🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

---

---

💞হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা।সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।ঢাকায় আসার পর আমার বন্ধু ফয়সাল বললো ভাই সবাই মিলে আমাদের বন্ধুরা যারা ঢাকায় আছে তারা দেখে করি।আমি বললাম যে ঠিক আছে।পরে ও আমকে বলে ভাই আজকে আম্মু বাসায় সবাইকে দাওয়াত করেছে।এইরকম হটাৎ দাওয়াত খেতে বেশ ভালই লাগে।সবাইকে বলে যাওয়ার ডেট ঠিক করলাম।আমারা যারা সিলেটে এক সাথে থাকি সবাই মিলে ফয়সাল এর বাসায় দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি।

---

_{লোকেশন 🧭}

আসলে দাওয়াতটা হটাৎ করেই।যদিও এর আগে আমাদেরকে যেতে বলেছিল।আমরা আগে যাই নাই কিন্তু এইবার আর মিস করি নাই।আসলে উপরের ছবিতে যাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন হাতের বাম পাশের জন বাদে সবাই আমরা এক সাথে সিলেটে এক সাথে থাকি।ঢাকায় আসলে অ্যান্টি আমাদের যেতে বলে।কিন্তু যাওয়া হয় না।এইবার ছুটি বেশি হবার কারণে আসলে আমরা এই সময়টা মিস করি নাই।চলে গেলাম খেতে বন্ধুর বাসায়।সেই সাথে সবার সাথে কথা আড্ডা দুইটাই হয়েছে।আমরা দুপুর দুই টায় সবাই রওনা দেই।ফয়সাল এর বাসা মিরপুর শেওরাপারা।যেহেতু আমরা সবাই একাক এলাকায় থাকি তাই সবাই চিন্তা করলাম যে মিরপুর ১০ নাম্বারে এসে সবাই এক সাথে রওনা দেবো।যেমন কথা তেমন কাজ সবাই ১০ নাম্বারে এসে ফয়সাল এর বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিলাম।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

ছবিতে যাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন এরা হচ্ছে আকিব এবং ফয়সাল।দুই জনের ভিতরে খুব মিল সেইটা শরীর হোক বা চিন্তা ভাবনায় হোক।দুই জন এক সাথে দেখা হবার পর মনে হচ্ছিলো যে এক বছর পর দেখা হয়েছে।দুইজন খুব আনন্দে ছিল।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

আমরা যেহেতু দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছি অ্যান্টি আগে থেকেই সব রেডি করে রেখেছিল।আমরা ফ্রেশ হয়ে সোফায় বসে পড়লাম।আমার পাশে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ও হচ্ছে আমার বন্ধু রাজু।দুই জনে এক সাথে একটা সেলফি তুলে নিলাম।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

যেহেতু অ্যান্টি আমাদের জন্য খাবার রেডি করে রেখেছিল তাই আমরা ফ্রেশ হবার পরেই অ্যান্টি আমাদের খাবার দিয়ে দিলো।আমাদের জন্য খাশির কাচ্চি এবং মুরগির কোরমা তৈরি করা হয়েছিল।যা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।আহ অনেক সুস্বাদু।আবার একটু পর দেখলাম অ্যান্টি আবার আমাদের জন্য খাবার দিয়ে দিলো।আমাদের ক্ষুদা লেগে গিয়েছিলো।তাই আর দেরি না করে খাওয়া শুরু করে দিলাম।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

খাবার সামনে নিয়ে আবার আমরা সবাই মিলে একটা সেলফি তুলে নিলাম।আসলে এইভাবে এক সাথে খেতে বেশ ভালই লাগতেছিল আমাদের। কারন এমনিতেই খুব ক্ষুদা লেগেছিল।।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

আমরা খাচ্ছিলাম অ্যান্টি হটাৎ করে দেখি বোরহানি নিয়ে আসলো।আমি খুব খুশি কারন আমি আবার বোরহানি খেতে বেশ ভালবাসি।আর কাচ্ছির সাথে যদি বোরহানি না হয় তাহলে খাওয়া জমে না।আমি আবার বন্ধু আকিবকে দেখিয়ে আমার বোরহানি খাওয়া শুরু করে দিলাম।

---

---

_{লোকেশন 🧭}

এরপরে আমাদের সবার খাওয়া প্রায় শেষ কিন্তু আমার বন্ধুর আকিবের খাওয়া শেষ হয় না।কারন আমাদের চেয়ে ডাবল খেতে হয়।সে একবার বোরহানি খেতে হজম করে আবার কাচ্চি খাচ্ছে।এভাবে অনেক সময় যাওয়ার পর শেষমেষ তার খাওয়া শেষ হইলো।আমাদের খাওয়া আগেই শেষ হয়েছিল।আমরা ওর খাবার শেষ হবার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম।এরপর আমরা খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিয়ে দেই।কারন সবাই একেক জন একেক এলাকায় থাকি।আর ঢাকা শহরের জ্যামের কথা সবাই জানেন।

---

---

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমার বন্ধু ফয়সাল এর বাসায় দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro

আমার পরিচয়

---