//সুধার স্বপ্ন//পর্ব -০৪ (শেষ পর্ব)//
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভালো আছেন ।আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
গত দুটি পর্বে আমি আপনাদের মাঝে" সুধার স্বপ্ন" গল্পটির পর্ব -০১ , পর্ব -০২ ও পর্ব - ০৩ শেয়ার করেছিলাম আর আজ সেই গল্পটির চতুর্থ অর্থাৎ শেষ পর্বটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
অবশেষে অনেক বাধা-বিপত্তি আর সংগ্রাম চালিয়ে, সুধা আজ ডাক্তারি পাস করতে পেরেছে। তার মনের প্রবল ইচ্ছেশক্তি থেকেই সে আজ এই সফলতা অর্জন করতে পারল। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও সে ভেঙ্গে না পড়েও সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে, তাই সে আজ অবশেষে এই জায়গাটা অর্জন করতে পেরেছে।
প্রথমদিকে তাকে কেউ সহযোগিতা না করলেও, পরে এসে সে বহু মানুষের থেকে সহযোগিতা লাভ করেছে। কিন্তু প্রথমেই সেই খারাপ সময়ে যদি সে থেমে যেত তাহলে আর পরের ভালো সময়ে পৌঁছতে পারতো না। আর এখন তো সে তার নিজের বহু বছরের স্বপ্নটাকে পুরোপুরিভাবে পূরণ করতে পারলো। কিন্তু তার এখন একটাই আফসোস, যদি তার এই সফলতায়, তার মায়ের সাথে সাথে বাবা এবং ঠাকুমা থাকতো, তাহলে যেন সে আরও বেশি সার্থক বলে নিজেকে মনে করত।
সুধার মায়ের আনন্দের আর শেষ নেই। এটাতো হওয়ারই কথা, কারণ তার পুরো পরিবারটাই অনেক কষ্ট করেছে সারাজীবন ধরে। এখন তারা অবশেষে একটু সুখের মুখ দেখতে পেল। এর পাশাপাশি সুধার কাঁধে এখন অনেক দায়িত্ব এসে পড়েছে। মায়ের দেখভাল করার সাথে সাথে, গ্রাম পঞ্চায়েতকে দেওয়া কথাটাও তো তাকে রাখতে হবে।
সুধা তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ,তার সমস্ত দায়িত্বই অনায়াসেই পালন করতে শুরু করে দিল। গ্রামের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি, সে এখন ধীরে ধীরে গ্রামে একটি ছোটখাটো হাসপাতালও তৈরি করে ফেলেছে। সেখানে প্রতিনিয়ত বহু দরিদ্র পরিবারের মানুষ এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়ে যায়। এইভাবেই, সুধা শেষ পর্যন্ত অনেক সংগ্রাম করে সুধা নিজেকে সফলতার ,চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে নিয়ে যেতে পারলো।
পোস্ট বিবরণ | স্টোরি রাইটিং |
---|
আজ আর নয় ।আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি ।ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে, আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
সুধার এই গল্পটার শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে, কারণ প্রথম থেকে শুরু করে সব পর্ব আমার পড়া হয়েছে। সুধা অবশেষে সব সংগ্রাম পেরিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে যারা সংগ্রাম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা একদিন না একদিন নিজের লক্ষ্যে পৌঁছায়। আর পাশে যদি কারো সাপোর্ট থাকে তাহলে খুব দ্রুত নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। সম্পূর্ণটা বেশ উপভোগ করলাম।
এত পরিশ্রমের মাধ্যমে যখন নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব এই বিষয়টা সত্যি খুবই ভালো লাগে। সুধা নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে, কিন্তু তার মধ্যে একটাই আফসোস থেকে যাবে, তার এই সাফল্যে তার ঠাকুমা এবং বাবা পাশে নেই। আসলে তার ঠাকুমা এবং বাবা যদি থাকতো তাহলে তারা অনেক বেশি খুশি হত তার এই সাফল্যে। গ্রাম পঞ্চায়েত কে দেওয়া কথা সুধা দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মাধ্যমে পালন করছে এই বিষয়টা অনেক ভালো লাগলো। শেষ পর্ব টা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম দিদি।
ঠিকই বলেছেন ,অনেক পরিশ্রমের মধ্যে থেকে যখন একটা সফলতা পাওয়া যায়, তখনই জীবনে আসল সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। হ্যাঁ কিন্তু আফসোস থাকলেও, তার বাবা ঠাকুমা কে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না ,তাই কি আর করা!
আপনার সুধার স্বপ্ন শেষ অংশটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে একসময় সুধাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছ এবং আজ সে সফল হয়েছে। আজ তার অনেক দায়িত্ব। আসলে প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু খারাপ সময় থাকে, অনেকে সেটি কাটিয়ে উঠতে পারে আবার অনেকে পারে না। যাই হোক সুধা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন ,গল্পের শেষ পর্বটি পড়ে। আসলেই প্রতিটি মানুষের জীবনে অনেক খারাপ সময় থাকে ,সেগুলি কাটিয়ে উঠতে অনেকেই পারে না, তবে সুধা যে পেয়েছে এটাই তার সফলতা।।
আসলে আপনার এই গল্পটি আমাদের সকলের জন্য বেশ অনুপ্রেরণা যোগাবে সাফল্য অর্জন করার জন্য। বিশেষ করে সুধার মতো নিশ্চয়ই অনেকেই নিজ পরিশ্রমে সফলতার শীর্ষে ওঠে বিনামূল্যে তার এলাকার মানুষদেরকে চিকিৎসা করবে এবং অন্যান্যভাবেও সেবা করবে। খুবই সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার লেখা গল্পটি,আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমাদের সমাজে অনেক কম মানুষই রয়েছে যাদের স্বপ্ন থাকে বিনামূল্যে গরিব মানুষের সেবা করা। বর্তমানে তো সবাই শুধু টাকার পেছনেই ছোটে। যাইহোক সুধার স্বপ্ন পূরণ এবং তার পরিবারের লোকের খুশি শেষ পর্যন্ত দেখা গেল। সত্যি কথা বলতে তোমার গল্পটা বাস্তব জীবনের একটা দর্পণ।
বাস্তব জীবনের এরকম অনেক ঘটনা দেখেই, আসলে গল্পটা লিখেছিলাম। আমার লেখা গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।