ভাবীর সাথে নিউমার্কেটে একদিন।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৭ ই জানুয়ারি ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শনিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
মনে হয়, না খেয়ে সারাদিন কম্বলের নিচে থাকা যাবে এত ঠান্ডা বেশ কয়েকদিন যাবত রোদের ও তেমন দেখা নেই। শহরেই এত শীত গ্রামে না জানি কত শীত পরে। পানিতে হাত দেওয়া যায় না,মনে হচ্ছে বরফপানিতে হাত দিচ্ছি, হাত একেবারে অবশ হয়ে আসে।কাল আমার এক আপুর সাথে কথা বলছিলাম বললো সৌদিআরবে তেও নাকি অনেক শীত পরেছে,ঐখানে নাকি ভালো বৃষ্টি হচ্ছে তাই শীতের তীব্রতা অনেক বেড়েছে।আসলে শীতের সময় আবার শীত না পরলে ভালো লাগে না,অর্থাৎ উপভোগ করা যায় না।। যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে একটি ভিন্ন রকম পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সেই দিন গিয়েছিলাম নিউমার্কেটে কিছু জিনিসপএ কিনতে ভাবির সাথে।আমাদের বাসা থেকে মোটামুটি ভালোই দুরুত্ব। তাই আমরা মোটামুটি সকাল সকাল রওনা দিবো বলেছিলাম ,কিন্তু শীতের সময় কি আর সকালে উঠা যায়। তারপর রেডি হয়ে বেরুতে বেরুতে প্রায় ১০ টা বেজে গেলো ,তার উপর বাস পেতেও বেশ কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা লেগেছে। পুরোপুরি মার্কেট এ পৌঁছাতে ১১ টা। এত মানুষ মনে হচ্ছিলো সব মানুষ মনে হয় সেই দিনই আমাদের সাথে মার্কেটে এসেছে ,মানুষের জন্য সামনের দিকে এগুতেই পারছিলাম না। যাই হোক ভাবি কিছু অর্নামেন্টস দেখছিলো ,আমি এই ফাঁকে কিছু ছবি তোলেছিলাম।
তারপর কোন রকম অনেক কষ্টে আমরা ওভার ব্রিজ পার হয়ে গেলাম কুকারিজের দোকানে। আসলে ভাবি একটা রুটি মেকার কিনবে সেটা দেখতে। আসলে সকলেরই কম বেশি রুটি বানাতে সমস্যা।যদিও কাজের খালা থাকে তারপরও অনেক সময় না আসলে বিপদে পরতে হয়। তার উপর ভাবি বেশ ব্যস্ত মানুষ , তার হাসপাতাল চেম্বার ও বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে। যদিও কাজের খালা ছাড়া তার একদিন চলে না, কিন্তু মাঝে মাঝে খালারাও আসে বিভিন্ন কারণে তাই ভাবীর একটা রুটি মেকার লাগবে বিপদে কাজ চালানোর জন্য।
বেশ কয়েকটা দোকান ঘুরাঘুরির পর ভাবি যে রুটি মেকার চাচ্ছিলো সেটা পেয়ে গেলো। আমরা আবার দোকানদারকে বলেছিলাম রুটি যেন বানিয়ে দেখায় ,তাই দোকানদার পাশের হোটেল থেকে ডো এনে বানিয়ে দেখালো।
দোকানদার রুটি বানিয়ে দেখাচ্ছিলো ,ডো দিয়ে চাপ দিবে।
দেখলাম বেশ সুন্দর রুটি হয়। ভাবীর বেশ পছন্দ হলো ,তাই সে তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিলো। আমি আবার প্লেট স্ট্যান্ড দেখছিলাম মন মত পেয়ে গেলে কিনে নিতাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর যেটা পেয়ে গেলাম কিন্তু ৪২০০ টাকার নিচে দিবে না। কি আর করার নিয়ে নিলাম।
চার লেয়ারের স্ট্যান্ড। তারপর আমরা আমার ভাইজির জন্য একটা টপস কিনলাম ,এরপর রিকশা ঠিক করে রিকশা করে বাসায় আসলাম। বাসায় আসে দেখি একটা ব্যগ নেই। একটা ব্যাগ রাস্তায় ফেলে এসেছি ,ভাইজির টপস টা। আর আমার হাতেই ছিল ,বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছে আমার।
আজ আর লিখবো না। পরবর্তীতে আসবো অন্য কোনো সময় অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে।সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
link | (Source) |
VOTE @bangla.witness as witness OR
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
নিউমার্কেট এলাকায় গেলে আমার মনে হয় রোহিঙ্গা শিবিরে এসে পড়েছি। মৌমাছির চাকেও হয়তো এত মাছি থাকে না নিউমার্কেট এলাকায় যত মানুষ থাকে 😂। যাইহোক সব থেকে ভালো লাগলো আপনি এবার কোন জিনিস দেখে খালি হাতে ফিরে না এসে কিছু একটা শেষমেশ কিনে নিয়ে এসেছেন 🤪। তবে এরকম জিনিসপত্র হঠাৎ করে রাস্তার মাঝে ছাড়া পড়লে সত্যি খারাপ লাগে খুব। আমি একবার আমার বন্ধুর সাথে শপিং করতে গিয়ে আমার বন্ধুর একটা টি-শার্ট গাড়ির ভেতরে ফেলে চলে এসেছিলাম। আর এই রুটি মেকার গুলো আমার বেশ ভালই লাগে। কাজের ঝামেলা অনেক অংশে কমিয়ে দিয়েছে। ইশ কেউ যদি একটা গিফট করতো!!
এটা ঠিক মৌমাছির চাকে ও এত মৌমাছি থাকে না,যদি মনে করেন নিউমার্কেটে একটা বোম ফেলা যায় তাহলে আমার মনে হয় বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা কমে যাবে😉😉।আসলে আমার কখনও এমন হয় না এবারই প্রথম ফেলে এসেছি।
বোম বানানোর কাজ শুরু করে দিন তাহলে আপু,, ফাটানোর দায়িত্ব না হয় আমার 🤪। ডাই পোস্টও হয়ে যাবে কয়েকটা 😂😂
আপনি এবং আপনার ভাবি তো দেখছি বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন। রুটি মেকার টি কিন্তু আমারও বেশ পছন্দ হয়েছে। অনেক বিপদেই কাজে লাগে এরকম জিনিসপত্র। আপনি তো দেখছি ৪২০০ টাকা দিয়ে প্লেট স্ট্যান্ড কিনে নিয়েছেন। এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো আপনার ভাতিজির টপস এর ব্যাগটি রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। আপনার কাছে ছিল তাই আপনার মন খারাপ হওয়ারই কথা। যাই হোক পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
আসলেই রুটিমেকারে ভালোই রুটি হয় আমি নিজেই বাসায় এসে বানিয়ে দেখলাম।
আপনি দেখছি আপনার ভাবির সাথে বেশ ভালোই মার্কেট করেছেন।আসলে মার্কেটের অবস্থা এমনি যেদিন যাওয়া যায় সেই দিননি অনেক ভীর থাকে। আর যারা চাকরি করে তাদের কথা অন্য রকম, সত্যিই তো মাঝে মাঝে কাজের খালা আসবে না স্বাভাবিক। তবে আপনার ভাবি ঠিক করেছে টাকা লাগলে ও একটা রুটি মেকার কিনে নিয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাবি ঢাকায় আসলে আমরা দুইজন মিলে অনেজ জায়গায় ঘোরাঘুরি করি😉।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য
নিউমার্কেটে সবসময় কেন এত ভিড় থাকে বুঝি না। কোনদিনও ফাঁকা পেলাম না। এই রুটি মেকারগুলো খাজনার থেকে বাজনা বেশি টাইপের মনে হয়। আমি অনেক বছর আগে ইলেকট্রনিক একটা কিনেছিলাম। একদিন ইউজ করে রেখে দিয়েছিলাম। আপনার প্লেট স্ট্যান্ড টা ভালো হয়েছে। দাম বেশি হলেও এগুলো জং ধরে না। তাছাড়া এমন আমার সাথেও অনেকবার হয়েছে। অনেক কেনাকাটা করলে দুই একটা ব্যাগ রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসি। ভাতিজার ট্রাউজারটাই পরতে হল। শখ করে কিনেছিলেন মনে হয়।
আসলেই প্রতিদিন এত মানুষ কোথায় থেকে যে আসে সবার মুখেই শুনি নিউমার্কেটে ভির থাকে😃।ভাতিটির টপস টা ফেলে আসছি।
আসলেই বর্তমান সময়ের শীতের তীব্রতা অনেক বেড়েছে বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না মনে হয় সব সময় শুয়ে থাকি আর পানির কাছে তো যেতেই ভয় লাগে। ভাবির সাথে নিউমার্কেটে গিয়ে দেখছি খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলেই মাঝে মাঝে যদি কাজের খালা বাসায় না আসে তাহলে অনেক বড় বিপদে পড়ে যেতে হয়। রুটি মেকারসহ কিছু অর্নামেন্টস এর ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
পানিতে হাত দিলে মনে হয় হাত কেটে যায়😉।কাজের খালাদের কথা কি বা বলবো, আসলে যারা চাকরিজীবী তাদের জন্য বেশ ঝামেলায় পরতে হয়।
এই শীতের ভিতর তো কম্বল থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কি করার কর্মজীবন মানুষের শীত আসলেই কি না আসলেই কি কাজে বেরোতে হয়। চারিদিকে এখন বেশি ঘন কুয়াশা তাপমাত্রা কমে গেছে। শহরে ই যে শীত গ্রামে বুঝি আরও বেশি। আপনার প্লেট স্ট্যান্ড টা সুন্দর হয়েছে দাম একটু বেশি নিয়েছে তাও সুন্দর হয়েছে। আমিও মাঝে মাঝে অনেকগুলো শপিং করলে দুই একটা ব্যাগ ভুলে ফেলে আসি।
কাল দেখলাম ঢাকা শহরের তাপমাএা নাকি ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারমানে এবার গত বছরের তুলনায় অনেক শীত পরেছে।আসলেই প্লেট স্ট্যান্ডটা বেশ সুন্দর হয়েছে।
এই শীতের মধ্যে সত্যিই কম্বলের নিচ থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে বেশি সময় থাকা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায় এত পরিমাণে বাতাস।শহরের তুলনায় গ্রামে অনেক শীত বেশি।যারা কাজের মানুষের উপর নির্ভরশীল কাজের খালা না আসলে খুবই কষ্ট হয়ে যায় সকালে রুটি বানানো টা অনেক ঝামেলা হয়ে যায় তাই রুটি মেকার কিনে ভাবি ভালোই করেছে দেখে তো মনে হয় রুটি অনেক ভালোই হবে। আপু আপনার ৪২০০ টাকায় প্লেট স্ট্যান্ড টিও বেশ ভালো হয়েছে। শপিং করার মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আমার তো বাহিরে ঘুরতে যেতে মন চায় না এই শীতে কিন্তু ছেলেটার জন্য পারি না।যাই হোক আসলেই রুটি মেকারে রুটি বেশ ভালোই হয়।
বেশ ভালোই লাগলো যে অনেক কিছু কিনেছেন ৷ কিন্তু পরিশেষে আপনি একটা ব্যাগ ফেলে রেখে চলে এসেছেন অনেক ভালো খারাপ লাগলো ৷
যা হোক ভাবির সাথে নিউমার্কটে গিয়ে অনেক কিছু কিনেছেন ৷ তবে রুটি বেলনটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে এখন যত প্রযুক্তি মানুষ এখন অনেক অলস ৷ রুটির গোলাকার দেখে আরও ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ দারুন কিছু মূহুর্ত তুলে ধরার জন্য ৷
মানুষ কই আর তেমন অলস, হয়ত ঘরে করে না তবে বাহিরে তো করতে হয়।আসলেই ব্যগ টা ফেলে এসে আমার বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছে ।
ভাবি সহ নিউ মার্কেটে শপিং করে আসলেন দেখে ভালই লাগছে। আর প্লেট স্ট্যান্ড এত টাকা নিয়েছে শুনে অবাক হলাম। যাইহোক তবুও প্রয়োজনের জিনিস না কিনে তো আর পারা যায় না। তবে আপনার ভাতিজির জন্য কেনা টপস রাস্তায় পড়ে গিয়েছে শুনে মন খারাপ হয়ে গেল।কারণ হয়তো বা শখ করে নিয়েছিল। যাই হোক কিছু করার নাই, পড়ে গিয়েছে যখন সেটা তো আর পাওয়া যাবে না। ভালো লাগলো আজকের ব্লগটি।
আসলে স্ট্যান্ড টা স্টিলের নাকি তাই জং ধরবে না, এই জন্য এত দাম নিয়েছি কোন ভাবেই কমাচ্ছিলো না।আসলেই শখ করে কিনেছিলাম।ফেলে আসায় আমারই বেশি মন খারাপ হয়ে গিয়েছে।
এরকম স্ট্যান্ডগুলো কিন্তু খুঁজেছিলাম আমি পাইনি।