|| 😋মেসের সবাইকে নিয়ে ঝাঁল মুড়ি খাওয়ার অনূভুতি😋 || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@rafi4444 বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২৮ ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বসন্তকাল |
আমি রফিকুল ইসলাম,আমার ইউজার নাম @rafi4444।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
চলুন শুরু করা
মেস লাইফ মানেই পরিবার থেকে মাইলের পর মাইল দুরে থাকা। সকল বন্ধুদেরকে খুব মিস করা। যখন মেসে অনেক গুলো মেস মেট হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে, তখন বিভিন্ন জনের প্রতি বিভিন্ন ধরনের অনূভুতি কাজ করে। এই সকল অনূভুতি গুলোই হয়তো পরিবার, প্রিয় বন্ধুদেরকে সাময়িক ভাবে ভুলে থাকতে সেখায়। এই মায়ার বন্ধনে যারা একবার পরেছে তারা মরেছে😥। তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা সত্যি অনেক কষ্টকর। গতকাল এক বড় ভাইয়া মেস থেকে বিদায় নিবে ( তাকে অনেক আগেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দেওয়া হয়েছিলো) সে আবার ঝাঁল মুড়ি খুব পছন্দ করে সেটা আমরা সবাই জানতাম। মেসে থাকলে ঝাঁল মুড়ি খায়নি তাদেরকে আর কী বলবো। সব সময় মেসে থাকার কমন খাবার ঝাঁল মুড়ি,নুডুলস,খিচুড়ি ডিম ভাজি এটা মানতেই হবে💯। তো আমরা সবাই প্রায় সময়ই এই ধরনের খাবারের আয়োজন করে থাকি তবে আজকের রেসিপির আইটেম একইই ছিলো কিন্তু কারনটা ছিলো স্পেশাল।
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location :https://w3w.co/recaptures.lacing.waking
ঐ বড় ভাইয়াই বললো কাল আমি চলে যাবো আজকে রাতে একটু ঝাঁল মুড়ি খাওয়া হলে কেমন হয়? আমরা সবাই তার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করলাম। আর দেরি না করে এক ছোট ভাইয়ার কাছে সকল প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য টাকা দিয়ে দেওয়া হলো। কিছুক্ষণের মধ্যে ঐ ছোট ভাইয়াটা আনুষঙ্গিক সব কিছু নিয়ে চলে আসলো। একটি রুমে মেসের সকল বর্ডার একত্রহয়ে বসে পরলাম। কোন এক সময় ঐ বড় ভাইয়াটা এক পর্যায়ে সালাম বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে বিদায় নিলেন। এখন শুধু ঝাঁল মুড়ি খাওয়ার পালা। প্রতিটি মেসে এমন কিছু ছেলে থাকে যে মেয়েদের সকল রান্নার কাজ পারে। একটা ছোট ভাইয়া আছে সে আবার এই ধরনের কাজে খুব পারদর্শিতা। তাকেই সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়া হলো।
- মুড়ি
- চানাচুর
- মুড়ি মাখানোর মসলা
- ছোলা
- পেঁয়াজ
- মরিচ
- ধুনেপাতা
- সরিষা তেল
কাজের ধারা
- ধাঁপ-০১ঃ
- প্রথমে সকল প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে নিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ এবং কাচা মরিচ কুচি করে কেটে নিয়েছি সঙ্গে ধুনেপাতা কেটে আলাদা পাত্রে রেখে দিয়েছি। তারপর...
- ধাঁপ-০২ঃ
- পেঁয়াজ,কাচা মরিচ,ধুনেপাতা কেটে নেওয়া সকল কিছু একটি পাত্রে রেখে পরিমানমতো সরিষা তেল দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি হবে। তারপর...
- ধাঁপ-০৩ঃ
- সরিষা তেল দিয়ে মাখানো পেঁয়াজ,মরিচ,ধুনেপাতার মধ্যে চানাচুর ঠেলে দিয়ে আরেকটু তেল দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়েছি। তারপর...
- ধাঁপ-০৪ঃ
- এবার ঝাঁল-মুড়ির মধ্যে পরিমান মতো ছোলা দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি ভালোভাবে। তারপর...
- শেষধাঁপ
- সকল মাখিয়ে নেওয়া মসলার মধ্যে মুড়ি ঠেলে দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি। এবার প্যাকের মসলা দিয়ে আবারো ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো আমাদের সুস্বাদু ঝাঁল-মুড়ি।
- তো এই ছিলো আমার মেসের সবাইকে নিয়ে ঝাঁল মুড়ি খাওয়ার অনূভুতি। কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আপনার অনূভুতি শেয়ার করবেন। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মেসের সবাইকে নিয়ে ঝাঁল মুড়ি খাওয়ার অনূভুতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে আপনার এই অনুভূতি দেখে আমারও ম্যাচ লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও সবাই মিলে অনেক মজা করতাম। সবার সাথে ভাগাভাগি করে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। সেই দিন গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনার সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
ভাইয়া মেসের সবাইকে নিলে মুড়ি মাখা খাইলেন আমাদেরও ডাকতেন। ভাইয়া মনে পড়ে গেল সেই মুড়ি মাখার কথা। ঘটে যাওয়া কথা না বলি। তবে আপনার মুড়ি মাখার প্রক্রিয়াগুলো অনেক ভালো লাগলো। পানি চলে আসলো জীবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সুগঠিত মন্তব্য কমেন্টের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ
সবাই একসাথে মিলে কোন কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। মনে এক ধরনের আলাদা অনুভূতি জাগে। আপনার মুড়ি মাখা দেখে আমার খেতে অনেক ইচ্ছে করতেছে। আপনি আপনার মেসের সবাইকে নিয়ে যেভাবে মুড়ি মাখা খাওয়ার আয়োজন করেছেন তা দেখে আমারও ইচ্ছে করছে আপনাদের সাথে জয়েন হওয়ার। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনাকে
মুড়ি মাখা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনি যেভাবে যত্ন করে মুরগিগুলোকে মাখালেন দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। মুড়ি মাখায় ধনিয়া পাতা কুচি দেওয়াতে এর স্বাদ আরও দ্বিগুন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আপনি আপনার মেসের সকল সদস্যকে নিয়ে মুড়ি মাখা গুলো খেয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন, তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বুঝতে পারছি। আর এই ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্যটি একবার দেখে নিবেন প্লিজ। ধন্যবাদ
আসলে সবাই মিলে কোন কিছু খাওয়া মজাই আলাদা।আর যদি হয় মেসের মানুষ অথাৎ বন্ধু তাহলে তো কোন কথাই নাই। মুড়ি মাখাটা মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে।আমি মুড়ি মাখলে পেয়াজ ছাড়া বানাই। যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
দিলেন তো মনে করে দেই অতীত। আমার জীবনেও ঠিক এইরকম বহু অভিজ্ঞতা আছে ভাই ।
জ্বী ভাইয়া এ রকমের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রায় সবার জীবনেই আছে বলতে গেলে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনূভুতি কমেন্টের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া💯🥰।
মেসের সবাইকে নিয়ে আপনি দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন। আসলে এভাবে সবাই একসাথে কোন কিছু খেলে খুব ভালো লাগে মনে হয়। আর মুড়ি মাখা এভাবে একসাথে খেলে কি মজাটাই না হয় সেটা আমি হয়তো বুঝতে পারছি না তবে দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার খুব আনন্দ করেছেন। মুড়ি পার্টি উপলক্ষে আপনি আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভালো মন্তব্যের জন্য
ভাই মুড়ি মাখানো দেখে তো লোভ লেগে গেলো মন চাচ্ছে এখনই আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে যাই। তবে বেশ ভালো আপনারা সবাই একসাথে মিলে মুড়ি মাখানো খেয়েছেন, একসাথে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। খুবই চমৎকার এবং অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বুঝা যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনাদের এই আনন্দঘন মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন অনেক মজা করেছিলাম।
সত্যি কথা বলতে ভাইয়া একসাথে সবাইকে নিয়ে কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। মুড়ি মাখা আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার মেসের সবাই কে নিয়ে মুড়ি মাখা গুলো অনেক আনন্দের সাথে খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ছোট বেলার অনুভূতি গুলো আপনি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই মেচে থাকলে গ্রামের বাড়ি ছেলেবেলার বন্ধু বান্ধব এদের কে খুব বেশি মিস হয় এবং ম্যাচে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আসে এবং একেকজনের মন মানসিকতা একেক রকম। এবং কি মনের মত বন্ধু পাওয়াটা খুব কষ্টকর হয়। তবে সবাই যখন আনন্দঘন মুহূর্ত কোনো কিছু খাওয়ার উদ্যোগ নেয় তখন আনন্দটা আরো বেশি বেড়ে যায়। আপনার ঝাল মুড়ি খাওয়ার মুহূর্তটি অসাধারণ ছিল, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনি আমার পোস্টটি পরে সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ