কিছু মজার স্মৃতি । [10% 𝕭𝖊𝖓𝖊𝖋𝖎𝖈𝖎𝖆𝖗𝖎𝖊𝖘 𝖋𝖔𝖗 @𝖘ʜʏ-ғᴏ𝖝🦊]
আমি @rahimakhatun
বাংলাদেশ থেকে
১৫ জুলাই ২০২২ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শুক্রবার
এখন ষড়ঋতুর বর্ষাকাল । |
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdHT7yxQudTzzk45dfFoVBXwdBeXC8NjNneeRpspSLj4D/flower-g916ebbbf4_1920.jpg)
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভালো আছেন। আমি তেমন ভালো নেই। কাল থেকে মাথা ব্যথা। আজকে দেখলাম পুরো শরীর ব্যথা। জরুরি কিছু কাজ ছিল অনেক কষ্টে কাজ শেষ করলাম। আজকে রান্নাও করতে ইচ্ছে করছিলো না। যাই হোক হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট না করলেও ভালো লাগে না। তাই সন্ধ্যা থেকে ভাবছি কি নিয়ে পোস্ট করা যায়। আসলো মাঝে মাঝে কোনো কিছুই ভেবেই পাই না কি পোস্ট করবো। হঠাৎ একটা ঘটনা মনে পরলো ,তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তো চলুন শুরু করা যাক।
আমি তখন ক্লাস টেন এ পড়ি। আমাদের স্কুলে ছেলে মেয়েদের আলাদা ক্লাস হতো। মেয়েদের মর্নিং শিফট এবং ছেলেদের ডে শিফট।তাই আমাদের ছেলেদের সাথে কথা হতো না ,এমন কি চিনতাম ও না। একদিন আমরা মেয়ে ফ্রেন্ডরা মিলে একটা পিকনিক করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সবাইকে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। অনেকেই রাজি হলো। সবার মতামত নিয়ে মেনু ও ঠিক করা হলো। আমরাতো তখন বাজার করতে জানতাম না ,এমন কি নিজেরা নিজেরা কখনো বাজারে যাওয়ার চিন্তাও করতাম না। যাই হোক এক ফ্রেন্ড এর বাসায় আয়োজন করা হলো। তবে রান্না কে করবে ,এত মানুষের আয়োজন নিজেরা নিজেরা করা সম্ভব ও না। আমার এক খালা কে বলার পর ওনি রান্না করে দেওয়ার জন্য রাজি হলো।
তারপর দিন ঠিক করলাম। তো সবাই শাড়ি পরবে ,সাজুগুজু করবে ঠিক করা হলো। সবাই চুলের খোঁপায় রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল খোঁপায় পরবে। তখনের সময় আশেপাশে ফুলের দোকান ছিল না। তো মোটামুটি আমাদের বাসা থেকে দূরে ফুলের দোকান ছিলো। তো আমরা ঠিক করলাম আমরা চার জন মিলে ফুলের দোকানে যাবো ফুল কিনতে। সবার কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে আমরা রিকশা ঠিক করে চলে গেলাম ফুলের দোকানে। ফুলের দোকানদার কে অর্ডার দিলাম ,দোকানদার বললো একটু সময় লাগবে। আমরা বসে বসে গল্প শুরু করলাম। ফুলের দোকানের ওপর প্রান্তে একটা ছেলেদের একটা কলেজ ছিল। তখন খুব সম্ভবত টিফিন টাইম ছিলো। হঠাৎ এক ফ্রেন্ড এর মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি উদয় হলো।
ও বললো যে ছেলেদেরকে হাত দিয়ে ইশারা দিতে পারবে ,তাকে পুরস্কার দেওয়া। আমি তখন একটু লাজুক প্রকৃতির ছিলাম আমি তো কিছুতেই রাজি হচ্ছিলাম না। আরেকটা ফ্রেন্ড রাজি হলো। ও সত্যি সত্যি হাত দিয়ে ইশারা দিলো ,ওপর প্রান্ত থেকেও একটা ছেলে ইশারা দিলো। একে একে তিনিটা ফ্রেন্ড এই দিলো। এবার ওরা তো নাছোড়বান্দা আমাকেও দিয়েও ইশারা দেওয়াবেই। অনেক রিকোয়েস্ট পর আমি শুধু চোখ বন্ধ করে হাত দিয়ে ইশারা দিয়েই দিলাম এক দৌড় ভয়ে। তারপর তো ওরা হাসতে হাসতে শেষ। তারপর তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলাম। অনেক দিন পর আজ মনে পরলো,এই ঘটনার কথা। আমাদের মাঝে কথা হলে এখনো এই বিষয় নিয়ে আমরা হাঁসাহাঁসি করি।
আজ এই অব্দি, আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সবারই
মনে হচ্ছে একই অবস্থা। আমি নিজেও ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত। শরীর টা খুবই খারাপ। অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন। শেষটাতে আমার তো হাসি পাচ্ছিল হা হা। তবে বেশ মজার ছিল।।
হুম গরমে সকলের একই অবস্থা হা হা আসলেই হাসির ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে শুভেচ্ছা নিবেন।