|| প্রথমবারের মতো পদ্মার চড়ে ঘুরাঘুরির অনুভূতি || ১০% লাজুক খ‍্যাঁকের জন‍্য বরাদ্দ।

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@rafi4444 বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২০ মাঘ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল |


আমি রফিকুল ইসলাম,আমার ইউজার নাম @rafi4444।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার প্রথমবারের মতো পদ্মার চড়ে ঘুরাঘুরির অনুভূতি সম্পর্কে উপস্থাপনা করবো ।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার এই পোস্টের ১০% বেনিফিশিয়ার @shy-fox এর জন‍্য।

চলুন শুরু করা যাক


IMG_20220204_184306.jpg

অনেকদিন কোথায় ঘুরাঘুরি হয়ে উঠেনি অনেক ব‍্যস্ততার কারনে। যখন কলেজ আবার করোনার কারনে বন্ধ ঘোষনা করা হলো তখন বাসায় উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো কোথায় না কোথায় বাইকে করে ঘুরাঘুরির করার। হঠাৎ একদিন আমার ফ্রেন্ড এবং মামাকে ফোন দিলাম ওরাও সম্মতি জানালো আমার সাথে। কিন্তু তাদের একটা শর্ত ছিলো সব খরচ আমার বহন করা লাগবো যেহেতু আমিই তাদের ফোন দিয়েছি আমিও তাদের কথায় সারা দিলাম। রেডি হয়ে বাজারে আসলাম বিকেল তিনটায় তারাও প্রস্তুত। একটা মজার ব‍্যাপার হলো তারা যখন বাইকটি স‍্যাস্ট দিয়ে রাস্তায় উঠেছে তখনই বাইক বন্ধ হয়ে গেছে তেলের অভাবে😥😥। তখন আমাকে ফোন দেওয়া হলো আমি তরিঘড়ি করে অন‍্য একটি বাইক নিয়ে যাই আর তেল কিনে। তখন আমরা আমাদের বাজারে আসি। তিনজন মিলে কথোপকথন করি কোথায় যাওয়া যায়। আমার মাথায় একটি প্লান ছিলো কাঠের পাঁচ তলা বাড়ি দেখতে যাওয়ার। যখনই পথে বাঁধা হয়েছে প্রথমে তখন আমরা আর বেশি দুর যাই নাহ। আমাদের বাড়ির পাশেই একটা চড় পরেছে ঐ খানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। অতঃপর আমরা রওনা দেই পদ্মার চড় দেখার জন‍্য। প্রায় ২০ মিনিট বাইক চালিয়ে পৌছায় গন্তব্য স্থলে। একটা মজার ব‍্যাপার ছিলো বাইক নিয়ে যাওয়ার উপায় ছিলো। যেহেতু চড়টাকে ঘুরে ফিরে দেখবো একটু সময় লাগবে তাই দোকান থেকে কিছু খাবার কেনা হয় এবং সঙ্গে একটি পটেটো চিপস😋। এই জায়গাটির নাম হাবাসপুর ঘাট।শীতকালীন এই সময়ে যখন নদীর পানি শুকায়ে যায় তখন অনেক পথযাত্রী এই ঘাঁট পেরিয়ে পদ্মার ওপারে যায়। অনেকটাই পথ অতিক্রম করে পদ্মা নদী। সেহেতু এখানে ঘোড়া দ্বারা যানবাহন ব‍্যবহৃত হয়ে থাকে। কারন বালুর মধ্যে হাটা অনেক কষ্ট সাধ‍্য হয়ে পরে। অনেক বয়স্করাও এই ঘাঁট দিয়ে পার হতে থাকে তাই এই যানবাহনটি ব‍্যবহার করা হয়ে থাকে। তো আমাদের কাছে যেহেতু বাইক ছিলো আমরা বাইকে করেই পদ্মার চড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। মাঝখানে যেতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লেগে যায় আমাদের কেননা নতুন চড় পরেছে এবং বালু শক্ত হয়ে উঠেনি এজন্য গাড়ির চাকটা স্লিপিং করছিলো।


IMG_20220204_182855.jpg

IMG_20220204_182659.jpg

IMG_20220204_182943.jpg

IMG_20220204_183602.jpg

IMG_20220204_182823.jpg

চড় পরেছে কিন্তু সাইডে করে একটু পানির সিরা চলেই এসেছে মুলত যেখানে একটু গভীরতা। পানি তেমন একটা ছিলো না নদীতে মনে হয় ২-৩ ফিট হবে। মজার ব‍্যাপার হলো নদীর পানি যেখান দিয়ে আছে তার পাশ ঘেসে সারিসারি ধান লাগিয়েছে কৃষকরা। নদীর মাঝখান দিয়ে দুই পার্শ্ব করে বাশের বেড়া দেওয়া হয়েছে মুলত অচেনা মানুষ যাতে বুঝতে পারে এই পাশ দিয়ে অল্প পানি আছে পারাপার হওয়া যাবে।


IMG_20220204_183106.jpg

IMG_20220204_183006.jpg

IMG_20220204_183148.jpg

IMG_20220204_183349.jpg

বালুর চড়ে যেহেতু কোন রাস্তা নেই জমির দুই পাশে দুইটা খুটি গেরে দেওয়া হয়েছে পথযাত্রীদের সুবিধার জন‍্য। যাতে তারা সহজেই তাদের গন্তব্যে পৌছাতে সক্ষম হয়। মাঝ পর্যায়ে যেয়ে আমরা একটু বিরতি নেই এবং কিছু খাওয়া দাওয়া করি।


IMG_20220204_183026.jpg

IMG_20220204_183406.jpg

IMG_20220204_183442.jpg

IMG_20220204_183426.jpg

IMG_20220204_183514.jpg

কিছুদুর যাওয়ার পর দেখি নতুন চড়ে জমিতে নতুন মাটি পরাতে এক চাচা গরু দিয়ে লাঙল দিচ্ছে। ধুলাগুলো উরছিলো দেখতে অনেটাই ভালো লাগছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘাঁটের ওপার থেকে লোকজন বুঝাই করে গাড়িওয়ালা হাবাসপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে। যেন মনে হচ্ছে মরুভূমির বুকে একদল মানুষ এবং ঘোড়ার ছুটে চলা। বিষয়টি খুব উপভোগ করেছি আমি। এভাবে ঘুড়তে ঘুড়তে অনেকটাই সময় পার করে থাকি আমরা। সূর্য মামার অবস্থান টাও একটু একটু করে শেষের দিকে চলে যাচ্ছে।


IMG_20220204_183206.jpg

IMG_20220204_183459.jpg

IMG_20220204_183255.jpg

IMG_20220204_183529.jpg

IMG_20220204_183543.jpg

সূর্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক মজা লাগে এই ধরনের চড়ে কেননা একদম পরিস্কার ভাবে সূর্য টাকে উপলব্দি করা এবং ভিউটাও অনেক সুন্দর আসে ক‍্যামেরায়। বালুর চড়ে এক টুকরা আখঁ থেকে আখেঁর পাতা গজিয়েছে তার মাঝবরাবর দিয়ে সূর্য মামার অবস্থানটি জাষ্ট অসাধারন ছিলো। অতঃপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেছিলো চারিদিকে তখন আমরা বাসায় ফিরে আসি।


Device : Redmi 10 prime.
What's 3 Word Location :https://w3w.co/animals.honking.mortgaged

  • তো এই ছিলো আমার প্রথমবারের মতো পদ্মার চড়ে ঘুরাঘুরির অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে আমার ভ্রমনটি।

ধন্যবাদ সবাইকে

Y2TyqY1SUSMFB8YtmVQ.png

Y2TyqY1SUSMFB8YtmVQ.png

Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

💗💗💗

standard_Discord_Zip.gif

🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

পদ্মার চরে গিয়ে তো বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। ছবিগুলো দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে জায়গাটা খুব সুন্দর। আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়ে এলেন,পদ্মার চর আমাদের অঞ্চল থেকে দূরে বলে যাওয়া হয় নি।কিন্তু আমাদের অঞ্চলের সব জায়গায় ঘুরাঘুরি হয়ে গেল, খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।

জ্বী জায়গাটা অনেক সুন্দর। আপনার বাসা কোথায়??

 2 years ago (edited)

নিজের খরচে বন্ধু ও মামার সাথে প্রথম বারের মত পদ্মার চরে ঘোরাঘুরি বেশ ভালো ছিল। বাজারে এসে আলাপ আলোচনা করে বাইক নিয়ে পদ্মার পাড়ে পৌঁছে গেলেন। পদ্মার পাড়ে পানি শুকিয়ে বেশ চর পড়ে গেছে এর মধ্যে গাড়ির স্লিপিং নিয়ে একটু ভয়ে ছিলেন। আপনার সাথে আমার ও পদ্মার পাড় ঘোরা হয়ে গেল । সবকিছু মিলে অনেক ভাল ছিল। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আমার পোস্টটি পরে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন‍্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু💖💖🥰

 2 years ago 

ওয়াও দৃশ্য গুলো জাষ্ট ওয়াও।সব গুলো ছবির মধ্যে বালুর মধ্যে দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি চলার দৃশ্যটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। নদীর তীরে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমার করা ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।

পদ্মার চরে ঘোরাঘুরি করার আনন্দই অন্যরকম। আমি সব সময় নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ পছন্দ করি।দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসম্ভব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া। ❤️

জ্বী দিনটা অনেক ভালো ছিলো

 2 years ago 

ওয়াও আপনি অসাধারণ এবং সুন্দরতম মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট দেখেই বুঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আর এভাবে একা একা ঘুরতে যাওয়া ঠিক না মাঝেমধ্যে আমাদেরও নিয়ে যাবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

সুন্দর মন্তব্য করার জন‍্য ধন্যবাদ আর পরবর্তীকালে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে।

 2 years ago 

ঘোরাঘুরি করতে কমবেশি সবারই খুবই ভালো লাগে। নদীর পাড়ে ঘুরতে তো বেশিরভাগ খুবই ভালো লাগে। তেমনি আপনার ঘুরাঘুরি মুহূর্তটা দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। তেমনি আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে পুরো উপস্থাপন সম্পন্ন করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 😍😍

ধন্যবাদ আপু।💖💖🥰🥰

 2 years ago 

ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার ছিল। সবচেয়ে ভালো লাগলো সূর্যাস্তের ছবি গুলো। একদম বাঁধিয়ে রাখার মত। আর জায়গাটাও বেশ নিরিবিলি। চারদিকে ফাঁকা মাঠ। মাঝে মাঝে অবসর যাপনের জন্য এরকম জায়গা আমার খুব পছন্দ হয়।

জ্বী দিদি ঠিকই বলেছেন। জায়গাটা বেশ সুন্দর এবং অবসর টাইম কাটানোর জন‍্য একদম পারফেক্ট একটি জায়গা। ধন্যবাদ 💖💖🥰🥰

 2 years ago 

পদ্মারচর ঘুরে দারুন সব ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুণভাবে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ।আমারও ভালো লাগে এরকম পরিবেশে ঘুরতে। আমিও মাঝেমধ্যে সময় পেলেই ঘুরতে চলে যায় পদ্মার পাড়ে। এরকম মনমুগ্ধকর পরিবেশ মাঝে মধ্যে নিজেকে হারিয়ে দিতে মন চায়।

আপনার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করছি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া

 2 years ago 

অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন দেখলাম। আর বিশেষ করে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে। বিশেষ করে একটা জিনিস খুবই অবাক লাগলো। নদীর পাশে একটু জায়গায় কৃষকেরা ধানক্ষেত করেছে। এরকম জায়গায় আমি কিন্তু কখনো ধানক্ষেতে দেখিনি। বেশ ভালো লাগলো দেখে। পুরো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমিও উপভোগ করতে পারলাম।

গঠনমূলক মন্তব্য করার জন‍্য ধন্যবাদ আপু💖🥰

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.026
BTC 56095.11
ETH 2533.38
USDT 1.00
SBD 2.23