কুষ্টিয়া রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণ। (পর্ব-২)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৯ মার্চ, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। এর আগে একটি পোস্টে আপনাদের সাথে কুষ্টিয়া রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম।এই পর্বে কুঠিবাড়িতে ঘোরাঘুরি করার আরো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
সেদিন যেখানে শেষ করেছিলাম, আজ সেখান থেকে শুরু করবো।আমরা তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কে সকলেই জানি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন দশায় তার জমিদারের দেখাশোনার জন্য কুষ্টিয়া কুঠিবাড়িতে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ি একটি দর্শনীয় স্থান। এখানে ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। সবুজে ঘেরা শান্ত পরিবেশ। সেদিন আমরা পুকুর ধারের দিকে ঘোরাঘুরি শেষ করে খাওয়া-দাওয়ার করতে গিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়া করার জন্য প্রথমেই আমরা পুকুর পাড় থেকে হাঁটতে হাঁটতে কুঠিবাড়ির সামনের গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। গেট দিয়ে বের হয়ে আমরা প্রথমেই খুঁজতে থাকি খাবারের দোকান।
যাওয়ার সময় বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে কুঠিবাড়ির বেশ কিছু ফটোগ্রাফি কেপচার করে নিয়েছিলাম। এখানে এর আগেও এসেছিলাম কিন্তু সেবারে খাবার সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কুঠিবাড়ি চারিপাশে ভালো কোন হোটেল পাচ্ছিলাম না। আমরা ভেবেছিলাম এখানে কোন রেস্টুরেন্ট আছে সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করব। কিন্তু পরে গিয়ে পুরোটাই উল্টো দেখি। এখানে কোন ভাল রেস্টুরেন্ট ছিল না। যাওয়ার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট দেখতে পাই। দুই সাড়িতে দোকানগুলো খুব সুন্দর সেজে উঠেছে। এগোতে এগোতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
আমরা চারজন মিলে সামনের দিকে হাঁটতে থাকি। চারিপাশে ভালো কোন রেস্টুরেন্ট না পেয়ে আমরা একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার জন্য প্রবেশ করি। হোটেলটা বেশী নিরিবিলি ছিল। লোকসমাগম খুব কম। খুবই খোলামেলা পরিবেশ। আমরা প্রথমেই সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করি তাদের মেনু কার্ডে কি কি আছে। কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানাই সেখানে শুধুমাত্র মাংস ভাত আর পোলাও, রোস্ট আছে। আমরা সবাই মিলে ডিসাইড করি পোলাও আর রোস্ট খাবো। পোলাও রোস্ট খাওয়ার জন্য আমরা অর্ডার দিয়ে দিই। কিছুক্ষণ বসে আমরা গল্প করতে থাকি এরই মধ্যে আমাদের খাবার চলে আসে।
আমার খুব একটা বাজে অভ্যাস আছে আমি যেখানেই যাই না কেন খাবার নিয়ে আমার সমস্যা। প্রথমে খাবার দেখে একদম ভালো লাগছিল না। তারপরেও সবার সাথে আমি খাওয়ার চেষ্টা করলাম। পোলাওের ভাত মুখে দিতেই বুঝতে পারি পোলাও একদম সিদ্ধ হয়নি। কেউই খেতে পারছিল না। তারপরে আমরা ওখানকার মালিক কে জানাই। সে বলে তাহলে সাদা ভাত দিই? আমরাও তাতে হ্যাঁ বলে দেই। রোস্টের সাথে সাদা ভাত খেতে একদম ভালো লাগছিল না। আর পরিবেশটাও খুব একটা ভালো ছিল না।আমার তো খাবার খেতে খুব অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। আমার বন্ধুরা ওইভাবেই কোনো মতো খাবার খেয়ে নিল। কিন্তু আমি একেবারে খাবার খেতে পারলাম না। না খেয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম।
আসতেই চোখে পড়ে আইসক্রিমের দোকান। আইসক্রিমের দোকান থেকে আমি একটা কোন আইসক্রিম কিনে নি। তারপর কিছু টিপস এবং ঠান্ডা জাতীয় পানীয় খাবার কিনে নিলাম। তারপর আসতে আসতে দেখতে থাকলাম সারিবদ্ধ দোকানগুলো। প্রথমে আমি একটি দোকানে প্রবেশ করলাম। সেখানে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর জিনিস ছিলো।সব জিনিসই শোপিস টাইপের। কোন জিনিসই খুব একটা পছন্দ হচ্ছিল না। ভেবেছিলাম বোনের জন্য কিছু একটা কিনব কিন্তু কিছুই তেমন ভালো লাগছিল না।
তারপর হাঁটতে হাঁটতে একটি চুরি মালার দোকানে আসলাম। কুঠিবাড়ি যাবার সময় হঠাৎ করে আমার ক্লিপ ভেঙে গিয়েছিল। সেজন্য আমি সেখান থেকে একটি ক্লিপ কিনে নিলাম। এবং একটি চুরিও কিনে নিয়েছিলাম। হাঁটছিলাম আর ফটোগ্রাফি করছিলাম। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফরেনারের সাথে দেখা হলো।তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। এগিয়ে এসে একটি খাবারের দোকান থেকে আরো কিছু খাবার কিনে নিলাম। যাতে আমরা ভিতরে গিয়ে বসে বসে খেতে পারি। ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা আবার কুঠিবাড়ির গেটের মধ্যে প্রবেশ করলাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে কি করলাম এবং কেমন মজা করলাম সব আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করবো।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


যে খাবার দেখে রুচিতে ধরে না সে খাবার না খাওয়াই ভালো। তোমার সাথে যেটা হয়েছে আমার সাথে হলে তো মাথাটা গরম হয়ে যেতো। কারণ খাবার না পেলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির আশেপাশে তেমন কোন ভাল রেস্টুরেন্ট নেই বললেই চলে। যেসব রেস্টুরেন্ট আছে সেগুলোর পরিবেশ একদম ভালো না। ফরেনারদের সাথে কি কথা বলেছিলে নাকি! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আগে থেকে জানলে আমরা অবশ্যই খাবার নিয়ে যেতাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে এরকম পরিস্থিতি পড়ে অনেক বিরক্ত লাগছিল। তবে যেভাবেই হোক দিনটা ভালই কেটেছে। চমৎকার মন্তব্য করি পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথের কুটির বাড়ি দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এখানে আমরা স্কুল থেকে বনভোজনের গিয়েছিলাম। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল।
এখানে অনেকে স্কুল থেকে বনভোজনে আসেন। আমি অনেক আগে গিয়েছিলাম পরিবারের সাথে।। আর এবারে বন্ধুদের সাথে ঘুরে আসলাম। জায়গাটা আসলেই সুন্দর।
কুষ্টিয়ায় রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ির ছবি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমি আগের পোস্টটি মিস করে গেছি হয়তো তাই আগের পোস্ট পড়ে গিয়ে একবার দেখে আসব। রবি ঠাকুরের বাড়ি যেয়ে এখনো এত সুন্দর করে রয়েছে নিশ্চয়ই মেন্টেন করছে লোকজন তা দেখে খুবই ভালো লাগলো। কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি দেখার পর আপনারা কি সুন্দর সুন্দর সব ছবি তুলেছেন এবং বেশ ভালো সময়ও কাটিয়েছেন তা পড়ে আনন্দিত হলাম।
শিলাইদাহ রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ি শান্ত পরিবেশের জন্য আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এখানে অবশ্য প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন। তারপরেও এখানে অন্যরকম একটা শান্তির ব্যাপার আছে। সবুজে ঘেরা পরিবেশ, দুই পাশে দুটি বড় বড় পুকুর সব মিলিয়ে চমৎকার লাগে। পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো দিদি।
মাঝেমধ্যেই ফরেনার দের সাথে দেখা হয় মূলত এই শান্ত পরিবেশে দর্শনীয় স্থানটি বিদেশ থেকে অনেকেই দেখতে আসে। কুঠির বাড়ির দ্বিতীয় পর্বটি সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ, এখানে প্রতিদিনই প্রায় ফরেনার রা এসে থাকেন। পর্বটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়া রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণের আরো একটা পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই পর্বে আপনার কাটানো আরো সুন্দর কিছু মুহূর্ত দেখলাম। ওখানে গিয়ে দেখছি খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। তবে খাবারের অভিজ্ঞতা খারাপ ছিল দেখে খারাপ লাগলো। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বটা দেখার জন্য।
এখানে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কেটেছিল আপু। হ্যাঁ আপু, এতকিছুর মধ্যে শুধুমাত্র খাবারের অভিজ্ঞতা টাই একদম বাজে ছিল। তারপরও মানিয়ে নিলে সব ভালো হয়।আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
আজকে দেখতে দেখতে আপনি কুষ্টিয়া রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণের ২য় পর্ব শেয়ার করলেন।কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ভ্রমণ ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এই স্থানটি শিলাইদহের মতোই প্রাণবন্ত। কুঠিবাড়ির স্থাপত্য এবং এর চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে শান্ত করে। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মের প্রেরণা যে এই পরিবেশ থেকে এসেছে, তা সহজেই অনুভব করা যায়। ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল শিক্ষণীয় এবং আনন্দময়। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপু আপনাকে
চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভ্রমণ করতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে৷ ভ্রমন করার মধ্যে আমরা নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে পারি৷ আর আজকে আপনার কাছ থেকে কুষ্টিয়ার এরকম একটি বাড়ি সম্পর্কে দেখে খুব ভালোই লাগলো৷ এখানে আপনি এর দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে অনেকগুলো সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ একইসাথে এখানে আপনি পোস্টের মধ্য দিয়ে এই জায়গা সম্পর্কে অনেকগুলো কথা ফুটিয়ে তুলেছেন৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনের অনেকটা সময় এখানে কাটিয়েছেন। সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে আমাদেরও খুব ভালো লাগছিল। চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাইয়া।