গল্প:( মনের মিল । )পর্ব -১
১৪ পৌঁষ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৬ ই ডিসেম্বর ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শনিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
রাকী বসে বসে অতীতের কথা ভাবছে কি করেছে না করছে।কি ছিলো আর কি হয়েছে। আসলে রাকী ছিলো বাবা মায়ের ছোট মেয়ে বেশ আদরের।বাবা ব্যাংকে চাকরি করে অবস্থা ও বেশ ভালো। ঢাকা শহরে জায়গা আছে ।দেখতেও বেশ সুন্দরী তাই একটু অহংকার ও আছে।
মানুষকে মানুষ মনে করে না মাঝে মাঝে। যাই হোক ওদের জায়গাতে বাড়ি র কাজ ধরবে তাই ভালো রাজমিস্ত্রী খুঁজছে। তাই মাথায় হঠাৎ বুদ্ধি এলে গ্রামে পরিচিত রাজমিস্ত্রী এনে কাজ করাবে এতে কাজ ভালো হবে।যেই ভাবা সেই কাজ রাজমিস্ত্রী দুইজন নিয়ে এসেছে। আসলে ওরা আবার গ্রামের একজন পীরের ভক্ত।প্রত্যেক বছর উরশ হয় সেখানে যায় তারা সেইখানের পরিচিত ভালো কাজ জানে তাকে নিয়ে এসেছে কাজ করার জন্য।সেই রাজমিস্ত্রী আবার তার ছেলেকেও নিয়ে এসেছে বাপ ছেলে মিলে একসাথে কাজ করবে।যাই হোক তারা কাজ শুরু করলো। একতো তার উপর পীরের ভক্ত তাই তাদেরকে বেশ আপ্যায়ন করে কিন্তু রাকী তাদের কে দেখতে পারে না।
একটা সময় রাজমিস্ত্রী র ছেলেটা মনে মনে রাকীকে বেশ পছন্দ করে,কিন্তু দুইজন দুই দিকে অর্থাৎ রাকী হচ্ছে শিক্ষিত, সুন্দরী আর রাজমিস্ত্রী এর ছেলে বেলাল হলো অশিক্ষিত রাজমিস্ত্রী।
বেলাল রাকীর সাথে কথা বলতে চাইতো কিন্তু রাকী কখনও পাত্তা দিত না।আসলে পাত্তা না দেওয়ারই কথা।বেলাল হচ্ছে গ্রামের অশিক্ষিত। হঠাৎ একদিন কলেজে এর এক প্রোগ্রামের জন্য মার্কেটে শপিং করতে যাবে মোটামুটি দূরে তাই একা যেতে পারবে না বিদায় রাকীর সাথে বেলাল কেও যেতে বললো।যদিও রাকী বেলালকে দেখতে পারে না নিতে ও রাজি না তবে বাবার রিকুয়েষ্ট এর জন্য নিয়ে গেলো।
সেই দিন বেলাল রাকীর সাথে মার্কেটে গেলো আর রাকীকে বেশ প্রোটেক করেই হাঁট ছিলো। রাকী ব্যাপারটা বেশ দেখছিলো একবার মনে মনে বেশ রাগ হচ্ছিলো আর মনে মনে ভাবলো ভালোই হয়েছে।তারা মোটামুটি শপিং করে বাসায় এলো। এই সুযোগে বেলাল বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে রাকীর ফোন নম্বর নিয়ে এলো।আসলে রাকীর বাবার কাছে ফোন করে বলেছিলো রাকী আপুকে খুঁজে পাচ্ছি না তার ফোন নম্বর দিলে ফোন দিয়ে তারপর বের করতে পারতাম। এভাবে কৌশলে রাকীর নম্বর টা সংগ্রহ করেছে।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গল্পটি আপনি বেশ ভালই লিখলেন। তবে দুইজন দুই প্রান্তের মানুষ। একজন রাজমিস্ত্রি এবং অন্যজন একজন বড় লোকের মেয়ে। তাও আবার একজন শিক্ষিত মেয়ে এবং অপরজন অশিক্ষিত গ্রামের ছেলে। কিন্তু ভালোবাসা তো এসব বাধা মানে না। দেখি পরবর্তীতে গল্পটি কোন পর্যায়ে চলে যায়। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব দ্রুতই পড়তে পারব।
বেশ ভালোভাবে এই গল্পটি তৈরি করেছেন৷ গল্পের মধ্যে দুই চরিত্রের মানুষ দুই ক্যাটাগরির। একজন রাজমিস্ত্রি এবং অন্যজন বড়লোকের মেয়ে৷ একজন মানুষ অনেক শিক্ষিত এবং আরেকজন অনেকটাই অশিক্ষিত৷ তবে ভালোবাসা কখনো এসকল বিষয়গুলো দেখেনা৷ ভালবাসায় শুধুমাত্র মনের মিল দেখা যায়৷ গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন।
রাকী এবং বেলাল দুজনেই ছিল দুই প্রান্তের এবং ভিন্ন ধরনের মানুষ। রাকী অনেক বেশি বড়লোক ছিল, আর বেলাল ছিল গরিব এবং রাজমিস্ত্রী। কিন্তু বেলাল তো দেখছি মনে মনে রাকী কে পছন্দ করে ফেলেছে। আর বুদ্ধি করে সে রাকীর নাম্বারটাও নিয়ে নিয়েছে। তবে ভালোবাসা কখনো ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বড়লোক-ছোটলোক কোন কিছুই মানে না। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।পরবর্তী পর্বটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
বেলাল দেখছি, রাকী কে পছন্দ করেছে। কিন্তু রাকী যেহেতু বড়লোক পরিবারের ছিল, তাই সে নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি অহংকার করতো। কিন্তু বেলাল তো ছিল রাজমিস্ত্রী। আর রাকীদের বাড়িতে কাজ করতে এসেই তাকে পছন্দ করেছে। আর তার সাথে যখন মার্কেটে গিয়েছিল তখন সে দেখছি রাগের নাম্বারটা জোগাড় করে ফেলেছিল বুদ্ধি খাটিয়ে। এখন সে রাকীর নাম্বার দিয়ে কি করবে, এবং পরবর্তীতে কি হবে, এটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।
রাকী বড়ো লোকের অহংকারী মেয়ে।আর বেলাল অশিক্ষিত এক রাজ মিস্তি ছেলে।তবে ইংগিত পাচ্ছি তাদের প্রেম ঘটিতো কোন সম্পর্ক হলেও হতে পারে।বেলাল রাকীর ফোন নাম্বার নিয়ে কি করবে পরবর্তী পোস্টে জানার অপেক্ষায় রইলাম।