🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

---

---

---

💞হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা।সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।কিছুদিনে আগে আমি গিয়েছিলাম আমার ভার্সিটির কাছে একটা নতুন রেস্টুরেন্টে খেতে।দুপুরে ভার্সিটি থেকে বাহির হয়ে ভাবলাম যে কিছু খাই।আমার সাথে আমার আরও বন্ধুরা ছিল সবাই বললো যে নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে অইখানে যাই।যার নাম আবার পেটুক বাড়ি।যেমন কথা তেমন কাজ।সবাই চলে গেলাম খাইতে।আজকে এই খাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি ।

---

এই খাবার হোটেলটির লোকেশন আমাদের ভার্সিটির থেকে একটু সামনে। মানে আমাদের ভার্সিটি যাওয়ার আগেই এর লোকেশন।যাওয়ার সময় হাতের ডান পাশে পরে।আমার কাছে হোটেলটির ডেকোরেশন অনেক ভালো লেগেছে।নতুন অবস্থায় সব কিছু ভালো থাকে।তবে পরে সার্ভিস খারাপ হয়ে যায়।

---

---

---

এইটা হচ্ছে প্রথমের গেট।নতুন দেখে বেশ ভালো করে সাজিয়েছে তারা।আমার কাছেও বেশ ভালই লেগেছে।কারন অনেক পরিষ্কার পরিছন্ন ছিল সব কিছু ।আর তাদের ব্যাবহার অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।

---

---

---

এরপরে ঢোকার পরেই দেখলাম হাতের ডান পাশে চাপ এবং গ্রিল বানানো হচ্ছে।দেখে বেস ভালই পরিষ্কার পরিছন্ন মনে হচ্ছিলো।সেই সাথে সবার আন্তরিকতা ভালো ছিল।

---

---

এরপরেই দেখলাম জুসের বার।যেখানে হরেক রকমের জুস পাওয়া যাচ্ছে।এবং এর সাথে ফালুদা পাওয়া যায় এখানে।যদিও এগুলো খাওয়া হয় নাই।তবে একদিন খেয়ে টেস্ট করতে হবে।

---

---

---

আমরা ছবি তুলতেছিলাম হটাৎ করে ওয়েটার মামা এসে বললো যে মামা আমিও ছবি তুলবো।আমি আর না করলাম না।আমার পাশেই বসতে বললাম ওনাকে।উনিও খুব খুশি দেখি ভি সাইন দিয়ে ছবি তোলার সময়।এরপর আমরা অনাকেই খাবার এর অর্ডার দিয়ে দিলাম।যদিও তখন প্রায় ৪ টা বেজে গিয়েছিল।তাই ভাবলাম শুকনা কিছু খাই।তাই একটা চাপ অর্ডার করে দিলাম।আমার বাকি বন্ধুরা কেউ পরাটা এবং ভাত খেয়েছিল

---

---

---

অর্ডার দেওয়ার পর আমি ফ্রেস হয়ে আসলাম এবং সেলফি তুলে নিলাম ।আর এখানকার সিটগুলো বেশ আরামদায়ক।আসলে আমরা বাঙালি মানেই অলসতা খুজি।যাই হোক খাবার এর দিকে নজর দেওয়া যাক।

---

এইটা হচ্ছে খাবারের মেনু।আমার কাছে দাম তুলনামূলক প্রায় কম লেগেছে।মোটামুটি সব পাওয়া যায় এখানে।আমি ১২০ টাকা দিয়ে চিকেন চাপ এবং একটা নান নিলাম।বাকিরা অনেকে পরাটা এবং ভাত নিল।

---

---

---

দেখতে দেখতে আমাদের খাবার দিয়ে গেলো।তবে প্রথমে আমার চাপ দেখে কেমন জানি লাগতেছিল।কারন দেখে মনে হচ্ছিলো কিছু একটা জিনিস কম আছে।যাই হোক খাওয়া শুরু করলাম।আসলে আমার কাছে মশলা একটু কম লেগেছে।দেখেই ভেবেছিলাম যে কিছু একটার ঘাটতি আছে।তবে আমি যদি বলি এইটার দাম অনুযায়ী রেটিং দেবো আমি ১০ এর ভিতরে ৬।কারন আমার কাছে চাপ ভালো লাগে নাই।ভাঁজা ঠিক ছিল না আবার পরে যে একটা মশলা দেওয়া হয় ওইটার কোনো স্বাদ ছিল না।যাই হোক কোনো মতে খাওয়া শেষ করলাম আমরা।

---

---

---

সবাই খাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিয়ে দেই।আসলে নতুন রেস্টুরেন্ট হিসেবে আমার কাছে খাবারের মান বেশি একটা ভালো লাগে নাই।যদিও আমার বন্ধুর ঝাল ফ্রাই এর সাথে ভাত নাকি ভালই লেগেছিল।আমি ওদেরকে বলে এসছিলাম যে আপনারা খাবারের মান একটু ভালো করতে হবে।কারন যদি প্রথম খেয়ে না ভালো লাগে তাহলে পরে কিন্তু আর আসবে না।

---

---

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমার পেটুক বাড়ি নামক হোটেলে খাওয়ার অভিজ্ঞতা। জানি না কেমন হয়েছে।ভালভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আপনাদের উৎসাহ পেলে আরও ভালো কিছু করতে পারবো।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।তবে দেখা হবে অন্য কোন দিন অন্য কিছু নিয়ে।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro
ছবি তোলার স্থান	লোকেশন

আমার পরিচয়

---