ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত একটি
২২ ই চৈএ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
৬ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
যাকাত দেওয়া এবং নেওয়ার মাধ্যমে এতে করে গরীবরা স্বচ্ছল ভাবে চলতে পারে।তাতে গরীব রা অনাহারে থাকতে হয় না।আমাদের দেশে ঠিকভাবে ধনীরা যাকাত যদি দিতো তাহলে দেশে গরীব থাকতো না।আমরা সাহাবীর এর সময় ঠিকভাবে খেয়াল করলে দেখবো যে তারা তাদের শাসনামলে যাকাত নেওয়ার মত লোক পাওয়া যায় নি।বিশেষ করে উমর ( রাঃ) সময়।তারা তাদের সম্পদের এত গননা করে যাকাত দিতো আর যারা যাকাত নিতো তারা এমনভাবে কাজে লাগাতো তারা আর পরের বছর যাকাত নিতো।
কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। একেক জনে সম্পদের পাহাড় করে,তারা নিজেরাও জানে কত সম্পদ আছে কিন্তু তারা যাকাত আদায় করে না।যদিও করে নামে মাএ হয়তো যাকাতের শাড়ি,পাঞ্জাবি দেয়।এতে করে মানুষ ভীড় করে নিতে যেয়ে এমন ও অনেক মানুষ মারা যায়।আগে প্রায় খবর শুনতাম যাকাতের কাপড় নিতে যেয়ে মানুষের পদধূলিতে মারা গিয়েছে।
ইসলামে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ন আর সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা সম পরিমান টাকা থাকলে যাকাত দিতে হয়।অথচ আমরা কয়জনই বা যাকাত দেই।কিংবা কয়জনই বা যাকাতের টাকা পেয়ে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে।যদিও যাকাতের টাকা পায় তা কিছু কিছু গরীব বিলাসিতা করে খরচ করে ফেলে তারপর আবার তার পরের বছর যাকাতের জন্য হাত পাতে।
আসলে ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা ঠিকভাবে যদি ধর্মটা পালন করতাম তাহলে আসলে দেশে গরীব থাকতো না।দেশী অপরাধীর সংখ্যা বাড়তো না।আমাদের উচিত যার যার ধর্মগুলোর নিয়ম গুলো ভালো করে পালন করা।প্রত্যেক ধর্মে একে অপরকে সাহায্য করা গরীব-দুঃখীদের করে সাহায্য করা, অনাহারী দের মুখে খাবার তুলে দেওয়া। আমরা যদি ঠিকঠাক ভাবে এই নিয়ম গুলো পালন করতে পারি তাহলে আমাদের আশেপাশে দুঃখী মানুষ থাকবে না বললেই চলে।চলুন আমরা যার যার জায়গা থেকে গরীব দুঃখে সাহায্য সাহায্য করি।
যাই হোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপু আপনার মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। হ্যাঁ আপু ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত একটি। যাকাত দেওয়া সকল ধনীদের ফরজ। এই যাকাতের হক গরিব অসহায়দের মাঝে বিলে দিতে হয়। পোস্টটি দারুণ ছিল ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধনীরা ঠিকভাবে যাকাত দিলে আর গরীবরা ঠিকভাবে কাজে লাগালে তাহলে গরীব রা আর থাকতো না।ধন্যবাদ
যাকাত নিয়ে খুবই সুন্দর কথা বলেছেন। আসলে যাকাত দেওয়া ফরজ। তাদের উপরে যাকাত দেওয়া ফরজ তাদের অবশ্যই যাকাত আদায় করতে হবে। তা না হলে কিয়ামতের দিন এই যাকাতের সম্পদ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। আপনার কথাগুলো খুব মূল্যবান ছিলো।
কিয়ামতের কথা কয়জনই বা আমরা মনে করি।তাহলে তো কোন অপরাধী থাকতো না।ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু আমরা যদি সকলে সঠিক মতো যাকাত আদায় করে তাহলে অসহায় মানুষগুলো সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। যাদের উপর যাকাত দেওয়া ফরজ হয়েছে তাদের অবশ্যই যাকাত দেওয়া প্রয়োজন। পরকালে এর হিসাব দিতে হবে। খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপু। আপনার পোস্টে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসহায় মানুষ গুলোও তো ঠিকভাবে কাজে লাগায় না। সমস্যা হচ্ছে এটাই।ধন্যবাদ
মানুষ কে দান করলে কখনো নিজের সম্পদ কমে যায় না। বরং বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আমরা ঠিক ভাবে দান করতে চাই না। আসলে যাকাত ইসলাম ধর্মের একটি বড় অংশ।যাতাক আদান প্রদানের মাধ্যমে মানুষের প্রতি সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়। আমরা চাইলে আমাদের সামর্থ অনুযায়ী গরীব গুনী মানুষ দের কে যাকাত প্রদান করতে পারি। এতে করে গরীব মানুষেরা একটু স্বছল হতে পারবে।
আসলেই আমরা এটাই বুঝি না দান করিলে ধন সম্পদ কমে না।ধন্যবাদ আপনাকে
যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। বিত্তবান সকল মুসলমানদের উপর যাকাত দেওয়া ফরজ। আসলে যাকাত দেওয়া দরিদ্র মানুষদের অনুগ্রহ করা নয়। যাকাত হচ্ছে, ধনীদের উপর দরিদ্র মানুষের অধিকার। যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে সমাজে সকলের মাঝে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়। বেশ সুন্দর বিষয় আলোচনা করছেন আপনি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ইসলামের চারটি স্বম্ভ মানতে চাইলেও শেষেরটা মানতে বেশ কষ্ট হয় আমাদের।ধন্যবাদ