৫ ই অগ্রহায়ন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২০ ই নভেম্বর ,২০২২ খ্রিষ্টাব্দ ।
আ
মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
Device- samsung SM-A217F
কাল রাত থেকে জ্বর জ্বর ভাব। আসলে ঠান্ডা গরম সব কিছু মিলিয়ে কেমন জানি আবহাওয়া। ঘরে কিন্তু গরমই লাগে ,তবে বাহিরে ঠান্ডা। যার যার জন্য কম বেশি সবাই অসুস্থ। যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেক দিন ধরে রেসিপি পোস্ট করা হয় না ,তাই ভাবলাম আজকে একটা রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজকে আমি ময়দা দিয়ে মজাদার নাস্তা খুব সহজে কিভাবে তৈরি করা যায় ,তাই দেখাবো। আসলে বিকালের নাস্তায় কিংবা বাচ্চা টিফিনের জন্য খুব সহজে তৈরি করে দেওয়া যায়। চিজ দেওয়াতে খেতেও বেশ ভালোই লাগে। বাচ্চারা বেশ পছন্দ করে। কথা না বারিয়ে চলেন মূল রেসিপি দেখতে আসি।
Device- Galaxy A13
বেশ কিছুদিন যাবৎ নতুন কিছু বানাবো বানাবো করছিলাম। কি বানাবো তাই পাচ্ছিলাম না। ইউটউব দেখছিলাম ,তখন আমার ছেলে বললো ওকে এই রকম একটা নাস্তা বানিয়ে দিতে। পরে আর কি ছেলে বলেছে তার কথা তো আর ফেলা যাই না। বানিয়ে তার সামনে দেওয়াতে বেশ খুশি হয়েছে। কি কি উপকরণ লাগে তাই দেখে আসি।
প্রয়োজনীয় উপকরনের ছবি দেওয়া হলো
উপকরন |
পরিমান |
ময়দা |
১ কাপ |
পেঁয়াজ |
প্রয়োজন মত |
চিজ |
প্রয়োজন মত |
লবন |
সামান্য |
বাটার |
২ চা চামচ |
হলুদ |
সামান্য |
সয়াবিন তেল |
প্রয়োজনমত |
আদা রসুন পেস্ট |
প্রয়োজন মত |
মসলা |
সামান্য |
কাঁচামরিচ |
২/৩ টি |
ডিম |
দুটি |
উপকরণগুলা লিখে দেওয়া হলো।
প্রথমে ময়দা তে একটু তেল ও লবন দিয়ে ভালো করে মেখে তারপর পানি দিয়ে নরম ও না শক্ত ও না একটা ডো বানিয়ে নিবো।
তারপর ঢেকে কিছুক্ষনের জন্য রেস্টে রেখে দিবো।
তারপর একটি প্যানে তেল হালকা গরম করে দুইটি ডিম দিয়ে দিব।
তারপর ডিম হালকা করে ভেজে নিয়েছি।ভাজা হলে নামিয়ে নিব।
♻♻♻৫ম ধাপ ♻♻♻ |
তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে দিব ,আদা ও রসুন পেস্ট দিয়ে দিব।
পেঁয়াজ সামান্য নরম হয়ে এলে ,তাতে লবন ,হলুদ গুঁড়া ও মসলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিব।
ভেজে রাখা ডিম গুলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নামিয়ে নিব।
ডৌ দিয়ে রুটি বানিয়ে নিব।
তারপর এ পাশ ওপাশ করে তায়াতে হালকা করে ছেঁকে নিব।
তারপর রুটির উপর পুর ও গ্রেট করে চিজ দিয়ে দিব।
তারপর বাটার দিয়ে ঐপাশ ওই পাশ করে ভেজে নিব।
তারপর ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিব।
হয়ে গেলো এগ চিজ ব্রেড। আপনারা বাসায় একদিন তৈরি করে খেতে পারেন ,আশা করি মন্দ লাগবে না। আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই পযর্ন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ |
device | samsung SM-A217F |
Location | Dhaka |
Photograpy | recipe |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Follow @amarbanglablog for last updates
Support
@heroism Initiative by Delegating your Steem Power
হুম গ্রামে ভালোই শীত পরে,শহরে দরজা জানালা আটকালে গরমই লাগে।বাসার জিনিস তো স্বাস্থ্যসম্মত বটেই।ভালো লাগলো আপনার মতামতগুলো।ধন্যবাদ
নিতান্তই আপনি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেন। আর আজকের রেসিপিটি আমার কাছে সত্যিই অনেক ইউনিক মনে হল। তবে একা একা খাচ্ছেন এটা কিন্তু ঠিক নয়, কিছুটা শেয়ার আমাদেরকেও দিয়েন। ধন্যবাদ ভালো ছিল রেসিপিটি।
আসলে এখন মৌসুম পরিবর্তন এর সময় এজন্য জ্বর ঠান্ডা মানুষের কিছু ছাড়ছে না।।
তবে আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এবং নতুন এর পূর্বে আমি এমন রেসিপি কখনো প্রস্তুত করা দেখিনি।।
তবে দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হবে।।
হুম চারদিকেই মানুষ কমবেশি অসুস্থ। আমি নিজেও এটি প্রথম বানিয়েছিলাম।☺️☺️।ধন্যবাদ আপনাকে
সত্যি আপু রেসিপিটি অনেক ইউনিক ছিল। আসলে বাচ্চরা বললে সেগুলো তৈরি না করে আর পারা যায় না।তবে সকাল বিকেলের নাস্তা হিসেবে অনেক মজার খাবার। একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমার ছেলে বলে ঠিকই,কিন্তু খাওয়ার বেলায় নেই। একটু যদি খেতে তাহলেও হতো।হ্যা আপু একদিন তৈরি করে দেখতে পারেন।আপনাকে ধন্যবাদ
এখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। যার কারনে কমবেশি সবারই জ্বর ঠান্ডা লেগে আছে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ইউটিউব দেখে ছেলের পছন্দ মতো নাস্তা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগছে।এই রকম রেসিপি এর আগে কখনো দেখিনি। খেতে নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ এইরকম একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আগের মত এখন আর ঋতু পরিবর্তন নেই। অগ্রহায়ণ মাস চলছে এখনও ফ্যান চালানো লাগে।যার জন্য বাতাসে ক্ষতি হয়,না ছেরে ও উপায় নাই গরম লাগে ও লাগে।কি যে একটা মুশকিল
আপু রেসিপিটি তো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। তার মধ্যে আবার আপনি রেসিপিতে ঝাল এবং মসলা ব্যবহার করেছেন। ময়দা, চিজ আর ডিম দিয়ে বানানো এই রেসিপিটি মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে।
হুম আপু গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগে ক্রিস্পি ক্রিস্পি থাকে,ভালোই লাগে।চিজ দেওয়াতে স্বাদ বেড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু
আপু ঠিক বলেছেন বাহিরে ঠান্ডা আর ঘরে গরম লাগে তারজন্য সবার ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর লেগেই আছে। যাই হোক রেসিপি কিন্তু দারুন বানিয়েছেন। আমি পাউরুটি দিয়ে এভাবে মাঝে মাঝে এই রেসিপি তৈরি করি। সকাল বা বিকালের নাস্তা হিসেবে দারুণ মজা লাগে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কি যে একটা মুশকিল আপু।ঘরে ফ্যান চালিয়ে রাখি যার জন্য সবারই জ্বর সর্দি লেগে আছে। এখনকার ওয়েদারটাই যেন কেমন।আপনি পাউরুটি দিয়ে তৈরি করেন,আমি ময়দা দিয়ে তৈরি করেছি।ধন্যবাদ আপু
হাই হাই আমার আপুর শরীর খারাপ!! আপেল কমলা নিয়ে আসবো নাকি 😳 , থাক মুখে তো মনে হয় রুচি নাই, আমিই খাই বসে বসে 😉।
আর রুটির ভেতর কি সব হাবিজাবি দিয়ে পেচিয়ে দিলেই একটা রিসিভ হয়ে গেল দেখছি 😅। আর কত কি দেখব রে বাবা 🤪। তবে এসব হাবিজাবি খেতে বেশ মজার হয়। ছোট বাচ্চারা খুব আনন্দ নিয়ে খায়, ইস কেউ যদি বানিয়ে খাওয়াতো ☹️☹️☹️! সবই কপাল ।
ফলমূল খাওয়ার মত রুচি আছে ভাই 😜।হাবিজাবি মনে হলো আপনার,আসলে পাগলে কিনা বলে😜😜।ফলমূল নিয়ে আসেন আমি এই হাবিজাবি বানিয়ে খাওয়াবো 😂।
ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে এখন সবারই ঠান্ডা জ্বর লেগে রয়েছে। আশা করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। এ ধরনের খাবার আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি ফলো করে খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দোয়া করিয়েন আপু,জ্বরঠোসায় উঠেছে।বেশ খারাপই লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।