🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

---

---

💞হ্যা_{^{লো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা।সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।ঈদ মানেই একটা আনন্দ কাজ করে মনের ভিতরে।বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে এইটা বেশি কাজ করে।কারন এক মাস রোজা রাখার পর যেন আমাদের ভিতরে উপর ওলার শান্তি নেমে আসে।তবে এইবারের ঈদটা একটি ভিন্ন রকম হয়েছিল।কারন বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে সকাল বেলা।আমিও এরই মধ্যে পরে গেছি।সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বৃষ্টি দেখে আসলে মন খারাপ হয়ে যায়।এর পর নামাজ পরে আসার পর দেখলাম রোদ উঠেছে যা দেখে মনটা শান্তিতে ভরে গেলো।তখন আমার বন্ধু সাব্বিরকে বললাম যে চলো ঘুরে আসি।আমরা দুইটা মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম আমাদের সুরা মসজিদ ভ্রমনের উদ্দেশে।আজকে এই ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে শেয়ার করবো।বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি।💞}}

---

---

সুরা মসজিদ মূলত মুসলিম সভ্যতার একটি নিদর্শন।এটির অবস্থান দিনাপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় হিলি চৌগাছা এলাকায় অবস্থিত।এই মসজিদের বয়স প্রায় ৪০০ বছর।যার নির্মাণশৈলী এবং কারুকাজ আপনাকে মুগ্ধ করবে।অনেকের ধারণা এটি সুলতানি আমলের হোসেন শাহীর এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।মসজিদের বাহিরের দিকের আয়তন উত্তর-দক্ষিন ৪০ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিম ২৬ ফুট। এই মসজিদটি ৪ ফুট উচু প্লাটফর্ম এর উপরে মসজিদের কাঠামোটি নির্মিত । এর ভিতরের আয়তন ১৬.১৬ ফুট। এই পুরো মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে অসংখ্য খোপ কাঁটা টেরাকাঁটার নিদর্শন যা যেন মসজিদের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদটির উপরে এক গম্বুজ বিশিষ্ট নামাজ ঘর এবং পূর্ব ভাবে ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট বারান্দা রয়েছে।এখানে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ আসে কেউ তাদের মনের আশা পূরণ করতে আবার কেউ নির্মাণশৈলী দেখতে।তবে এখানকার অনেক কথা প্রচলিত আছে যে এক দিনের মসজিদ হয়েছে আবার এখানে যা মানদ করা হয় তাই নাকি মনের আশা পূরণ করে। এখানে খাদেম হিসেবে রয়েছে সেকেন্দার আলী।যিনি প্রায় ২৬ বছর ধরে এই কাজ নিয়োজিত আছেন। এখানে মজার বিষয় হলো সেকেন্দার সাহেবের বাবা এবং তার এইভাবে যুগ ধরে তারা এই কাজে নিয়জিত আছে।যেটা আসলে আমাকে অনেকটা অবাক করেছে বলতে পারেন।এর সামনে খুব সুন্দর একটা পুকুর রয়েছে।যা এইটার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

---

---

---

আমরা প্রথমে গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর একটি সাইনবোর্ড দেওয়া।যেখানে খুব সুন্দর করে এই মসজিদের ইতিহাস বর্ণনা করা রয়েছে।এখানে ইংরেজি এবং বাংলা দুইটা ভাষা রয়েছে।যা দেখে অনেক ভালো লাগলো।

---

---

---

এইটা হচ্ছে মসজিদের প্রধান ফটক।আসলে আমি ঈদের দিনে যাওয়ার কারণে অনেক মানুষের ভিড় ছিল যা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না।যদিও আমি চিন্তা করি নাই এতো মানুষ হবে।আমি ভেবেছিলাম খুব নিরব একটা জায়গায়।কিন্তু এসে দেখি একদম উল্টা।যাইহোক মানুষের ভিরের মধ্যে প্রধান ফটকের একটা ছবি তুলে নিলাম ।আমাকে এই নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করেছে।

---

---

---

খুব কাছ থেকে প্রধান ফটকের একটি ছবি নিয়েছি। আসলে ইটগুলো দেখে মনে হয় না যে এইটা সেই ৪০০ বছরের আগের করা কোন নিদর্শন।যা আমাকে অবাক করেছে।

---

---

---

ভিতরে যাওয়ার পর আমি মসজিদের সামনে দাড়িয়ে একটা সেলফি তুলে নিলাম।আসলে এখানে যাওয়ার পর আমার একটা ভালো লাগা কাজ করতেছিল।যদিও মানুষের মধ্যে অন্যরকম একটা ফিল হচ্ছিলো।সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।আর আমার ছবিতে মসজিদের সামনে যে মানুষটিকে দেখছেন এই সেই সেকেন্দার আলী।যিনি এই মসজিদের খাদেম হিসেবে আছে গত ২৬ বছর ধরে।

---

আমরা যেহেতু বিকালে গিয়েছিলা ওখানে পৌছাতে প্রায় সন্ধা হয়ে গিয়েছিলো।আমরা যাওয়ার পর একটু পরে মাগরিবের আযান দিয়ে দিয়েছিল।তাই আমি চিন্তা করলাম যে নামাজ পরে নেই এবং সেই সাথে মসজিদ দেখাও হয়ে যাবে।আপনরা উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন অসাধারণ নির্মান কাজ।যা আমাকে রীতিমত অবাক করেছে।

---

---

---

উপরের দুইটা ছবির প্রথমটা হচ্ছে ইমাম এর জায়গা।যেখানে ইমাম সাহেব দাড়িয়ে নামাজ পরান।আর পরের ছবিটি হচ্ছে মসজিদের উপরের গম্বুজের ভিতরের ছবিটা।

---

---

---

এইটা হচ্ছে মসজিদে ঢোকার জন্য যে বারান্দা রয়েছে সেইটার যাওয়ার রাস্তা।যদিও দেখতে গলির মতো।

---

---

---

এটি হচ্ছে মসজিদের দেয়ালের একটি কারুকাজ।যা আমাকে মুগ্ধ করেছে।আসলে আমি অবাক হয়ে যাই যে ৪০০ বছর আগের নির্মাণ এটি।আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে কতোটা নিখুভাবে তৈরি করা হয়েছিল।

---

---

---

ইতিহাসের সাক্ষি রাখার জন্য আমি কিছু কারুকাজ আমার ফোনে তুলেনিয়েছিলাম।এতে করে সবার মাঝে শেয়ার করতে পারলাম।

---

---

---

এরপরে নামাজ পরে আমার বন্ধু মাহফুজের সাথে একটা ছবি তুলেছিলাম।নামাজের কারণে মসজিদ থেকে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই জন্য ফাকা অবস্থায় ছবি তুলতে ভালই লাগতেছিল।আসলে সন্ধ্যা হলেও তখন আলো ভালই ছিল।

---

---

---

মানুষ না থাকার কারণে আমি আসলে প্রথমে মসজিদের কোন ভালো একটা ছবি তুলতে পাচ্ছিলাম না।নামাজের পর মানুষ সব যাওয়ার কারনে মসজিদ একবারে ফাঁকা।এই সুজুগে মসজিদের একটা পুরো ছবি তুলে নিলাম।

---

---

---

---

দেখতে দেখতে আমরা ভ্রমনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি কারন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো।তাই আমরা সবাই মিলে একটা সেলফি তুলে গাড়ি দিয়ে রওনা দিয়ে দেই। কারন আমাদের প্রায় ৩০ কিলো মতরসাইকেলে করে আসতে হবে।তাই আজকের ভ্রমণ কাহিনী এখানেই শেষ করলাম।

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম ঈদ উপলক্ষে ঐতিহাসিক সুরা মসজিদ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা। জানি না কেমন হয়েছে।ভালভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আপনাদের উৎসাহ পেলে আরও ভালো কিছু করতে পারবো।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।তবে দেখা হবে অন্য কোন দিন অন্য কিছু নিয়ে।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro
ছবি তোলার স্থান	লোকেশন

আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।