"স্বপ্ন ঘুড়ি রেস্টুরেন্টের চিকেন পাস্তা খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৬ শে এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। কয়েকদিন আগে আমি আর আমার রুমমেট স্বপ্ন ঘুড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা খেয়েছিলাম সেই অনুভূতি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমি মেসে থাকি আর নিজেই রান্না করে খাই। প্রতিদিন রান্না করা হয়ে ওঠে না। সেদিনও রান্না করা হয়নি তখন প্রায় দুপুর তিনটা বাজে। কোচিং থেকে এসে ক্লান্ত লাগছিল রান্না না করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর তিনটার সময় ঘুম থেকে উঠে অনেক ক্ষুধা লেগে গেছিলো। আমার রুমমেটকে বললাম চলেন বাইরে গিয়ে খেয়ে আসি। আমার রুমমেট যাওয়ার জন্য রাজি হলো।
মেসে থেকে লেখাপড়া করতে হলে প্রতি মাসে হিসাব করে খরচ করতে হয়। মাসের শেষের দিকে হাতে টাকা থাকে না। প্রত্যেক মাসে শেষের দিকেই টাকা একটু কমই থাকে হিসাব করে খরচ করতে হয়। মাসের প্রথমে যদি বেহিসেবিভাবে খরচ করা হয় তাহলে মাসে শেষে এরকমই কষ্ট হয়। তারপর আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম স্বপ্নঘুড়ি রেস্টুরেন্টে নাকি পাস্তা ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা ঠিক করলাম স্বপ্ন ঘুড়িতে যাবো।
তারপরে দুজন মিলে ওই দুপুরের রোদের মধ্যে বের হলাম। তারপর আমরা একটা রিকশা নিলাম । মাঝপথে রিক্সা থেকে নেমে দুজনে শরবত খেলাম। তারপর আবার রিক্সায় উঠে আমরা পৌঁছে গেলাম স্বপ্ন ঘুড়ি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টটা খুবই সাধারণ। তবে আমার কাছে পরিবেশটা বেশ ভালো লেগেছে। তারপর দুজনে গিয়ে বসলাম। এই প্রথমবার আমার স্বপ্নঘুড়ি রেস্টুরেন্টে আসা।
এই নাম শুনে যতটা ভালো লেগেছিল রেস্টুরেন্টে এসে ততটা ভালো লাগেনি। তবে সাধারণের মধ্যে বেশ ভালই ছিল। দুজনে মিলে আলোচনা করলাম সবকিছু একটা করে অর্ডার করবো। তারপর আমরা চিকেনপাস্তা, মিল্কশেক এবং একটা পেপসি দিতে বললাম। তারপর আমরা কিছুক্ষণ বসে গল্প করলাম।
আমরা গল্প করতে করতে কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়েটার আমাদের অর্ডার করা খাবার নিয়ে আসলো। তারপর দুজন মিলে খাওয়া শুরু করলাম। তারপর খাওয়া শেষ করতে করতে চারটা বেজে গেল। আমরা ওয়েটারকে ডেকে বিলটা দিলাম। তারপর আমরা দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার বেরোতে হবে। বাইরে এসে আমরা রেস্টুরেন্টের কিছু ছবি তুললাম। রেস্টুরেন্টের সামনে বেশ সুন্দর লাইট দিয়ে সাজানো।
এখানে রাতে নাকি রেস্টুরেন্টটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু আমরা তো দিনে গিয়েছিলাম তাও দুপুরে। তাই তার সৌন্দর্যটা আমরা উপভোগ করতে পারলাম না। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি। আসার সময় দুজন মিলে গল্প করতে করতে হেঁটেই চলে আসলাম।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর একটি পোস্ট দেখতে পেরে। যেখানে আপনি আপনার অনুভূতিগুলো খুব সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করেছেন। মাঝেমধ্যে কোথাও এমন সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে আমারও ভালো লাগে।
সুন্দর ভাবে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিকেন পাস্তা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। স্বপ্ন ঘুড়ি রেস্টুরেন্ট এর ভিতরটা অনেক সুন্দর। মনে হচ্ছে গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যে অনেক সুন্দর একটি জায়গা। ছবি তোলার জন্য লাভ শেপ হিসেবে এই জায়গাটি আমার ভীষণ ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া রেস্টুরেন্ট টা দেখতে গ্রামের পরিবেশের মতোই।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
কোচিং করে এসে ক্লান্ত লাগারই কথা আপু। এই সময় কি আর রান্না করতে ইচ্ছা করে। তাছাড়া সবারই দেখা যায় মাসের শেষে একটু টানাটানি চলে আসে। এজন্য শুরু থেকে হিসাব করে চলা উচিত। দুজন মিলে বাইরে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। রেস্টুরেন্টটা খুব সিম্পল মনে হল আমার কাছে। কিন্তু খাবার গুলো ভালোই মনে হচ্ছে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহূর্ত দেখে।
হ্যাঁ আপু মাস শেষে আসলেই যারা মেসে থাকে তাদের টাকা-পয়সার সমস্যা হয়।
রেস্টুরেন্ট টা অনেক সাধারন।
সাধারণ হিসেবে খাবার গুলো সত্যি অনেক ভালো ছিল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
স্বপ্ন ঘুড়ি রেস্টুরেন্টের চিকেন পাস্তা খাওয়ার অনুমতি আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। রেস্টুরেন্টটা শুনতে যত ভালো যেয়ে আপনি তেমন একটা ভালো দেখেননি। নেভেল থ্রিতে হয়েও আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। দয়া করি খুব শীঘ্রই আপনি লেবেল গুলো অতিক্রম করেন।
এভাবে পাশে থাকবেন আপু। দোয়া করবেন আমি যেন অনেক তাড়াতাড়ি লেভেলগুলো অতিক্রম করতে পারি।
আপনার কমেন্টটা সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
লেখাপড়ার জন্য পরিবার থেকে দূরে থাকলে একটু কষ্টই হয়।আপনি কোচিং করে এসে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলেন।ঘুম থেকে উঠে ক্ষুধা তো লাগারই কথা।যাই হোক তখন তো আর রান্না করার ইচ্ছে হওয়ার কথা নয়।তাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চ করলেন পাস্তা।আপনার মুহুর্ত গুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু পরিবার থেকে দূরে থাকি তাই একটু কষ্ট হয়। পরিবারের মূল্য যে কতখানি সেটা পরিবার থেকে বাইরে আসলে বোঝা যায়।
পোস্টটি পরে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।