|| কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ভ্রমনের অনুভূতি || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য বরাদ্দ।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@rafi4444 বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১১ ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্তকাল |
আমি রফিকুল ইসলাম,আমার ইউজার নাম @rafi4444।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি।
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location
:https://w3w.co/toehold.soup.deplete
চলুন শুরু করা
যাত্রা পথ
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location
:https://w3w.co/toehold.soup.deplete
ঘুরতে আমার সব সময় অনেক ভালো লাগে। কারন ঘুরতে বেরোলে মনটা অনেক ফ্রেশ মুড থাকে। আমি তেমন একটা বাসায় থাকি না লেখাপড়ার কারনে শহরে থাকতে হয়। হঠাৎ আমার এক মামা আমাকে ফোন দিলো বাসায় গেলে নাকি রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি আমাকে নিয়ে যাবে। তাই আমি তড়িঘড়ি করে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পরের দিন ছিলো শুক্রবার।
কুঠিবাড়ি প্রথম এবং দ্বিতীয় গেইট।
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location
:https://w3w.co/toehold.soup.deplete
ঐ দিনটাতে ঘুরাঘুরি করতে অনেক মজা লাগে তাই শুক্রবার দিনটাই বেছে নেই আমি। ঘড়ির কাটা তখন দুইটা বেজে চলেছে তখনই রওনা হই কবিগুরুর বাড়ি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। আমার ঠিক মনে পরছে নাহ সেই কবে কবিগুরুর বাড়িতে গিয়েছিলাম তাও তেমন একটা ঘুরতে পারছিলাম নাহ। এ জন্য একটু এক্সাইডেট ছিলাম। তাই একটু সকাল সকাল বাসা থেকে বাইক টা নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম।
কুঠিবাড়ি সামনের পথ।
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location
:https://w3w.co/toehold.soup.deplete
যাওয়ার পথেই প্লান করেছিলাম আজ সারাদিন ঘুরবো। আমাদের বাসা থেকে প্রায় আধা-ঘন্টার পথ শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি। তো আধা-ঘন্টার জার্নি শেষে কুঠিবাড়ি তে আমরা পৌঁছাতে সক্ষম হই। আমাদের বাইকটি গ্যারেজে রেখে চলে যাই কুঠিবাড়ির একদম মেইন গেইটে। মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হলে টিকিট কাটতে হবে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তবে শুক্রবারে একটু ভিড় জমে অনেক দুর-দুরান্তে থেকে প্রতি শুক্রবার অনেক পর্যটকদের সমাগম ঘটে এবং অনেকেই এখানে পিকনিকের উদ্দেশ্য আসে। হয়তো এ জন্যই একটু ভিড় ছিলো গেইট এ।
রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location
:https://w3w.co/toehold.soup.deplete
অতঃপর দুই জনের চল্লিশ টাকার টিকিট ক্রয় করে আমরা ভিতরে প্রবেশ করি। যেহেতু কোভিট-১৯ চলছে একটু সাবধানতার সাথে প্রবেশ করি। যাইহোক মেইন গেইট দিয়ে আমরা সরাসরি কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করি। ভিতরে প্রবেশ করতেই অনেক লোকের সমাগম দেখতে পাওয়া যায়। আমরা ফাঁকফোকর দিয়ে দ্বিতীয় তলাতে প্রবেশ করি। যেহেতু কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করা হইনি আমার এজন্য একটু উত্তেজনা বিরাজ করছিলো মনের মধ্যে। দ্বিতীয় তলাতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই চোখের সামনে অনেক কিছুই চলে আসে। আমি দেখতে পাই রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন বয়সের ছবি এবং তার ব্যবহৃত পালকি ও কাব্যগ্রন্থ লেখা ছবি দেয়ালে টানানো অবস্থায়। প্রতিটি রুম ঘুরেফিরে দেখি আর অবাক দৃষ্টিতে চেয়েছিলাম কবিগুরুর দিকে। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো আমি যেন রবীন্দ্রনাথের সামনে দাড়িয়ে রয়েছি। প্রতিটি কক্ষ ঘুরছিলাম আর ফটোগ্রাফি করছিলাম সব মুহূর্ত গুলো। দ্বিতীয় তলার সব কিছু দেখার পর একটু বারান্দায় আসি এবং উপর থেকে পুরো কুঠিবাড়ি ঘুরে ঘরে দেখি। আবার কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করি এবং সব ছবিগুলো পুনরায় আবার চোখ মিলাই।
কুঠিবাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে সামনের দৃশ্যপট।
Device : Redmi 10 prime
What's 3 Word Location
:https://w3w.co/toehold.soup.deplete
হঠাৎ একটি কক্ষ দেখে ঐ দিকে যেতে না যেতেই এক মামা বলে উঠলো ঐ দিকে প্রবেশ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। ঐ খানটাতে দেওয়ালে লেখা ছিলো কিন্তু আমি খেয়াল করেছিলাম না। লেখাটি পরার পর আমি আর ঐ দিকে না যেয়ে তিন তলাতে চোখ দিতেই ঐ খানেও লেখা প্রবেশ নিষেধ। শুনেছি লোকের মুখে একটি কক্ষ এবং তিন তলাতে কাউকেই ডুকতে দেয়া হয় না। আমার মনে হরেক রকমের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন। কক্ষের মধ্যে কি এমন রাখা আছে যে কক্ষটি তালা বদ্ধ এবং লেখা প্রবেশ নিষেধ। যাইহোক সেসব কথা আর না বলি ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ বড় ভাইয়ার একটি ফোন আসে তখনই তড়িঘড়ি করে নেমে আসি এবং বাইরে একটু রেস্ট নেওয়ার পর আবার আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
নিজস্ব কিছু মতামত
সত্যি রবীন্দ্রনাথের কুমারখালী শিলাইদহ কুঠিবাড়ি টি দেখতে অসাধারণ। দুর থেকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে বাড়িটি। এতো সুন্দর একটি বাড়ির প্রেমে যে কেউ পরবে। আপনারা চাইলে বাড়িটি দেখে আসতে পারেন। পুরো এরিয়া টি সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান করা চারিদিক দিয়ে। কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করলে রবীন্দ্রনাথের অনেক স্মৃতিচারণ দেখতে পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করতে পারবেন আশা করি।
- তো এই ছিলো আমার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ভ্রমণের অনুভূতি।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভ্রমনের সব দারুন সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।ছবি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে ছাদের ওপর থেকে তোলা ছবি গুলো বেশি সুন্দর লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া
ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কুঠিবাড়ি ভ্রমণের গল্পটি বেশ ভালই লাগলো। আমিও একবার গিয়েছিলাম কুঠিবাড়িতে। মোটামুটি একটি দিন সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা। সেই সঙ্গে কবিগুরুর অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে যার সর্বত্র। সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য
কবিগুরু রবি ঠাকুরের বাড়ি ঘুরে আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সুন্দর উপস্থাপনা সহ যতবার যায় ততোবারই আবার যেতে মন চায় রবি ঠাকুরের বাড়ি আমাদের কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য
ধন্যবাদ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে ভ্রমণের খুবই সুন্দর কিছু অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ছোটবেলায় একদিন এই জায়গাতে গিয়েছিলাম ভ্রমণ করার জন্য। জায়গাটি আমার বাড়ীর খুব কাছাকাছিই হওয়া সত্বেও এখানে খুব একটা বেশি ঘুরতে যাওয়া হয়না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য
টুইটার শেয়ার।
https://twitter.com/Rafiqul61123325/status/1497243905732927495?t=a2oIMFBRfLu99Odgtmmbjw&s=19
অনেক আগ থেকে এ জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। সময়-সুযোগ না হওয়ার কারণে এখন আর যেতে পারিনি। আপনার কাছে দেখে খুবই ভাল লেগেছে। ছবিগুলো আমার কাছে অসম্ভব। এত অসাধারন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাড়ি আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি ।অনেক দিন আগে বাড়ীটি করা হলেও তার সৌন্দর্য এখনো রয়েছে। তার বাড়িটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এবং বাড়ির আশেপাশে অনেক ফুল গাছ হওয়ায় বাড়ীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে ।রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি যাওয়ার অনুভূতি সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি আমি গিয়েছিলাম।অনেক সুন্দর জায়গা।আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।বিভিন্ন কিছু দেখে। আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ সুন্দর।উপস্থাপনাও বেশ সুন্দর । ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
দেখেই বোঝা যাচ্ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবার সঙ্গে। সেইসাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির অনেক সুন্দর সুন্দর মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যদিও আমি কখনো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে যায়নি তবে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সকলের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপনি একদিন ঘুরে আসবেন ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য