🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

---

---

💞হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা।সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।সিলেট থেকে ঢাকায় আসার পর সারাদিন বাসায় থাকতাম।তবে কিছুদিন ধরে ফেইসবুকে কিছু ছবি আমার সামনে ঘুরতেছিল সেটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর।অসাধারণ কারুকার্য যা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে।আমিও আর বাসায় থাকতে পারলাম না।ঘুরতে গিয়েছিলাম জাদুঘর দেখতে।আমি এখানার দৃশ্যগুলো কিছু পর্ব আকারে দেখাবো।আজকে আমি পুরো জাদুঘরের বর্ণনা তুলে ধরবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি।

---

আসলে আমরা ৬ জন মিলে গিইয়েছিলাম সেদিন ঘুরতে।বিকালের সময়টাতে গিয়েছিলাম।ছবিতে যাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন এরা হচ্ছে রাজু,আকিব,নয়ন,ফয়সাল এবং সাকিব।আর আমিতো আছি।অনেক দিন ধরে সবার ছবি দেখে নিজের যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা হইলো।সবাইকে বলার পর দেখি সবাই রাজি।আসলীই জাদুঘর মূলত অবস্থিত বিজয় সরণীতে।আমাদের সেনাবাহিনী দাঁরা এটি নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।আমাদের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য,সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন অস্ত্রের সংগ্রহশালা নিয়ে মূলত এই জাদুঘর নির্মিত।প্রতিজন টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা করে।এটি মূলত সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ অব্দি খোলা থাকে আবার বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা অব্দি খোলা থাকে।তবে শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা অব্দি খোলা থাকে।যাই হোক চলেন এবার পুরো মিউজিয়াম দেখা যাক।

---

---

---

আমরা ওখানে গিয়ে পৌছাই বিকাল ৩.৩০ এর দিকে এরপর দেখি লাইন এর এই অবস্থা।বিশাল লাইন আবার এর মধ্যে ভিড়।আমি টিকেট কাঁটার জন্য লাইনে দাড়িয়ে পড়লাম।যদিও টিকেট পেতে বেশি একটা সময় আমার লাগে নাই।একবারে ৬ টা টিকেট নিয়ে আমরা সবাই ভিতরে ঢুকে গেলাম।

---

---

---

প্রথমে ঢোকার পর এইরকম একটা কাচের বিল্ডিং দেখে মনে হবে আমি যেন ইউরপের কোন দেশে এসেছি আসলেই মনোমুগ্ধকর।এই জন্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের দেশের সেনাবাহিনীকে।যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এইরকম একটি জাদুঘর আমরা পেয়েছি।

---

ভিতরে যাওয়ার পরেই এইরকম দৃশ্য দেখে সত্যি আমার মনটা ভরে গেলো। অসাধারণ কারুকাজ এখানে দেওয়া হয়েছে।আসলে কি বলবো আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে করা কিছু মূর্তি দেখে।আমরা সবাই এখানে দাড়িয়ে কয়েকটা সেলফি এবং ছবি তুলে নিলাম।

---

---

---

ভিতরে ঢোকার পর এইরকম কিছু দৃশ্য দেখে মনটা ভরে গেলো।প্রথম ছবিটা হচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী ট্রেনিং অবস্থায় দড়ি দিয়ে বাড়ির উপরের চড়ার দৃশ্য আবার কাঠের তৈরি আমাদের দেশের মানচিত্র যেখানে সব জেলা খোদাই করা রয়েছে।

---

---

---

একটু ভিতরে গেলেই আমাদের জাতির জনক এর মূর্তি দেখতে পাওয়া যাবে।যা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।খুব সুন্দর কারুকাজ এখানে দেখানো হয়েছে।সত্যি আমি মুগ্ধ।এখানে গিয়ে সবাই সেলফি তুলতেছিল।যদিও এখানে বেশিক্ষণ দারাতে দেয় না।

---

---

---

প্রথম ছবিটি হচ্ছে আমাদের দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া উপহার।এটি তিনি পেয়েছিলেন মূলত শান্তির অগ্রদুত হিসেবে।বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিনি অসামান্য ভুমিকা রেখেছিলেন।তারই অবদান হিসেবে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।আর দ্বিতিয় ছবিটি হয়তো আমরা অনেকেই চিনি আমি মনে করি যে গোটা বিশ্ব চেনে।এটি আমাদের জাতির জনক এর ৭ মার্চ এর ভাষণ এর একটি ছবি।

---

---

আসলে সত্যি কথা বলতে ভিতরের অনেক কিছু রয়েছে যা হয়তো একবারে বর্ণনা করা যাবে না।এই জন্য আমি আলাদা করে কিছু পর্ব আকারে দেখাবো।আমরা ভিতর থেকে বাহির হয়ে দেখলাম এইরকম সুন্দর একটি জাহাজ রাখা দেখেই আসলে মনটা শান্তি।নিজের ক্যামেরায় ছবিটি ধারণ করে নিলাম।

---

---

আসলে এই ছবিটি আমি শেষে তুলেছিলাম।কারন ঢোকার সময় পাই নাই।এইটা হচ্ছে জাদুঘরের নাম এর লোগো।যাইহোক দেখতে বেশ ভালই লাগতেছিল।আসলে আমরা শেষ সময়টাতে গিয়েছিলাম বিকাল ৪ তার সময় ।আপনারা জানেন যে ৫ তার মধ্যে তারা বন্ধ করে দেয়।তারা ১৫ আগে থেকে বাহির হতে বলে।আমরা খুব কম সময় পেয়েছিলাম।আপনরা যারা যাবেন তাদেরকে বলবো যে সকালের সময় না হয় শুক্রবারের সময় যেতে হবে।তাহলে সব কিছু খুব ভালো ভাবে দেখতে পারবেন।আজকে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি তবে পরের পর্বে দেখা হবে আমাদের সামরিক জাদুঘরের সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি নিয়ে যা দেখে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

---

---

---

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমি আজকের বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের ভ্রমণের প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro
ছবি তোলার স্থান	লোকেশন

আমার পরিচয়

---