ঈদের আগের দিনের ব্যস্ত সময়।

in আমার বাংলা ব্লগlast month
৩ রা আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।

১৬জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।



এখন ষড়ঋতুর বর্ষাকাল ।

source

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে ঈদুল আজহার আগের দিনে সারাদিন কি করা হয় তাই নিয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।রোজার ঈদে খুব বেশি কাজ না থাকলেও ঈদুল আজহার সময় অনেক কাজ থাকে।ঈদুল ফিতরের সময় শুধু মাএ খাবারের জন্য চাঁদের দিন কোন রান্না করলেই হয় কিন্তু ঈদুল ফিতরের আগের নানান কাজ থাকে।

তবে রোজার ঈদের আগের রাতে বেশ মজা হয়।একমাস অনাহারে থাকার পর চাঁদ বেশ আনন্দের হয়।আর ঈদের দিন ও মজা হয়।তারপর দুই মাস দশদিন পর হয় আমাদের ঈদুল আজহা। আমাদের মুসলমানদের বছরে দুইটা ঈদ পালন করি।ঈদুল আজহা আসলে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাছাড়া আমরা ঈদগুলো মাধ্যমে গরীব বড়লোক হাসি আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য।


আসলে ঈদের দিন মানেই যেমন খুশি তেমনি কাজ ও বেশি।আসলে কাজ বেশি বলতে ইচ্ছে করেই কাজ করা হয়।আমাদের প্রত্যেক কোরবানি ঈদের আগের দিন অনেক কাজ থাকে।এই যেমন ঈদের দিন মাংস দিয়ে চালের রুটি খাওয়া বেশ ভালো লাগে খেতে। ঈদের দিন আমরা সকলে একএিত হই তাই মোটামুটি অনেক রুটি লাগে।


তাই আজকে সকালে উঠেই বাচ্চাদে খাওয়া রেডি করা হলো বড়রা কেউ খাইনি কারন সবাই রোজা ছিলো একমাত্র আমি ছিলাম না।প্রত্যেক বছর রাখা হয় তবে এই বছর রাখা হয়নি অসুস্থ থাকার জন্য বাচ্চাদের সাথে আমি খেয়ে নিলাম।তারপর ঈদের দিন চটপটি খাওয়া হবে তাই আগে আগে মটর আর আলু সেদ্ধ করা হয়েছে। <h/r>

আজকে আবার অনেক গ্যাস ছিলো বেশ কয়েকদিন গ্যাস একেবারেই ছিলো আজ থেকে দেখলাম পুরোপুরি গ্যাস আছে।যাই হোক তারপর হালকা পাতলা রান্না করে চালের রুটি বানানো জন্য বড় হাড়িতে পানি ও লবন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর চালের গুঁড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ভালো সিদ্ধ করে নিতে হবে যদিও আজকে সিদ্ধ টা খুব বেশি ভালো হয়নি।


তারপর আর কি সবাই মিলে রুটি বানানোর কাজে নেমে গেলাম।আমাদের হেল্পিংহ্যান্ড খালাও এসেছে।আমাদের খালা বেশ ভালো রুটি বানায়।রুটিগুলো আধা ছেঁকা করে রাখা হয় তারপর কাল ভালো করে ছেকে খাওয়া হবে।


যাই হোক ঈদ যেহেতু মেহেদী না হলে কি আর চলে বড়রা কাজ করবে ছোটদের তো মেহেদী লাগবেই। আমার ভাই এর মেয়ে মেহেদী দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে। আর মেহেদীর জন্য তো আমাকেই ধরবে ও।

আসলে ঈদেই বেশির ভাগ একএিত হওয়া হয় আর একএিত হওয়ার মজাই আলাদা। যদিও রোজার ঈদের সময় আমার খালু মারা যাওয়াতে ঈদ বেশ খারাপ গিয়েছে তাকে নিয়ে ঈদের দিন হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি হয়েছিলো।


আসলে আগে যখন ছোট ছিলাম তখনই ঈদ টাকে বেশ উপভোগ করেছিলাম। আগে ঈদ নিয়ে একমাস আগ থেকেই পরিকল্পনা থাকবো।কি ড্রেস কিনবো,কিভাবে সাজবো আর এখন ভাবি কি রান্না করবো কি খাওয়াবো।আমি যখন সকল ভাই বোনাের বাচ্চাগুলোর মজা দেখি বেশ মিস করি।ওরা ঝগড়া করবে আবার একসাথেই থাকবে।আবার একসাথে মজা করবে।


আসলে ওদেরই ঈদ।আসলে ওরা ঈদ করার জন্য যখন বাড়ি আসার দিন ঠিক হয় তখন তারা দিন গুনতে থাকে কয়দিন পর আসবে যাওয়ার সময় বেশ মন খারাপ হয়।


তাদের গরু ছাগল নিয়ে কি পায়তারা। কে গরুকে খাওয়াবে কিংবা কে ছাগল রাখবে এই নিয়েই তাদের সারাক্ষণ ঝগড়া। তবে ওরা যে যার বাসায় চলে যাওয়ার পর একজন আরেকজনকে যে মিস করে তা কিন্তু বোঝা যায়।আমি মাঝে মাঝে ভাবি ওদের মত আমাদের ও এমন বয়স ছিলো এইভাবেই মজা করতাম।এখন ওরা যেমন ভাবে কবে বড় হবো ঠিক আমরা তেমনি ভাবতাম হয়তো।


যাই হোক আজকে দিনটা আমার এভাবেই কাটলো। আপনাদের কেমন কাটলো তাই জানাবেন।আজ আর নয় আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।


Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last month 

বেশ! অসাধারণ ভাবে ঈদের আগের দিনের কর্মব্যস্ততা গুলো তুলে ধরেছেন আপনি। রোজার ঈদের আগের দিন অনুভূতিটি একটু বেশি থাকে। তবে এটি ঠিক বলেছেন ঈদের আগের দিন ছোটরা মেহেদি লাগাতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর বড়রা গরু, ছাগল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি অনুভূতির কথা শেয়ার করার জন্য।

 last month 

রোজার ঈদে যেহেতু আপনার খালু মারা গিয়েছিল তাই তো আপনার ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছিল। এবার অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। তবে রুটি বানিয়ে রাখার আইডিয়াটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। হালকা একটু শেক দিয়ে রাখলে নিশ্চয়ই অনেক ভালো থাকবে। তবে এটাও ঠিক বড়দের তুলনায় ছোটদের ঈদের আনন্দ অনেকটাই বেশি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67904.70
ETH 3244.25
USDT 1.00
SBD 2.66