নাটক রিভিউ :-উপহার(জনপ্রিয় একটি নাটক) ১০% বেনিফিশিয়ার @shy-fox এর জন্য। by-rafi4444.
আসসালামু-আলাইকুম
🌺সবাইকে স্বাগতম🌺
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে "নাটক রিভিউ" 💖উপহার💖শেয়ার করবো।আমার খুব পছন্দের নাটকের মধ্যে একটি।তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম "💖উপহার💖"নাটক রিভিউ নিয়ে।আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
নাটক রিভিউ:-উপহার
নাটকটির কিছু তথ্য:-
নাটক | উপহার। |
---|---|
পরিচালক | মিজানুর রহমান আরিয়ান। |
লেখক | মিজানুর রহমান আরিয়ান। |
অভিনয়ে | আবুল হায়াত,আফরান নিশু,মেহজাবিন চৌধুরী,সমু চৌধুরী,সাইফুল ইসলাম বাবু,নাদিয়া মীম,ফরহাদ লিমন,মাহাদী হাসান পিয়াল,পিন্টু মামা,রফিকুল আলম,সাঈদ খন্দকার,শওকত হোসেন,জসিম মোল্লা,স্বপ্না আক্তার,আন্জুমান আরা,রুমা,রুনা,বেবী,মরজিনা খাতুন। |
চিত্রগ্রহন | কামরুল ইসলাম শুভ। |
সম্পাদনায় ও কালার গ্রডিং | রাসেদ রাব্বী। |
প্রাথমিক সম্পাদনায় | মুনির হোসেন। |
সম্পাদনা চিত্রশালা | MOTION STUDIO. |
আবহ সংগীত | আপেল মাহমুদ এমিল ও শাহরিয়ার আলম মার্সেল। |
আবহ সংগীত বিন্যাস | মিজানুর রহমান আরিয়ান। |
গান | বাবা। |
কথা | সোমেশ্বর আলী। |
কন্ঠ | ইমরান মাহমুদুল। |
সুর ও সঙ্গীত | শাহরিয়ার আলম মার্সেল। |
প্রযোজনা সংস্থা | সিএমভি। |
দেশ | বাংলাদেশ 🇧🇩। |
ধরন | পারিবারিক নাট্য,শিক্ষামুলক। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির সাল | ২০২০ ইং। |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট। |
রিভিউ | @rafi4444। |
নাটকটির সংক্ষেপে কাহিনী:-
মধ্যবিত্ত পরিবারে বসবাস করেন আফরান নিশু।পরে একদিন সকাল বেলা নিশু ও মেহজাবিন ঘুম থেকে শুনতে পায় তাদের বাসার সামনে কে যেন একটা গাড়ি রেখে গেছে।মহল্লার মানুষ সবাই বলাবলি করছে এই গাড়িটা চোর হয়তো এখানে রেখে গেছে এজন্য পুলিশকে ফোন দেওয়ার কথা বলাবলি করছে।
এরই মধ্যে নিশু ও মেহজাবিন বাইরে আসে।আসার পর দেখে গাড়িটা তার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।এই নিয়ে তোলপাড় মহল্লার মানুষের মধ্যে ।
নিশুর ঠিকানায় একটা উপহার আসে একটা গাড়ি।ভাউচারে আফরান নিশুর নাম লেখা থাকে।কিন্তু গাড়িটা কে পাঠিয়েছে তার ঠিকানায় নিশু জানে নাহ।এই কথা নিয়ে মেহজাবিন ও নিশু দ্বিধাদন্দে পরে যায় আসলেই গাড়িটা পাঠাইছে কে?এই বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি চলে।
নিশু এবং মেহজাবিন অনেক চিন্তিত হয়ে পরে।তাদের কারও পক্ষ থেকে গাড়িটা আসে নাই তাহলে গাড়িটা দিল কে?? মেহজাবিন আবার মনে করে তাদের কেউ ফাসানোর জন্য এই পরিকল্পনা করছে।নিশুকে বলে তুমি গাড়িটা নিও না।তার পরও সব কিছু ভুল প্রমান করে নিজের কাছেই গাড়িটা রেখে দেয় নিশু।আফরান নিশু গাড়ি চালাইতে পারে না।পরে একটা গ্যারেজ এ গাড়িটি রেখে আসে এবং কেয়ার টেকার গ্যারেজ ভাড়া দাবি করে।গ্যারেজ ভাড়া ২০০০ টাকা চায় নিশু বলে এতো ভাড়া কেন ১৫০০ টাকা রাখেন।পরে গ্যারেজ ওয়ালার সাথে কথা বলতে চায়।
নিশু গাড়ি চালাতে পারে না এ জন্য সে চিন্তা করল একটা ড্রাইভার রাখতে হবে।কিন্তু ড্রাইভারটা অনেক বেশি বেতন চায় ২০,০০০ টাকা প্রতি মাসে।নিশুর বেতনের অধ্যেক এজন্য সে একটু কমায়ে ১৫,০০০ হাজার টাকা নিশু বলে। অতঃপর দুজনের মতে মিল হয় এবং গাড়ির ড্রাইভারকে রেখে দেওয়া হয় ।
ড্রাইভারের বেতন বেশি চাপ হয়ে যাওয়ার কারনে নিশু ইন্টারনেটে ড্রাইভিং কিভাবে করে তা শিখে এবং পরবর্তী সময় সে একটু ট্যায়েল দেয় গাড়ি নিয়ে।এর মধ্যে ড্রাইভার মিথ্যা কথা বলে যে গাড়ি মেকানির দোকানে ৬,০০০টাকা লাগবে।যখন বুঝতে পারে ড্রাইভার মিথ্যা কথা বলে টাকা নিছে।তখন আর ড্রাইভার সে রাখে না।
তখন সে একাই চালায় গাড়ি এবং গাড়িটি খুব যন্তে রাখে।কোনো ধরনের রিক্সায় সাথে লাগলে রিক্সা আলার উপর চড়াও হয়।
এতো কিছুর পরও মেহজাবিনের সন্দেহের ঘোর কাটে না নিশুর উপর থেকে। মেহজাবিন নিশুকে বলে এই গাড়ি টা তোমার এক্স গার্লফ্রেন্ড দিছে সে তো অনেক বড়লোক বাবার মেয়ে জিগ্গেস করো একবার তাকে।
চুপি সারে একদিন নিশু তার এক্স গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করে এবং জিগ্গেস করে তুমি কি কোনো ধরনের উপহার দিছো আমাকে।তার এক্স বলে নাহ। আমি কেন তোমার উপহার দিতে যাব।
পরে নিশু ওইখান থেকে চলে আসে এবং অফিস,বাসা কোথাও মন বসে না।সারাক্ষন ওই একই চিন্তা মাথায় নিয়ে থাকে কে দিল গাড়িটা।
এ দিকে নিশুর অফিসের বস নিশুর গাড়িটা দেখে মনে মনে চক্র পাতে।পরবর্তীতে নিশুকে বলে তুমি ৩৫ লক্ষ টাকার হিসাব গড়-মিল করে ফেলছো।তোমাকে টাকা দিতে হবে।তখন নিশু ও মেহজাবিন পরে যায় বিপদে এতো টাকা তারা কোথায় পাবে।এরই মধ্যে নিশু তার চাকরি হারায়।
তখন একটা সময় মাঝ রাতে নিশু তার বাবার কাছে ফোন দেয়।সব কিছু খুলে বলার পর তার বাবা তাকে আসতে বলে।
নিশু তার বাবার(আবুল হায়াত)কাছে আসে সঙ্গে মেহজাবিনকেও নিয়ে আসে।নিশু ও মেহজাবিনের সব কথা শুনার আগেই তাদেরকে বলে খাবার খাবি আয় তার পরে সব শুনবো।
খাবার খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ নিশুর বাবা বলে ওঠে "গাড়িটা আমি কিনে দিয়েছি"তোমাদের কে।গ্রামের বাড়িতে যে জায়গা টুকু ছিল তা বিক্রি করে দিয়েছি।
তোমার আর বউমার অফিসে যেতে কষ্ট হতো দেখতাম তো।ভেবেছি তোমাদের আরাম হবে।
এখন কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে, গাড়িটা তোমাদের ঝামেলার কারন হয়ে দাড়িয়েছে, "ঠিক আমার মতো"
কিন্তু এতো ঝামেলার পরও "তোমরা গাড়িটা ছাড়োনি" গাড়িটা নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছো। "বাবাতো তোমাদের অনেক বড় ঝামেলা ছিল নাহ"ছোট্ট একটা জিনিস।
বাবাকে কাছে রাখনি
তখন নিশু আর মেহজাবিন আগের দিনের কথা গুলো চিন্তা করে এবং তাদের ভুল বুঝতে পারেন।
নাটকটি থেকে শিক্ষা:-
নাটকটি আমার ভিশন ভালো লেগেছে।প্রতিটি বাবার কাছে সন্তান একটি অমূল্য রতন কিন্তু সন্তানের বিয়ের পর বাবা মুল্যহীন হয়ে যায়।বাবাকে কষ্ট দিয়ে সন্তান কখন সুখের মহনায় চিরকাল পরে থাকে না।একটা সময় সেই কষ্টের আর্বিভাব দেখা দেয়।সন্তানের কাছে বাবার ঠাই না হলেও ঠিকই বাবার কাছে সন্তানের জন্য রাজপ্রাসাদ জমা আছে।বাবা তো বাবাই সে হাজারো দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করলেও তা সন্তানকে বুঝতে দেয় না।আমরা হরেক রকম সৈনিক দেখে থাকি সে সরকারি বেতন ভুক্ত কিন্তু বাবারা কোনো অর্থ ছাড়াই মাসের পর মাস একধারে কষ্ট করে সন্তানের শখ আল্দাদ পুরন করে থাকেন।
এই নাটকে সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ব্যক্তিগত মতামত:-
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান স্যারকে।এতো সুন্দর একটা নাটক আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য।পরিচালক বাবা আর সন্তানের শখ নিয়ে তৈরি করেছেন।
কেউ যদি এই নাটকটি না দেখে থাকেন তাহলে নাটকটি তারাতারি দেখুন।
ব্যক্তিগত রেটিং:-১০/১০%
আমি আশা করছি আমার উপহার নাটক রিভিউটা আপনাদের ভালো লেগেছে।নাটকটি দেখবেন ভালো লাগবে। আপনাদের মাঝে আবার হাজির হবো নতুন আর একটি নাটক রিভিউ নিয়ে। খোদা হাফেজ 💓
অনেক সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন ভাইয়া নাটকটি।আমি এটি অবশ্যই দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান বক্তব্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আসলেও নাটকটি খুবই সুন্দর ছিল।আরফান নিশো মানেই আগুন।অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটির বর্ণনা দিয়েছেন।নাটকটির শিক্ষা মূলক দিকটা অনেক ভালো ছিল।বাবা কখনো সন্তানকে ফেলে দিতে পারে না।ছেলে যতই খারাপ হোক।
শুভ কামনা রইলো ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই,এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য এবং উৎসাহ যোগান দেওয়ার জন্য।
অসম্ভব সুন্দর একটি নাটক,নাটক টা আমি দেখেছি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজায়েছেন এবং ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকেও আপনি নাটক টি দেখছেন বলে।
আরো ধন্যবাদ জানাতে চাই আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য
শেষ ফিনিশিং টুকু ভালোই ছিল । ভালোই দিয়েছেন রিভিউ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার অসাধারন মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আর এভাবেই উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকবেন ভাই।
সত্যি নাটক টা অসাধারণ। আমি দেখেছি অনেক বার।আর তুমি নাটক টার কথা গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছ।