গ্রামের বিয়ের গায়ে হলুদ।
২৯ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১২ই মার্চ ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ বৃহস্পতিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রথম দিকে আমার যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না, কারন আমার ছো বাচ্চা তাকে নিয়ে কোথায় যাওয়াটা অনেক কষ্ট পরে সবার যাওয়া দেখে আর বাসায় থাকতে পারলাম না।আসলে সবার সাথে বেড়ানোর মজাই আলাদা।তাছাড়া গ্রামের বিয়ে খেতে গিয়েছি অনেক দি ন পর।শেষ গ্রামের বিয়ে খেয়েছলাম আমার চাচাতো ভাই এর বিয়েতে।গ্রামে আসলো দিনে ভালো লাগে
কিন্তু রাতের বেলা ভালো লাগে না,কারেন্ট থাকে না আর যদি চাঁদের আলো না থাকে তাহলে আরে ভালো লাগে না।তবে সবাই মিলে থাকলে অন্যরকম মজা লাগে।একবার আমার কাজিনের বিয়েতে গায়ের হলুদ করার জন্য আগের দিন গান বাজানোর জন্য সেট ভাড়া করে এনেছিলো,তাছাড়া আমার কাজিন ঐটা বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করতো ওর বিয়েতেই যদি বিদ্যুৎ না থাকে,শুধু গানবাজানোর ডেক সেট ভাড়া করে এনে না বাজিয়ে ফেরত দেওয়া লাগছে।
আমরা তো সবাই হাসতে হাসতে শেষ, আবার সেই সময় গরম ও ছিলো অনেক।তবে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতো।কিন্তু এখন গ্রাম আর গ্রামের মত নেই। গ্রামেও এখন ডিজে পার্টি হয়,ওয়াইফাই থাকে লাইটিং টাইটিং অনেক কিছু।যাই হোক আমরা গিয়েছিলাম আমার ফুফাতো ভাই এর মেয়ের বিয়েতে।আমার কাজিনের বড় মেয়ে ছিলো। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরে।বিয়ে ঠিক হয়ে ছিলো পরে ছেলে বিদেশ থেকে আসার পর বিয়ে হলো আরকি।
যাই হোক আমরা বিয়ের একদিন আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারে রওনা দিয়েছিলাম।আমরা একটু দেরি করেই বের হয়েছি,আসলে দুপুরে রওনা হলাম।গাড়ি পেতে একটু দেরি হয়েছে, আর বৃহস্পতিবার বলে রাস্তায় মোটামুটি জ্যাম ছিলো।কোন রকম মেঘনা বিজ্র পাওয়ার পর জ্যামটা একটু কমেছে।
যাই হোক বাস থেকে নামতে নামতে ৪ টা বেজে গিয়েছে। তারপর আমার ফুফাতো বোনের ছেলে দাড়িয়ে ছিলো,তারপর আমরা সিনজি করে রওনা দিলাম।রাস্তাগুলো বেশ খারাপ অবস্হা।আইলের উপর রাস্তা তাই একটু এমন আরচিকন টাইপ মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি সিএনজি টা পড়ে যাবপ।
তারপর সেখানে টাকা দিয়ে তারপর রুমে ঢুকতে হয়,তারপর বউকে নিয়ে গেলো পার্লারে।সেই সেজেগুজে অনেক রাত হয়েছে, এই দিকে ছেলে পক্ষ চলে এসেছে মেয়েকে হলুদ দিতে।তারপর বউ সেজে আসতে আসতে প্রায় দশটা বেজে গিয়েছে।
কি আর করার এই রাস্তা ধরে আমরা ফুফুর বাড়িতে পৌছালাম।ফুফু আমাদের জন্য দাড়িয়ে ছিলো।ফুফু আমাদের জন্য দাড়িয়ে ছিলো।যাই হোক বাসায় ঢুকতে যেয়ে ধান দর্বাঘাস দিয়ে আমাদের কে বরন করার জন্য আসলে গ্রামে টই সব বেশি করে।
তারপর সেখানে টাকা দিয়ে তারপর রুমে ঢুকতে হয়,তারপর বউকে নিয়ে গেলো পার্লারে।সেই সেজেগুজে অনেক রাত হয়েছে, এই দিকে ছেলে পক্ষ চলে এসেছে মেয়েকে হলুদ দিতে।তারপর বউ সেজে আসতে আসতে প্রায় দশটা বেজে গিয়েছে।
আজ এই অব্দি ,আবার এসব দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে ,আশা করি ভালো লাগবে।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Sonargaon |
link | source |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি তো মনে শহরের বিয়ের চেয়ে গ্রামের বিয়ে মজাই আলাদা ৷ কারন গ্রামের বিয়ের মধ্যে অনেক নিয়ম কানুন আছে ৷ এছাড়া গায়ে হলুদের বিভিন্ন রকম গীত গান ৷সবমিলে ভালোই লাগে গ্রামের পরিবেশে বিয়ে ৷
যা হোক আশা করি পরের পর্বে আরো ভালো কিছু দেখতে পাবো ৷
হুম শহরের তুলনায় গ্রামের বিয়ে তে মজা অনেক।এখন গ্রামে ও ডিজে পার্টি হয়।ধন্যবাদ
গ্রামের বিয়ে খাইনা অনেক বছর।আরো কিছু ছবি দেখতে পারলে ভালোই লাগতো।
আমিও অনেক দিন খেয়েছি, আসলে এত এত মানুষের ভীড়ে ছবি তুলা বেশ কষ্টকর।তাছাড়া গ্রামেও এখন মানুষ এত রাত করে ঘুমায় যা শহরের মানুষকে পিছনে ফেলে তারা প্রোগ্রামই শুরু করেছে রাতে ১১ টা থেকে আমি এত রাত অব্দি থাকতে পারিনি বাবু র জন্য।ধন্যবাদ আপু
গ্ৰামের বিয়ের আয়োজন গুলো স্বল্প পরিসরে হলেও এর মাঝে অনেক বেশি মজা রয়েছে।যারা গ্ৰামের বিয়ে খেয়েছে, শুধু তারাই এ বিষয়ে ভালো ভাবে অবগত আছে। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম, আপনি খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের সময়।
এখন আর গ্রামে স্বল্প পরিসরে হয় না,গ্রামেও এখন আধুনিকতার ছোয়া। ধন্যবাদ
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্রামের বিয়ের গায়ে হলুদ। আসলে শহরের তুলনায় গ্রামে যে কোন ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদের সত্যি অনেক বেশি আনন্দ হয়। ক্ষীর খাওয়ানো প্লেটগুলো বেশ সুন্দরভাবে ফল দিয়ে সাজানো আছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমিও প্রত্যেক সপ্তাহে আমার আপুর বিয়ের পর্ব শেয়ার করি । দেখে মনে হচ্ছে বিয়েতে আপনারা বেশ মজা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক শহরের তুলনায় গ্রামেও অনেক মজা হয়।ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি ঠিক বলেছেন আপু গ্রাম আর এখন গ্রাম নেয়। গ্রামে এখন সব রয়েছে। তবে যে বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করে তার বিয়েতে বিদ্যুৎ নেই হা হা হা।আপনার বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। সত্যি বিয়েতে গেলে অনেক আনন্দ হয়। আর সবচেয়ে বড় কথা সবারই সাথে দেখা হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম, আপু বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করে তার বিয়ে সময় বিদ্যুৎ ছিলো না🤪🤪।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে গ্রামের বিয়ের গায়ে হলুদ এর মধ্যে একটি আলাদা ভালো লাগা কাজ করতে থাকে৷ কারণ শহরে যেরকম গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে তার থেকেও বেশি সুন্দর হয়ে থাকে গ্রামের গায়ে হলুদ এর অনুষ্ঠান৷ গ্রামের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি আলাদা সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে৷ আপনি সেরকমই কিছু সুন্দর সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
গায়ের হলুদ মানে আলাদা মজা ঠিক বলেছেন। আপনাকে অনপক ধন্যবাদ
ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে গিয়ে ভালোই উপভোগ করেছেন। সত্যি বলতে গ্রাম অঞ্চলে এখন আর আগের মতো গ্রাম নেই। সব জায়গাতেই এখন গান বাজনা এবং ডেকোরেশন সব মিলিয়ে অনেক চমৎকার হয়ে উঠেছে।আর ওয়াইফাই তো সবার ঘরের দরজায় একদম শহরের মতোই লাগে।যাইহোক আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
হুম,গ্রামের রাস্তা ঠিক না থাকলে কি হবে,ওয়াইফাই আছে সবার ঘরে ঘরে।ধন্যবাদ
গ্রামের বিয়ে গুলোতে কিন্তু বেশ মজা হয়। তবে অনেকদিন হলো আমিও গ্রামের বিয়ে খাই না। বউকে দেখতে তো খুবই সুন্দর লাগছে। আর সবকিছুর ডেকোরেশন টা মোটামুটি ভালই লেগেছে। আপনার ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে ভালোই আনন্দ করেছেন নিশ্চয়ই। ঠিক বলেছেন আপু, গ্রাম এখন আর আগের মত নেই। সবদিক থেকে অনেকটা উন্নত হয়ে গিয়েছে।
অনেক দিন পর সেই দিন গ্রামের বিয়ে খেলাম, বেশ ভালোই লেগেছে।ধন্যবাদ