কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের কিছু দৃশ্য
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের কিছু দৃশ্য নিয়ে। অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল এই পার্কে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এতদিন তা কোনো না কোনো কারণে হয়ে ওঠেনি। তবে গতকাল রাতে হঠাৎই ঠিক হলো আজ বিকেলের দিকে এই পার্কে ঘুরতে যাব। আর চলেও গেলাম। চলুন তাহলে সেখানকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমেই আসি , মিলেনিয়ান পার্ক থেকে তোলা হাওড়া ব্রিজ বা হাওড়া সেতুর ছবিটিতে।হাওড়া সেতু বা হাওড়া ব্রিজ ,হুগলি নদীর উপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতুগুলির মধ্যে অন্যতম। এই সেতুটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর উপর অবস্থিত একটি ঝুলন্ত সেতু৷ মিলেনিয়ান পার্ক থেকে এই সেতুটিকে খুব স্পষ্টভাবেই দেখতে পাওয়া যায়।
এই ছবিটি পার্কটিতে প্রবেশের মুখেই প্রথমে তুলেছিলাম ।মিলেনিয়াম পার্ক কলকাতায় গঙ্গা নদীর পূর্ব তীরে রেলওয়ে ক্লাবের বিপরীতে গড়ে উঠেছে। এটি একটি বিনোদন উদ্যান হিসাবে পরিচিত। অনেকটাই বিস্তৃত জায়গা নিয়ে ,এই সুবিশাল পার্কটি উঠেছে।
সুবিশাল এর এই পার্কটির প্রায় বেশিরভাগ অংশজুড়ে বিভিন্ন রকমের গাছপালা বেড়ে উঠেছে। যা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিল। একদিকে সুবিশাল গঙ্গা নদী, অপরদিকে পার্কটির মধ্যেকার অপরূপ সবুজ প্রকৃতি, সব মিলিয়ে একটা দারুন পরিবেশ।
প্রতিনিয়ত এখানে বহু লোকের সমাবেশ হয়। যদিও আগে কখনো যাইনি ,তবে লোকমুখে শুনেছি ,আর আজ দেখেও নিলাম। বিকেল- সন্ধ্যে এই সময়ের মধ্যেই বেশিরভাগ লোকের আনাগোনা হয়ে থাকে।
----------
যেই সময়ে, আমি এই পার্কটিতে প্রবেশ করেছিলাম ,তখনই হঠাৎ একটা ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছিল ।যা উপভোগ করতে আমার দারুন লাগছিল। প্রকৃতিকে ভালবাসে না ,এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। সব সময় বদ্ধ বাড়ি - ঘর আর যানবাহনের মধ্যে থাকতে থাকতে মাঝেমধ্যে যদি কখনো এরকম খোলা স্নিগ্ধ পরিবেশে যাওয়া যায়, তাহলে সেটা কতটা উপভোগ্য হয় বুঝতেই পারছেন।
সুবিশাল গঙ্গা নদী, যা দেখে দুচোখ জুড়িয়ে যায়। যতদূর চোখ যায়, শুধু সৌন্দর্যে ভরা মা গঙ্গা। গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে, দারুন একটা অনুভূতি কাজ করে। প্রকৃতির এত সৌন্দর্য্য আর তার সাথে প্রাকৃতিক এত সুন্দর মৃদুমন্দ বাতাস বয় সেখানে , যা অদ্ভুত এক শান্তি গড়ে তোলে মনে। পার্কটি থেকে সৌন্দর্যময় বিদ্যাসাগর সেতুটিও ,বেশ ভালোভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
এই সম্প্রসারিত অংশে শিশুদের জন্যে বেশ কয়েকটা মজাদার 'রাইড' তৈরি করা হয়। সেগুলোই উপরের ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।যেখানে প্রত্যেক রবিবার এবং ছুটির দিনে অসংখ্য শিশু তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মজা নিতে আসে। উদ্যানটি সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
এত সুন্দর একটা পরিবেশে গিয়ে, যদি নিজের একটিও ফটো না তুলি ,তাহলে প্রকৃতি নিশ্চয়ই তা মেনে নেবে না, হি হি হি।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
পোস্ট বিবরণ | ভ্রমণ বিষয়ক |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
লোকেশন | কলকাতা, মিলেনিয়াম পার্ক |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি ।ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন ।দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের কিছু দৃশ্য অসাধারণ সুন্দর লাগছে। পার্কের ভেতরের ছবিগুলো অনেক সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন মিলেনিয়াম পার্কে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম কলকাতার মিলেনিয়ান পার্কে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
নতুন কোন স্থান দেখতে এবং নতুন কোন স্থান সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে আমি আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে এবং জানতে পারলাম। আপনার এই সুন্দর পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে এবং মন মুগ্ধ হয়েছে এত সুন্দর দৃশ্য দেখে।।
আমার এই পোস্টটি থেকে, আপনি নতুন কিছু জানতে এবং দেখতে পারলেন জেনে আমার খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ,অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর করে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন। পার্কের দৃশ্য ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটির বেশ চমৎকার। এ ধরনের জায়গা গুলো সামনে থেকে দেখতে পারলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতো। আপনি সময় করে সন্ধ্যার পরে পার্কে ঘুরতে গেলেন। অনেক সুন্দর করে পার্কের দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু, এই ধরনের জায়গাগুলো সামনে থেকে দেখতে গেলে অনেক বেশি এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব সম্ভবত পাঁচ সাত বছর আগে একবার মিলিনিয়াম পার্কে গেছিলাম। আসলে গঙ্গার পাড়ে পার্কটা হওয়ার কারণে এখানে আগে অনেক বেশি লোক হতো। তবে ইদানিং লোকজন অনেক কমে গেছে পার্কের একটা সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে। এই জায়গার প্রাকৃতিক দৃশ্য আসলে অনেক সুন্দর, একপাশে হাওড়া ব্রিজ অন্যপাশে বিদ্যাসাগর ব্রিজ। অনেক বছর পর জায়গাটা দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।
তাহলে তো অনেক বছরই মিলেনিয়ান পার্কে যাওনি দেখছি। আসলেই এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যটা অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন পর যাবো দেখি। আসলে যাওয়া হয়না কোনো জায়গায়।
হ্যাঁ অবশ্যই যাবে ।আশা করছি ভাল লাগবে গিয়ে।