একটুখানি ঘোরাঘুরি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৯ নভেম্বর , শনিবার , ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। শীত শীত সন্ধ্যে ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে। আমি তো ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। অনেকদিন পর বান্ধবীর সাথে সন্ধ্যেবেলা চা খেতে গিয়েছিলাম।বান্ধবীর সাথে কাটানো মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
বেশ কিছুদিন ধরে আমি বেশ অসুস্থতার দিন পার করছি। প্রথমে প্রচন্ড মাথা ব্যথার জন্য ডাক্তার দেখালাম ।ডক্টর চশমা ইউজ করতে বলেছে। চশমা ব্যবহার করে মাথাব্যথাটা কমেছে। তাও মাঝে মাঝে ব্যথা করে। তার মধ্যে আবার জ্বর ঠান্ডা নিয়ে একা কার অবস্থা। পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আর দেরি নেই। মেসে থাকি একা একা, তার উপরে অসুস্থতা ,তার উপরে এক্সামের প্রিপারেশন সবকিছু মিলিয়ে টেনশনের শেষ নেই। সবাই বলে বাড়ি গিয়ে মায়ের আদর পেলে নাকি সকল অসুস্থতা কেটে যায়। সামনে এক্সাম এখন যে করেই হোক মেসে থেকে প্রাইভেট কলেজ নিয়মিত করতে হবে। সেজন্য আর মায়ের কাছে যাওয়া হয়নি।
শুক্রবারে দিনটা অনেক খারাপ লাগছিলো একা একা মেসের মধ্যে থাকতে। রুমমেট মেসে থাকলে খুব একটা খারাপ লাগে না। দুজনে একসাথে গল্পকথায় দিন কেটে যায়। রুমমেটৈর পরীক্ষা তাই সে বাড়ি গিয়েছে। সারাটা দিন একাই ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে আমার বান্ধবী কল করে আমাকে বলে চল দুজনে চা খেয়ে আসি। তারপর আমি ওকে বলি তুই আমার মেসের সামনে এসে আমাকে নিয়ে যা। ও সব সময় আমাকে আমার মেসের সামনে থেকে নিয়ে যায়। ওর এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে। কালকেও ও এসে আমাকে আমার মেসের সামনে থেকে নিয়ে গেলো।
তারপর দুজনে মিলে গেলাম গভমেন্ট কলেজের মাঠে। সেখানে গিয়ে আমরা অপরাজিতা চায়ের দোকানে প্রবেশ করলাম। অনেকদিন আগে অপরাজিতায় গিয়েছিলাম তখন ডেকোরেশন অন্যরকম ছিলো এখন ডেকোরেশন চেঞ্জ করেছে সেটাও সুন্দর লাগছে। আমার বান্ধবী দুজনের জন্য দুই কাপ চা অর্ডার করলো। চা খেতে খেতে দুজন মিলে অনেক গল্প করলাম। কিছু ছবিও তুলে নিলাম দোকানের এবং নিজেদের।
চা খাওয়া শেষ করে আমরা দুজন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করলাম। অনেকদিন পর কুষ্টিয়া গভমেন্ট কলেজের মাঠে গেলাম জায়গাটা এক সময় নিত্যদিন আড্ডা দেওয়ার স্থান ছিলো। আকাশে খুব সুন্দর চাঁদ উঠেছিলো।যদিও অর্ধ চাঁদ দেখতে ভীষণ মিষ্টি লাগছিলো।চাঁদের সাথে কিছুটা সময় উপভোগ করলাম। দুজন মিলে চাঁদের সাথে সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি তুলে নিলাম।
"ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া, সঙ্গে শীতের ছোঁয়া।
মিষ্টি চাঁদের আলো, কাটলো সময় ভালো।"
তারপর দুজন মিলে হাঁটলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমরা পৌঁছে গেলাম মেহেদী ভাইয়ের ফুচকার দোকানে। রাস্তায় বেড়োলে শীতের আগমন বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে। মোড়ে মোড়ে পিঠের দোকান বসেছে। বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠে বিক্রি হচ্ছে। লোকজনের সমাগম বেশ ভালো। সবাই ভিড় করেছে শীতে নতুন পিঠা খেতে। আর বান্ধবীর খুব চটপটি খেতে ইচ্ছে করছিলো। তাই আমরা দুজন দুই বাটি চটপটি অর্ডার করলাম। দুজন মিলে চটপটি খাওয়া শেষ করলাম।
সামনে যেহেতু এক্সাম বেশি সময় ঘোরা যাবে না। তাই আমরা তাড়াতাড়ি রুমে চলে আসলাম। অনেকদিন পর একটু ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালই লাগছিলো। জীবনে এরকম দু-একটা বন্ধু থাকা সবার দরকার। যারা মন খারাপ থাকলে বুঝে যাবে, যাদের বারবার করে মন খারাপের গল্প বলতে হবে না।
আমার ভালো লাগার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৮, নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
স্টুডেন্ট লাইফে এরকম বন্ধু পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এসব বন্ধুদের সঙ্গে দুরুত্ব তৈরি হয়ে যায় ব্যস্ততার কারণে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন আপু বন্ধুরা তো এমনই হবে মনের কথা বলার আগেই বুঝে যাবে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বন্ধুর সঙ্গে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহূর্তটি দেখে।
ঠিক বলেছেন আপু এসব বন্ধুদের সাথে দূরত্ব তৈরি হয় ব্যস্ততার কারণে। হ্যাঁ আপু খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সন্ধ্যার সময়ের এরকম ঘোরাঘুরিটা বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে মেস জীবনে এটা সবথেকে এনজয়েবল মুহূর্ত। সাথে যদি ফ্রেন্ডসরা থাকে তাহলে তো অন্যরকম সময় অতিবাহিত হয়। আপনার বান্ধবী দেখতেছি আপনার প্রতি বেশ কেয়ারিং আপনার ম্যাচের সামনে থেকে আপনাকে নিয়ে গেছে। আসলেই রুমমেট থাকলে তেমন একটা একঘেয়েমি লাগেনা। একা একা থাকলে বোর লাগে। যাই হোক আপনার বান্ধবীর সাথে কাটানো সন্ধ্যের চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন মেস লাইফে এটা সবথেকে আনন্দের মুহূর্ত। হ্যাঁ আমার বান্ধবী অনেক কেয়ারিং। ও সব সময় আমাকে মেসে সামনে থেকে নিয়ে যায় ওর ব্যাপারটা সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এমন সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ঘোরাঘুরির বিস্তারিত বিষয়। মাঝেমধ্যে যদি এভাবে কোথাও চলাচল করা যায় তাহলে মন প্রফুল্ল থাকে। আর এদিকে ফুচকা তো আমি খুবই পছন্দ করি। মেহেদী ভাইয়ের ফুচকার দোকানে গিয়েছেন সেখান থেকে ফুচকা খেয়েছেন বেশ আনন্দের সময় ছিল বুঝতে পারলাম।
ঠিক বলেছেন আপু মাঝে মধ্যে একটু ঘুরতে গেলে মন প্রফুল্ল থাকে। আমিও ফুচকা অনেক পছন্দ করি। তবে আমরা চটপটি খেয়েছিলাম আমার বান্ধবীর ইচ্ছেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মাঝে মাঝে এমন ঘোরাঘুরি করতে ভালই লাগে। তাও সঙ্গে যদি প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবী থাকে। আপনার ছবিগুলি খুব ভালো লাগলো। সবথেকে ভালো লাগলো ছবি তোলার স্টাইল গুলো। তবে চটপটি জিনিসটার নাম অনেক শুনেছি। কিন্তু আমাদের এখানে পাওয়া যায় না। কখনো খাওয়ার ইচ্ছে আছে।
হ্যাঁ দাদা সঙ্গে প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবী থাকলে যে কোন সময় খুব উপভোগ্য হয়। বাংলাদেশে আসলে চটপটি খেয়ে যাবেন। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
কুষ্টিয়া গভমেন্ট কলেজের ফিল্ডের পাশে অপরিচিতা চায়ের দোকান সত্যি আমার বেশ পরিচিত এখনও বেশ মনে পড়ে সেখানে বসে প্রায় সন্ধ্যায় চা খেতাম এবং নান্দার মধ্যে যে রঙিন মাছগুলো আছে সেই মাছগুলোর সাথে আড্ডা দিতাম। অনেকদিন কুষ্টিয়াতে যাওয়া হয়নি আপনার পোস্ট দেখে আবারও সেই আগের সোনালী দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে অবশ্যই আবার কুষ্টিয়া তে আসবেন। কুষ্টিয়া গভমেন্ট কলেজের ফিল্ডের পাশে অপরিচিতা চায়ের দোকান আপনার পরিচিত এবং সেখানে চা খেয়েছেন আড্ডা দিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। কুষ্টিয়ার অপরাজিতা চায়ের দোকানের চা কিন্তু বেশ সুস্বাদ। তাদের ডেকোরেশনও সুন্দর। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মনের মতো একজন বান্ধবী থাকলে জীবনে আরো কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। আপনি অনেক ভাগ্যবান, আপনার একজন মনের মতো বান্ধবী রয়েছে। আপনি দেখছি আপনার বান্ধবীর সাথে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া ও করেছেন। রাতের বেলা চায়ের আড্ডা দিতে বেশ ভালোই লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মনের মতো একজন বান্ধবী থাকলে জীবনে কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ ভাইয়া রাতের বেলা চায়ের আড্ডা দিতে ভালই লাগে। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ভালোই মজা করেছি।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে এ সময়টা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বেশ কয় দিন অসুস্থ থাকার পর বান্ধবীর সঙ্গে বাহিরে বের হয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট পগেই বুঝতে পারছি আপু। বাহিরে বান্ধবীর সঙ্গে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এ সময় কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এমনটা হচ্ছে আর দুই একদিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে। অসুস্থ অবস্থায় রুমের মধ্যে একা থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা।হ্যাঁ আপু বান্ধবীর সাথে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।