🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

---

---

💞হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা।সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।ঢাকায় থাকা অবস্থায় বেশিরভাগ সময় সন্ধার পর বাহিরে যাওয়া হয়।কারন আমার কলেজের বন্ধুরা সবাই ধাকাতেই আমি শুধু সিলেটে।যাই হোক হটাৎ করে আমার বন্ধু আদনান বললো আজকে সবাই মিলে দেখা করি।যেমন কথা তেমন কাজ আমি রাজু এবং মিরপুর থেকে আরও একজন আসলো।সবাই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করলাম।আজকে এখানে খাবার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি।

---

এই ছবিতে যাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন সবাই আমরা কলেজের বন্ধু।অনেক দিন পর দেখা হইলো সবার সাথে।আসলে আমি মনে হয় বাহিরে থাকি সবাই ঢাকায় থাকে।আসলে ঢাকাকে আমি অনেক মিস করি।কারন ঢাকা থেকে গিয়ে কেউ অন্য সহ্রে থাকতে পারবে না।আসলে ঢাকা বিরক্তিকর শহর হইলেও আমার কাছে ভালো লাগে।অন্নরকম একটা ভালোলাগা ভিতরে থাকে আমার।যাই হোক ছবিতে বাম থেকে রাজু,আদনান,ফয়সাল এবং আমি।আমরা সবাই একই সেকশনে পরতাম।যদিও আসলে সত্যি কথা বলতে কলেজ লাইফটা খুব একটা ইঞ্জয় করি নাই।ঘুমে ঘুমে দুইটা বছর কেটে গেছে আমার।যাই হোক এবার আসি আমাদের আড্ডায়।

---

---

---

আসলে এই রেস্টুরেন্টের লোকেশন হচ্ছে মিরপুর ১২ তে।আমি আগে কখনো খাই নাই।আসলে সবদিকে গরম এর জন্য বাহিরে বসা যাচ্ছিলো না।আদনান বললো চল এখানে বসি খুব ভালো একটা রেস্টুরেন্ট।আমরা ভিতরে চলে গেলাম।

---

---

---

এইটা হচ্ছে রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশ।আসলে খুব একটা বড় না ।তবে অনেক ভিড় থাকে সব সময়।কারন এখানকার খাবারের মান অনেক ভালো।এই জন্য আসলে সব সময় এখানে ভিড় থাকে।আর এখানকার পিজ্জা সব চেয়ে পপুলার।সন্ধার পর আসলে সবদিন এখানে বেশি ভিড় থাকে।

---

---

---

উপরের ছবিতে একটি হচ্ছে মেনু আর একটি হচ্ছে তাদের রেস্টুরেন্টের নাম।আমার কাছে খাবারের দাম অনেক কম লেগেছে।কারন খাবারের স্বাদ অনুযায়ীয়ে আমি মনে করি আরও বেশি হওয়া দরকার ছিল।যাই হোক আমরা ১২ ইঞ্চির একটি মেক্সিকান পিজ্জার অর্ডার করলাম এবং এর সাথে আমি একটি কোল্ড কফি নিলাম।পিজ্জার দাম ছিল ৩০০ টাকা এবং কোল্ড কফির দাম ছিল ৫০ টাকা।

---

---

---

আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে আসলাম।কারন অনেক সময় দাড়ে থাকার পর আমরা এই সিট পেয়েছি।সবাই একটা সেলফি তুলে নিলাম।আর অনেক দিন পর যেহেতু সবার দেখা হইছে সবাই কলেজ লাইফের কিছু কথা শুরু করে দিলাম।

---

---

---

অর্ডার দেওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পর আমাদের পিজ্জা পাইলাম। আমাদের পিজ্জার সাথে শুধু একটা সস দিয়েছে।যদিও আমার কাছে এইটা পিজ্জাটা বেস্ট লেগেছে।কারন আসলে ৩০০ টাকা দিয়ে ১২ ইঞ্ছি পিজ্জা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।আমি ১০ এ ৯ রেটিং দেবো।এর সাথে আমি একটা কোল্ড কফি নিয়েছিলাম যদিও এর ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি।৫০ টাকার কোল্ড কফি বেশ ভালো ছিল।

---

---

সবাই খাচ্ছিল কারন আসলে খাবার সামনে রেখে বসে থাকার মানুষ আমরা না।যাই হোক এর মধ্যে আমি আবার একটা ছবি তুলে নিলাম।

---

---

খুব সুন্দর করে একটা হ্যান্ড গ্লভস দিয়ে দিয়েছে আমাদেরকে।আমি প্রথমে অল্প খেয়ে দেখলাম।আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।এর মধ্যে আমি আবার অনেক দিন পর খাচ্ছি।এই জন্য স্বাদ হয়তো আরও বেড়ে গিয়েছে।

---

---

আমরা পিজ্জা খাওয়া শেষ করে আমি কোল্ড কফি খাইলাম।আসলে ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম।এর পরে কিছুক্ষণ গল্প করতেছিলাম।আসলে এতো ভিড় ছিল আমরা বসে থাকতে নিজেদের খারাপ লাগতেছিল।কারন সিটের জন্য সবাই আমাদের পিছনে দাড়ায় ছিল।তাই চিন্তা করলাম যে আমরা আর দেরি না করে বিল দিয়ে চলে আসি।আর আমাদের বাসা যেহেতু দূরে আর রাত প্রায় তখন ১০ টা বাজে এইজন্য রাজুকে বললাম যে,বেশি দেরি হইলে বাস পাবো না।তাই ওদের থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বাসার দিকে রওনা দিয়ে দেই।

---

---

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম মিরপুরের হাঙ্গরি আইস রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro
ছবি তোলার স্থান	লোকেশন

আমার পরিচয়

---