তিন রঙের চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ -৮ ই জুন শনিবার ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল চারে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তিন রঙের চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা। নতুন ধরনের খাবার খেতে আমাদের সবারই খুব ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগে তাই সেদিন চলে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে তিন রঙের চা খেতে। সেখানকার অভিজ্ঞতা এবং বন্ধুদের সাথে কাটানো বিকেলের সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কিছুদিন আগে ফেসবুক থেকে জানতে পারলাম কুষ্টিয়া কোট স্টেশন এর পাশে নাকি তিন রঙের চা পাওয়া যাচ্ছে। তার পরের দিন ছিল শুক্রবার। শুক্রবার সকালে আমি আর আমার বান্ধবী মিলে ঠিক করলাম আমরা তিন রঙের চা খেতে যাবো। যেমন কথা তেমন কাজ বিকাল চারটা নাগাদ বের হলাম আমরা চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে।
আমার মেস থেকে কুষ্টিয়া কোট স্টেশন মাত্র ১০ মিনিটে রাস্তা। তাই আমি আর আমার বান্ধবী হেটে হেঁটে চলে গেলাম চা খেতে। রাস্তায় যেয়ে দেখা হলো আমাদের এক বন্ধুর সাথে। তারপরে আমরা তিনজন হেঁটে হেঁটে গল্প করতে করতে পৌঁছে গেলাম কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে চায়ের দোকানে। কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে অনেক বড় এবং সুন্দর একটি কাঠ গোলাপের গাছ আছে সেই গাছের নিচেই ছিলো চায়ের দোকানটা ।
যেহেতু দোকানটা নতুন তাই লোকজনের সমাগম ছিল বেশি ।কুষ্টিয়াতে এই প্রথমবার তিন রঙের চা পাওয়া যাচ্ছে। সবাই অনেক আগ্রহ নিয়েই চা খেতে এসেছে সেখানে। আমরাও গিয়ে বসলাম। আমার বান্ধবী বলল সে নাকি চা খাবে না। তাই আমরা দুই কাপ চা অর্ডার দিয়েছিলাম।যতক্ষণে চা হচ্ছিলো ততক্ষণে আমরা কাঠগোলাপ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলাম এবং কাঠগোলাপের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।
তারপর মামা আমাদের চা নিয়ে এলো। আমরা তারপর চা খেলাম। চা দেখতে বেশ সুন্দর ছিল কিন্তু এটা খেতে খুব একটা সুস্বাদু ছিল না। চা খেতে ভালো লাগেনি কিন্তু নতুন জিনিস এর স্বাদটা তো উপভোগ করা হলো। তারপর আমরা চা খাওয়া শেষ করলাম। চা খাওয়ার আগেই আমরা চা বিক্রেতা মামাকে বলে রেখেছিলাম মামা চা যদি খেতে ভালো না হয় তাহলে কিন্তু টাকা ফেরত দিতে হবে। মামা বলেছিলেন আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর আমরা চা খাওয়া শেষে যখন মামাকে বললাম যে,
মামা চা কিন্তু সুস্বাদু ছিলোনা। মামা তখন হাসতে হাসতে বলছে নতুন জিনিস তোমাদের খাওয়াচ্ছি তোমরা এতেই খুশি থাকো।তারপর আমরা মামার সাথে গল্প করলাম জিজ্ঞেস করলাম সে নতুন চা বানানোর অভিজ্ঞতাটা কোথায় পেলো?মামা বললো সে নিজে থেকে নাকি এইটা তৈরি করেছেন।সিলেটে যাওয়ার সুযোগ আমার কখনো হয়নি। তবে শুনেছি সেখানে নাকি সাত রঙের চাওয়া পাওয়া যায়।তবে আমাদের কুষ্টিয়াতে তিন রঙের চা পাওয়া যায়। সেটা তো খেয়ে দেখলাম।
তারপর মামার সাথে গল্প শেষে মামার চায়ের বিল টা দিয়ে আমরা সেখান থেকে উঠে পরি। তারপর আমার কিছু সময় স্টেশনে ঘোরাঘুরি করলাম। ছবি তুললাম তিনজন মিলে অনেক গল্প করলাম। তারপর সন্ধ্যা হতে প্রায় ১৫ মিনিট বাকি। তখন আমরা রওনা দিলাম নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে মানে আমরা সবাই মেসের উদ্দেশ্যে চলে আসলাম। এটাই ছিলো আমাদের সেদিনের ঘোরাঘুরি। সব মিলিয়ে শুক্রবারে বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডাটা বেশ ভালোই ছিল। সব থেকে ভালো ছিল চা বিক্রেতা মামার সাথে গল্প করার সময়টুকু।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৭ই মে২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
তিন রঙের চা খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন আপু। বান্ধবীসহ চা খেয়ে বেশ আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। কাঠ গোলাপের ছবিতে খুব সন্দর মানিয়েছে আপনাদের। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। লেখাও বেশ গুছানো। সবমিলে ভালো লেগেছে পোস্টটি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কুষ্টিয়া কোর্টের ওই জায়গাটা বেশ সুপরিচিত আমার। আর ঠিক সেই স্থান থেকে আপনার চা খাওয়ার অনুভূতিটা প্রকাশ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো তিন রঙের চা দেখে। আশা করি বেশ ভালো লেগেছে পান করতে। সুন্দর একটি ব্লক শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সাত রংয়ের চা খেয়ে তিন রঙের চা খাওয়ার ইচ্ছে উঠে গেছে। এখন এটা বুঝে গেছি যে, যত বেশি রঙের চা হবে ততই টেস্ট কম হবে। যাইহোক তিন রঙের চা খেতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছো জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন যতো রঙিন চা ই হোক না কেন টেস্ট শুধু রং চাতেই খুঁজে পাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তিন রঙের চা এই প্রথম আপনার পোস্টে দেখলাম আপু।বান্ধবীর সাথে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনি।আপনার অনুভূতি মূলক পোস্টটি খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুক্রবারে বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডা বাহ্ দারুন। এভাবে মাঝে মধ্যে খোলা আকাশের নিচে চা খেতে বেশ ভালো লাগে। আশাকরি আপনারা সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। বর্তমান সময়ে এখন অনেক ধরনের চা পাওয়া যায়।
সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সাত রঙের চা পাওয়া যায়। ২ মাস আগে শ্রীমঙ্গল ট্যুরে গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু প্রচন্ড ঘুরাঘুরি করার কারণে সাত রঙের চা খাওয়ার কথা মনেই ছিলো না। পরে অবশ্য বাসায় এসে এটা নিয়ে আফসোস করেছি। যাইহোক তিন রঙের চায়ের স্বাদ ভালো না হলেও, একেবারে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনাদের। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।