"কোচিং থেকে জীবনের প্রথম পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতি"
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৫ ই এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি যেকোনো জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। গত মাসে আমি আমার জীবনের প্রথম ঝিনাইদহের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেদিনের পিকনিকে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমার জীবনে আমি প্রথমবার কোথাও পিকনিকে গিয়েছিলাম। এর আগে অনেকবার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বাড়ির লোক আমাকে কোথাও পিকনিকে যেতে দেয়নি। পিকনিকটা আয়োজন করেছিলো আমাদের কোচিংয়ের ভাইয়া। ভোর পাঁচটায় আমার ঘুম ভেঙে গেল আমাদের গাড়ি টাইম ছিল সাতটায়। মেয়ে মানুষ রেডি হতে একটু বেশি সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আমি সকালবেলা উঠে স্নান করে নিলাম।
তারপর রেডি হতে শুরু করলাম, খুব বেশি দূরে যাচ্ছি না কাছেই একটা জায়গায় পিকনিকে যাচ্ছি। আমি সেদিন একটা শাড়ি পড়েছিলাম। একটু সাজুগুজু করে রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম। আমাদের জন্য গাড়ি অপেক্ষা করছিল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের মাঠে। আমার মেস থেকে ওখানে যেত পাঁচ মিনিট সময় লাগে। সেখানে গিয়ে দেখি সবাই চলে এসেছে, সবাই যে যার সিটে বসে গিয়েছে আমিও গিয়ে আমার বান্ধবীর সাথে বসে পড়লাম।
আমি বাসে উঠতে পারিনা এর জন্য প্রথম থেকে শরীরটা খারাপ করছিল। বাসে উঠে সবাই মজা করছিলো আর আমি চুপচাপ বসে রইলাম। সকাল ৭:৩০ এর সময় আমাদের গাড়ি ছাড়লো। যেহেতু কাছে একটা জায়গা ঝিনাইদাতে যাচ্ছি যেতে খুব বেশি সময় লাগলো না। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম সেখানে। সবাই গাড়ি থেকে নামলো আমিও নামলাম কিন্তু অনেকটা ক্লান্তি নিয়ে। সেদিন খুব মজা করার ইচ্ছা নিয়ে গেলেও আমি সবার সাথে মজা করতে পারিনি।
আমি বাসে উঠলে যেহেতু সমস্যা হয় সেই কারণে বাসের মধ্যে থেকে অসুস্থ হয়ে যায়। সবার সাথে গেলাম পিকনিক স্পটে। তারপর আমাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হলো । তারপর সংস্কৃতি অনুষ্ঠান শুরু হলো। সবাই যে, যার মত বক্তব্য দিলো আমাদের ভাইয়া (শিক্ষক) আমাদের উদ্দেশ্য জ্ঞানমূলক কিছু বক্তব্য প্রদান করল।তারপর প্রায় দুটো বেজে গেল। আমাদের পিকনিকের রান্না শেষ হলো সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম, এই সময়টা বেশ মজা করেছিলাম।
তারপর ভাই আমাদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করলো। তখন আমি অনেকটা সুস্থ অনুভব করছি। তাই সবার সাথে খেলায় অংশগ্রহণ করলাম। চেয়ার খেলা এবং বালিশ খেলা এই দুইটা খেলা আমি খেলেছিলাম। আমি দুইটাতেই প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম। খেলাধুলা শেষে ভাই আমাদের সবার মাঝে পুরস্কার বিতরণ করলো। পুরস্কার পেতে তো সবারই ভালো লাগে। আমারও অনেক ভালো লাগছিলো পুরস্কার পাওয়ার পরে। তারপরে সবাই মিলে স্পটটা একটু ঘুরে দেখলাম।
সবাই মিলে নাচ গান মজা করলাম।সবশেষে আমরা নিজেদের ছবি তুললাম। তারপর ভাইয়ের সাথে কিছু ছবি তুললাম। সবাই মিলে একই ফ্রেমে বন্দী হলাম। তারপর প্রায় সন্ধ্যে সময় আমরা গাড়িতে করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের বাস আবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজেই এসে থামল। আসতে আমাদের প্রায় দেড় ঘন্টা মতো সময় লেগেছিলো। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে আমাদের বাস থামার পরে আমরা সবাই যার যার মতো বাসার চলে আসলাম।
সেদিন নতুন এক অভিজ্ঞতা হলো হয়েছিলো। প্রথমবার গিয়েছিলাম কোন পিকনিকে। দিনটা বেশ সুন্দর ছিল সবার সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৭ ইং মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
জীবনের প্রথম পিকনিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো। তবে আপনি বাসে উঠতে পারেন না এটা বেশ কষ্টের। কারণ আমাদের নিয়মিত কোথাও না কোথাও জার্নি করতে হয়। আর জার্নিটা আরামদায়ক না হলে পুরা আনন্দটাই বৃথা হয়ে যায়। তবে যেহেতু ঝিনাইদহ গিয়েছিল সেজন হয়তো বেশি সমস্যা হয়নি। আপনার দুইটি খেলাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।
এরকম পিকনিকে জার্নিটা আরামদায়ক না হলে পিকনিকের পুরো আনন্দটাই বৃথা হয় এটা সত্য। হ্যাঁ ভাই পাশের জেলাতে গিয়েছিলাম তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জীবনের প্রথমবার কোচিং থেকে পিকনিকে গিয়েছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই মেয়েদের রেডি হতে একটু লেট হবে এটাই স্বাভাবিক যাই হোক তারপরেও সময় মত বাসের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং বোঝাই যাচ্ছে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। আমাদের জীবনে কিছু কিছু অনুভূতি থাকে যে অনুভূতিগুলো যতই আমরা প্রকাশ করি না কেন সব সময় মনে হয় কোথায় যেন কমতি থেকে গেল। যাই হোক আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই বন্ধুদের সাথে কাটানো এসব অনুভূতি যতই প্রকাশ করি ততই কম রয়ে যায়।
জীবনে প্রথমবার বাড়ি থেকে অনুমতি পেয়েছিলাম কোথাও পিকনিকে যাওয়ার এই অনুভূতি আসলে আমি বলে বোঝাতে পারবো না।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোষ্টটি পড়ে। আসলে এরকম পিকনিকে অংশগ্রহণ করার মধ্যে রয়েছে অনাবিল আনন্দ। কোচিং থেকে আপনার এ পিকনিকে অংশগ্রহণ করে আপনি নিশ্চয় অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করেছেন। জীবনে প্রথম কোচিংয়ে পিকনিকে অংশগ্রহণ করে চমৎকার একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সময়টা খুব উপভোগ্য ছিল।
পিকনিক মানেই আনন্দ। জীবনে প্রথমবার পিকনিকে যাওয়ার আনন্দটা একটু বেশিই ছিল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে মেয়েদের কে একাই একাই কোথাও যেতে দেয় না বাবা মা রা। আপনি আপনার কোচিং থেকে প্রথমবার ঝিনাইদহের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে । আসলে আমি এই পার্কের ভিডিও সোচাল মিডিয়ার মধ্যে অনেক দেখেছিলাম। আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে ড্রিম ভ্যালি পার্কের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে।
মেয়েদের নিয়ে বাবা-মার চিন্তা বেশি থাকে সেজন্য কোথাও যেতে দেয় না।
এ প্রথম বানিয়েছিলাম অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি।
হ্যাঁ আপু বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো অনেক আনন্দের হয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভ্রমন প্রিয় মানুষরা সবসময় ভ্রমন করতেই বেশি পছন্দ করে। কোথাও ভ্রমন করার জন্য বাইকা আর রিকশা টাই পারফেক্ট। জীবনের প্রথম এ ধরনের পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতি সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল পড়ে বেশ ভালো লাগলো। পিকনিকের আয়োজনটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। অসুস্থ অবস্থাতেই চেয়ার খেলা এবং বালিশ খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে পুরস্কার লাভ করেছিলে এটা এটা জানার পর সত্যিই অনেক খুশি হয়েছিলাম। সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।