভয় পেলে অনেক কিছু খাওয়াতো এবং যারা জারি করতো। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।