বানরের যন্ত্রনায় যখন অতিষ্ঠ।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৬ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১লা অক্টোবর ,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ ।
রোজ রবিবার ।
|
|---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে কিছু বিরক্তকর কিন্তু মজার বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমার পোস্ট যারা যারা পড়েন তারা মোটামুটি জানেন আমাদের এলাকায় বাদরের উৎপাত অনেক এগুলো সময় অসময়ে বেশ বিরক্ত করে।
ওদের অত্যাচার এখন এতোটা বেড়েছে ওদের ভয়ে এখন ছাদে কাপড় শুকাইতে দেওয়া যায় না,কাপড় দিলে নিয়ে দূরে কোথায় ফেলে দিয়ে যায়।মাঝে মাঝে রান্নাঘরের জানালা খোলা পেলে ছোট ছোট বাচ্চা বানর গুলো ঘরে ঢুকে যায়।এত কিছুদিন আগে বাসার মেহমানের সাথে কথা বলছিলাম এমন সময় রান্না ঘরে দিয়ে ঢুকে ডাইনিং রুম অব্দি চলে এসেছে। মাঝে মাঝে ফ্রিজ খুলে ডিম নিয়ে যায়।
কিংবা কোন ফলমূল সামনে পেলে নিয়ে যায়।একবার আমার শাশুড়ী আম ধুয়ে রেখেছিলো রান্না ঘরে,পরে জানালা দিয়ে এসে নিয়ে চলে গিয়েছে।ছাদে কোন গাছপালা লাগানো যায় না, গাছপালা নষ্ট করে দিয়ে যায়,পুরো ছাদ যেন ওদের রাজত্ব। এমন কি এরা পাঁচ তলা ছয়তলা উঠে রান্না ঘরে ঢুকে যায়।সেদিন আমার দেবর তার জুতা ধুয়ে ছাদে রোদ দেয়, একটু পর দেখে ওর একজুতা নেই,বানর নিয়ে যে কোথায় ফেলেছে আল্লাহ ভালো জানে।অনেকদিন আগে আমি একটা ড্রাগন গাছ লাগিয়ে ছিলাম। মোটামুটি বেশ বড় হয়েছে।
গত পুরশো দেখলাম ফুল এসেছে, আজ সকালে দেখি ফুলটা নষ্ঠ করে ফেলে রেখে দিয়ে গেছে এটা দেখে আমার বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছে । দিন দিন এদের সংখ্যা বাড়ছে। আগে দুইটা ছিলো এখন বাড়তে বাড়তে সাতটা হয়ে গিয়েছে।মাঝে মাঝে মনে এদের অত্যাচারে বাসা বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।একবার আমার রুমের জালানা খোলা পেয়ে খাটের উপর এসে জাম্পি করছিলো আমি তো দেখে ভয়ে চিৎকার, পরে চলে গিয়েছে। পাশের বাসার বারান্দা থেকে ছোট বাচ্চার কাঁথা এনে আমার বারান্দা পাশে রেখে দিয়ে গিয়েছে।ছোট আম গাছে ৩টা আম ধরে ছিল।
এই প্রথম ছাদ বাগানে আম ধরে ছিলো। যেহেতু বানর আছে ,প্রায় আসে ছাদের গাছ থেকে বিভিন্ন কিছু নিয়ে যায় কিংবা নষ্ট করে যায়। তো আমরা কোনো রকম আম গুলা বড় হওয়ার পর না পাকতেই পেরে নিয়ে রান্না ঘরে রেখে দিয়েছিলাম,পাঁকার জন্য।
তো কিছুদিন থাকার পর পেঁকে আসলো ,মনে মনে চিন্তা করছিলাম ,ছেলেটা কে বিকালে কেটে দিবো। তো ওই দিন আবার জালানা খুলে ছিলো ,হঠাৎ ছোট বানরটা রান্না ঘরের জালানা দিয়ে এসে যদি বসে বসে আমের খোসা ছাড়িয়ে খাচ্ছে। আমি মনে চিন্তা করছিলাম ,কার বাসা থেকে যেন ,আম গুলো চুরি করে এনে খাচ্ছে ,আমার মনে ছিল না যে ,গাছের একটা আম যে এইখানে ছিল। হঠাৎ কিছুক্ষন পরে মনে হল আরে আমার রাখা আম টাই না নিলো। বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম ,গাছের আমের স্বাদ টা কেমন জানতে পারলাম না।
আজ এই অব্দি আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ওদের অত্যাচার এখন এতোটা বেড়েছে ওদের ভয়ে এখন ছাদে কাপড় শুকাইতে দেওয়া যায় না,কাপড় দিলে নিয়ে দূরে কোথায় ফেলে দিয়ে যায়।মাঝে মাঝে রান্নাঘরের জানালা খোলা পেলে ছোট ছোট বাচ্চা বানর গুলো ঘরে ঢুকে যায়।এত কিছুদিন আগে বাসার মেহমানের সাথে কথা বলছিলাম এমন সময় রান্না ঘরে দিয়ে ঢুকে ডাইনিং রুম অব্দি চলে এসেছে। মাঝে মাঝে ফ্রিজ খুলে ডিম নিয়ে যায়।
কিংবা কোন ফলমূল সামনে পেলে নিয়ে যায়।একবার আমার শাশুড়ী আম ধুয়ে রেখেছিলো রান্না ঘরে,পরে জানালা দিয়ে এসে নিয়ে চলে গিয়েছে।ছাদে কোন গাছপালা লাগানো যায় না, গাছপালা নষ্ট করে দিয়ে যায়,পুরো ছাদ যেন ওদের রাজত্ব। এমন কি এরা পাঁচ তলা ছয়তলা উঠে রান্না ঘরে ঢুকে যায়।সেদিন আমার দেবর তার জুতা ধুয়ে ছাদে রোদ দেয়, একটু পর দেখে ওর একজুতা নেই,বানর নিয়ে যে কোথায় ফেলেছে আল্লাহ ভালো জানে।অনেকদিন আগে আমি একটা ড্রাগন গাছ লাগিয়ে ছিলাম। মোটামুটি বেশ বড় হয়েছে।
গত পুরশো দেখলাম ফুল এসেছে, আজ সকালে দেখি ফুলটা নষ্ঠ করে ফেলে রেখে দিয়ে গেছে এটা দেখে আমার বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছে । দিন দিন এদের সংখ্যা বাড়ছে। আগে দুইটা ছিলো এখন বাড়তে বাড়তে সাতটা হয়ে গিয়েছে।মাঝে মাঝে মনে এদের অত্যাচারে বাসা বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।একবার আমার রুমের জালানা খোলা পেয়ে খাটের উপর এসে জাম্পি করছিলো আমি তো দেখে ভয়ে চিৎকার, পরে চলে গিয়েছে। পাশের বাসার বারান্দা থেকে ছোট বাচ্চার কাঁথা এনে আমার বারান্দা পাশে রেখে দিয়ে গিয়েছে।ছোট আম গাছে ৩টা আম ধরে ছিল।
এই প্রথম ছাদ বাগানে আম ধরে ছিলো। যেহেতু বানর আছে ,প্রায় আসে ছাদের গাছ থেকে বিভিন্ন কিছু নিয়ে যায় কিংবা নষ্ট করে যায়। তো আমরা কোনো রকম আম গুলা বড় হওয়ার পর না পাকতেই পেরে নিয়ে রান্না ঘরে রেখে দিয়েছিলাম,পাঁকার জন্য।
তো কিছুদিন থাকার পর পেঁকে আসলো ,মনে মনে চিন্তা করছিলাম ,ছেলেটা কে বিকালে কেটে দিবো। তো ওই দিন আবার জালানা খুলে ছিলো ,হঠাৎ ছোট বানরটা রান্না ঘরের জালানা দিয়ে এসে যদি বসে বসে আমের খোসা ছাড়িয়ে খাচ্ছে। আমি মনে চিন্তা করছিলাম ,কার বাসা থেকে যেন ,আম গুলো চুরি করে এনে খাচ্ছে ,আমার মনে ছিল না যে ,গাছের একটা আম যে এইখানে ছিল। হঠাৎ কিছুক্ষন পরে মনে হল আরে আমার রাখা আম টাই না নিলো। বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম ,গাছের আমের স্বাদ টা কেমন জানতে পারলাম না।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



আহারে আপুন, পোস্ট টা পড়ে খারাপই লাগলো। কারণ নিজের হাতে কিছু ফলানোর ব্যাপারটাই আলাদা। কিন্তু সেই ফলন যদি খেতে না পারা যায়, বা বানর রসে নষ্ট করে দিয়ে যায় গাছ, তাহলে তো মন খারাপ হবেই। বানরগুলোই বা কি করবে, কোথা থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করবে। এখন তো না আছে বন, না আছে বড় কোন গাছ!
ব্যাপার টা খুবই দুঃখজনক আপু গাছের প্রথম আম কিন্তু সেটাও ঐ বানর খেয় নিল। আর বানরের উৎপাত দেখছি সত্যি অতিরিক্ত মাএায়। কখনো ছাদ থেকে কাপড় বা জুতা হাওয়া আবার কখনো রান্নাঘরে ঢুকে খাবার হাওয়া। বিষয়টি মেনে নেওয়া কষ্টকর। তবে আপনারা তো বনবিভাগ এর কতৃপক্ষ কে ব্যাপার টা জানিয়ে সাহায্য চাইতে পারেন।। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু বেশ অসুবিধার মধ্যে আছেন এই বানরের উৎপাতে।।
আপনারা বানরের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তবে ভাগ্য ভালো আমাদের এদিকে বানর নেই। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম বানানগুলো আপনাদেরকে অনেক অতিষ্ঠ করে। আপনাদের বাসায় পর্যন্ত চলে আসে। ফল এবং খাওয়ার জিনিস ফেলে নিয়ে যায়। অবাক কারা কান্ড বিষয় হচ্ছে ফ্রিজ থেকে ডিম এবং অন্যান্য জিনিস নিয়ে যায়। এবং বাসার ছাদে আপনারা কাপড় পর্যন্ত রোদে দিতে পারেন না। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা অনেক যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। তবে লোক মুখে শুনেছি বানরকে তাড়াতে লাগলে তারা একসাথে অনেকগুলো বানর এসে হামলা করে। সত্যি বলতে আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।