পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চান মিয়ার পোলাও।(10% beneficiary @shy-fox)
![]() |
---|
উপরের ছবি দেখতে পাচ্ছেন এইটা হচ্ছে খাবার হাতে পাওয়ার পর।আসলে খাবার পাবার পরে মনে হচ্ছিলো যে যুদ্ধ জয় করে আসলাম।যাই হোক এবার আসল কাহিনীতে ফিরে আশা যাক।
![]() |
---|
এইটা হচ্ছে রাত ২ঃ৩০ ছবি।আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ভাবলাম একটা ছবি তুলে নেই।আসে মানুষের ভিড় দেখে বুঝতেই পারছেন যে কি অবস্থা।আসলে একটা কথা আছে আমরা বাঙালিরা হচ্ছি হুজুগে।যাই হোক এবার ফিরে আসি।
![]() |
---|
এই যে লাইন দেখতে পাচ্ছেন এইটা হচ্ছে খাবারের জন্য টিকেট এর লাইন।রাত ৩ টা থেকে এই টিকেট দেওয়া শুরু হয়।যাতে ঝামেলা না হয় এই জন্য এই টিকেটের বেবস্থা।আর একটা কথা বলে রাখি এখানে টিকেট লিমিটেড।হয়তো ৩০ বা ৩৫ টিকেট দেয়।যেখানে ২০০ জনের খাবারের আরেঞ্জমেন্ট থাকে।যদি টিকেট শেষ হয়ে যায় তাহলে তারা আর খাবার দেয় না।আর একেক দিন একেক আইটেম হয়ে থাকে।আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন ছিল আলু আর খাশি।যার দাম ছিল ১৭০ টাকা।
![]() | ![]() |
---|
এই যে সোনার হরিণ হাতে পেয়েছি।আসলে অনুভতি বলে বোঝানো যাবে না।তাই আমরা একটা সেলফি তুলে নিলাম।১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট এর মতো দাড়িয়ে থেকে এই টিকিট হাতে পেয়েছি।সবাই আত্মহারা।
![]() |
---|
এরপর আবার ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পরে ৪.৩০ থেকে খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে।আমাদের কাগজের সিরিয়াল ছিল ১৫।এই ১৫ মানে ৪০-৫০ সিরিয়াল কারন একজনের টিকিতে ৩-৮ করে খাবার নেওয়া।এবার আবার অপেক্ষা শুরু হইলো খাবার পাবার জন্য।
![]() |
---|
আমার সিরিয়াল যখন কাছে আসতে লাগলো আমি একটু আগায় গেলাম।এর ভিতরে আবার একটা ছবি তুলে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এই ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছে ইনি হচ্ছে মানিক চান মিয়াজার খাবারে মুগ্ধ সারা বাংলাদেশ।সারারাত দাড়িয়ে থেকে এনার খাবার খায়।আর সাথেই সেই খাবারের হাড়ি।যাতে আছে সুস্বাদু খাবার।
![]() |
---|
এরপরে সেই কাঙ্ক্ষিত খাবার পেয়ে গেলাম।মনে হইলো যুদ্ধ জয় করে নিয়ে আসলাম।আসলে খাবারের দাম ছিল ১৭০ টাকা।আমি মনে করি খাবারের দাম ঠিক আছে।তবে হুজুগে বাঙালি বলে একটা কথা আছে সারারাত জেগে এইও খাবার খাওয়া আমি মনে করি লস প্রোজেক্ট।খাবার এর স্বাদ ১০ এ ৭ রেটিং।এর ঝোলের স্বাদ একটু ভিন্নতা আছে।এই জন্য মূলত এই ভাইরাল।
![]() |
---|
এরপরে খাবার খাওয়ার জায়গা পাই নাই।কারন মানুষের ভিড় অনেক।এই জন্য পাশের একটা দোকানে বসে একটা কোক নিয়ে খাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিয়ে দেই সকাল ৬ টায়।আর এইতাই হল আজকের আমার মানিক চান এর পোলাও খাওয়ার ইতিহাস।
আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমার মানিক চানের পোলাও খাওয়ার অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।
ফটোগ্রাফি | রবিউল ইসলাম |
---|---|
ডিভাইস | Realme 7 Pro |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

মানিক চানের পোলাও খাওয়ার গল্প শুনে আমি রীতিমতো বেহুশ। যদিও হেডলাইন পরে বুঝতে পেরেছি আপনি কোন খাওয়ার রেস্টুরেন্টে কথাই বলছেন। কিন্তু ফটোগ্রাফিতে সিরিয়াল দেখে আমার মনে হচ্ছে আপনারা করনার ভ্যাকসিন দিতে গিয়েছেন,হাহাহা। তবে রাত দুটার কথা শুনে সেই সঞ্চয়টাও কেটে গেল। এত কিছু জয় করার পর যেখানে খাবারের রেটিং দিয়েছেন ৭ তাই আমি মনে করি এত কষ্ট করে এত রাত জেগে এত সুশান্ত খাবার গ্রহণ না করলেও পারতেন। যাই হোক বন্ধুবান্ধব নিয়ে মজা মাস্তি করেছেন এবং নতুন একটা স্বাদ গ্রহণ করেছেন। খুব সুন্দর করে গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।
পুরান ঢাকায় অনেক বিখ্যাত খাবার রয়েছে। তার মধ্যে চান মিয়ার পোলাও এর অনেক নাম আছে। নারিনদাতে ঝুনুর পোলাওটাও খুব বিখ্যাত। একদিন সময় করে খেয়ে যেতে পারেন। চান মিয়ার পোলাও আমার খাওয়া হয়নি। তবে খুব ইচ্ছে একদিন গিয়ে খাবার খাওয়ার। আপনারা অনেক রাত করে, অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে, অনেক অপেক্ষার পর খাবার হাতে পেয়েছেন। আপনাদের ছবিতেই আনন্দের ছাপ আছে। কষ্টের বেপার হল অনেকেই হয়ত এসে খাবার না পেয়ে ফিরে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চান মিয়ার পোলাও যেটা পুরান ঢাকার অনেক বড় একটি ঐতিহ্য। আমারও শখ আছে এই জায়গাটিতে গিয়ে এইভাবে পোলাও খাবার উপভোগ করার। একটি বিষয়ে আমাকে অবাক করেছে যে টিকিট কেটে তারপরে এই পোলাও পাওয়া যায় সত্যিই অবাক করা বিষয়। এরকম অন্য কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই আসলে এটা মানুষকে আরো বেশি আকর্ষণ করে তুলেছে অনেক ভালো লাগলো।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন ফুড ব্লগার Dr.Foodie এর রিভিউয়ে দেখেছিলাম চান মিয়ার পোলাও। ভাই এতো রাতে পোলাও খেতে তারপরে যদি এইরকম ভীড় থাকে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কতটা জনপ্রিয় এটা। আপনার অভিজ্ঞতা টা বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
এই খাবার আমার পক্ষে জীবনেও খাওয়া সম্ভব নয়। এতে যদি সোনা দিয়েও বানিয়ে দেয় তাও সম্ভব না । এক ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছেন । তারও দেড় ঘণ্টা পর খাবার হাতে পেয়েছেন। আপনাদের ধৈর্য আছে বলতে গেলে। পোলাওর খাসির মাংস খাওয়ার জন্য কেউ এত কষ্ট করে। যাই হোক আপনারা অবশেষে খাওয়া শেষ করে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চান মিয়ার পোলাও অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে । পোলাও খাওয়ার এত সুন্দর মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে পোলাও খাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে হয় খুবই রোমাঞ্চকর ব্যাপার, চান মিয়ার পোলাও কতটা জনপ্রিয়তা এটা থেকেই বুঝা যায়। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।