ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা ২০২২ মেলায় একদিন( 10% beneficiary @shy-fox)
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।কারন কোভিড-১৯ এর অবস্থা খুব খারাপ।আজকে আমি ভালো থাকলে আমার পরিবার ভালো থাকবে।তাই আগে নিজে সাবধান হবো এবং আমাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবো।কারন বাংলাদেশ এবং ভারতে খুব বেশি করোনা ছড়াচ্ছে।তাই আমরা সব সময় সাবধান থাকার চেষ্টা করবো।কিছুদিন দিন হলো ব্যস্ততার কারণে পোস্ট করতে পারি নাই।দুইদিন আগে আমি ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা ২০২২ এ গিয়েছিলাম।আসলে যাবার কোন ইচ্ছা ছিল না কারন সেদিন লেভেল-৩ ক্লাস চলছিলো।তবে বন্ধুর রিকোয়েস্টে যাইতে হয়।তার কিছু পরিচিত লোকের সাথে দেখা করার জন্য।আজকে সেই কথাই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।চলুন শুরু করি।
গেটে ঢোকার ঠিক আগের মুহূর্তে তোলা ছবি এটি।অনেক সুন্দর লাগতেছিল।গেটের বাহিরে মেলার নামসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি। যা অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।এর সাথে চায়না বাংলাদেশের একটা সুসম্পর্ক এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
এরপর ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম।অনেকই দেখলাম বিকাশে পেমেন্ট করে ৫০% ক্যাশব্যাক পেয়েছে।তবে আমার পুর্ব কোন সিধান্ত না থাকার কারণে আমকে ৪০ টাকা দিয়ে নিতে হয়।
ভিতরে ঢুকে আমি একটা সেলফি তুলে নিলাম। আমরা দুইজন বাসা থেকে বার হই ৮ টায়।হয়তো অনেকেই বলতে পারেন যে এতো দেরি কেন।আসলে আমি আগেই বলেছি আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু আমার বন্ধু রাজুর প্রয়োজন ছিল এই জন্য যাওয়া।আমি যেহেতু মেলার কাছাকাছি থাকি আমার সিনজি করে যেতে বেশি টাইম লাগে নাই।সব মিলিয়ে ২০ মিনিট লেগেছিল।আসলে সেদিন জ্যাম অনেক কম ছিল।তবে রাস্তার কাজ চলার কারণে রাস্তায় অনেক ধুলা ছিল।
ঢোকার পর দেখতে পেলাম খুব সুন্দর প্যাভিলিওন যা আগের মেলায় ছিল না।রাতের আলোয় খুব সুন্দর লাগতেছিল।সামনে অনেক ফুলের সাজসজ্জা ।যা আমাকে মুখরিত করে।
এইটা আসলে ঝর্না।দিনে হয়তো এখানে পানির সুন্দর ঝর্না চলতো।তবে আমি দেরিতে যাবার কারণে এইটা দেখতে পাই নাই।
মেলার ভিতরে বিকাশ এর অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হচ্ছে ফ্রীতে। যাদের আইডি নিয়া আরছে তাদের জন্য অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
এরপর মেলার ভিতরে প্রবেশ করলাম।ভিতরের পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।সুন্দর গোছানো সব কিছু।অনেক গুলো স্টল দেখলাম।যদিও কিছু কিনি নাই।আমি নিচে স্টলগুলোর ছবি দিয়ে দিচ্ছি।
স্টল দেখে যখন আমি বিরক্ত তখন নিজের ছবি তুলে ফেললাম।আসলে বিরক্ত না তবে আমার কাছে মেলার ভিতরের পরিবেশ অনেক ভালো লেগেছে।আমরা যারা আগের মেলা দেখিছি তারা জানি এইবারের মেলা একদম ভিন্ন পরিবেশ।
হঠাৎ করে চোখে পড়লো আমাদের দেশের ইতিহাস নিয়ে সুন্দর একটি প্যাভিলিওন।খুব ভালো লাগলো।যদিও তখন এইটা বন্ধ হয়ে গেছে।তবে এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে সবাই।
এবারে মেলায় ব্লক আকারে সাজানো হয়েছে।আমরা মেলার ভিতরে আরেকটা গেট পার হইলাম।
মেলার ভিতরে ব্যাংক বসানো হয়েছে।যেখানে সব সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।এরপর আরও অনেক গুলো স্টল দেখলাম।এগুলো একে একে নিচে দিয়ে দিলাম।
এই স্টলে শিল্প মন্ত্রালয় থেকে কুটির শিল্প বিষয়ক স্টল বসানো হয়েছে।
এইটা হচ্ছে পাইলট কলম।এখানে ১ লক্ষ্য টাকার কলম পাওয়া যায়।যদি আমি দেখতে পারি নাই।কারন রাত অনেক হয়ে গেয়েছিল।আর সব কিছু তারা গুছিয়ে নিচ্ছিল।
এরপর ঘড়িতে দেখি ৯ঃ১৫ বাজে।আমাদের একটু ক্ষুদা লেগেছিল।আর যেহেতু আমাদের সাথে মেহমান আছে এই জন্য রাজু বলল চলো কিছু খাই। আর একটু পর সব বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমরা মেলার ভিতরে একটা কাচ্চির দোকানে গেলাম।আমার খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না।কারন এইসব কচ্চি খেয়ে মনটা খারাপ হয়ে যাবে।তবু খেতে হলো।
কাচ্চি খাওয়া শেষ করে বাহির হবার জন্য তারা করছিলো সবাই।কারন অনেক দেরি হয়ে গেছে।সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছে।পুলিশ এসে বাঁশি দিচ্ছিল। আমরা দেরি না করে বার হয়ে গেলাম।
এরপর বাহিরে এসে মেলার পিছনে দাড়িয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ।মেহমানদের বিদায় দিলাম।আবার আমরা বাসের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। পিছন থেকে শেষ একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম মেলার।একটু পরে বাসে করে বাসায় চলে আসি।কারন রাত অনেক হয়ে গেছে তখন। আর এখানেই শেষ করলাম আমার মেলার জার্নি।
জানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে সবাই ক্ষমার চোখে দেখবেন।আজকে আপানদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি।তবে দেখা হবে অন্য কোনো দিন অন্য কিছু নিয়ে।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
ফটোগ্রাফি | রবিউল ইসলাম |
---|---|
ডিভাইস | Realme 7 Pro |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মেলার ভিতর দেখলাম ফ্রিতে বিকাশ একাউন্ট করে দেওয়া হচ্ছে অনেক সুন্দর একটি ব্যবস্থা। অনেকদিন হলো এমন বাণিজ্য মেলায় যাওয়া হয় না আপনার পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে মেলাটি অনেকখানি উপলব্ধি করতে পারলাম। যেহেতু এখন করোনা ভাইরাস চলছে সুতরাং আমাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত আপনি ব্যবহার করেছেন দেখে খুবই ভালো লালাগলো।মেলাটির ভিতরে আপনি ভালই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।