|| লাইফ স্টাইল : কেনাকাটার উদ্দেশ্যে শপিংমলে ||
নমস্কার বন্ধুরা
বড় বড় শপিংমলগুলোতে শপিং করতে আমি অনেকটাই স্বাচ্ছন্দবোধ করি। তবে তার মানে কিন্তু এটা নয় যে আমার প্রচুর টাকা পয়সা রয়েছে। বড় বড় শপিংমলগুলোতে শপিং করতে যাই তার কারণ হলো আমার টাকার অনেক স্বল্পতা রয়েছে। হা হা হা..যাই হোক অনেকে হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পারলে না, আমি খুলে বলছি আর কি। আমরা বাইরে নরমাল যে দোকানগুলোতে আমাদের দৈনন্দিন জিনিসপত্র কিনি সেগুলো মোটামুটি একটা ফিক্সড রেট থাকে। অর্থাৎ তারা বেশি দাম দিয়ে কেনে আর এই কারণে তাদের বেশি দাম দিয়েও বিক্রি করতে হয়। তবে ছোট ছোট দোকানগুলোতে যেহেতু এসব প্রয়োজনও জিনিসপত্র বিক্রি হয় খুব কম এজন্য তারা মার্জিন একটু বেশি রাখে। কিন্তু বড় বড় শপিংমল গুলো সেরকম নয়। এদের সেল হয় প্রচুর পরিমাণে এইজন্য অল্প লাভে মাল বিক্রি করতে পারে। এই যেমন ধরুন বাইরে যে চিনি আমরা ৪৮ টাকা বা ৪৭ টাকা করে কেজি কিনে খাই, এখানে গেলে সেটা মোটামুটি ৪০ টাকা কিংবা তার থেকেও কম দামে পাওয়া যায়। তাহলে বুঝলেন তো যে কেন এই জায়গাগুলো তো শপিং করতে যাওয়া হয়।
তবে আমি শপিং করতে গিয়েছিলাম আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগে। সেই পোস্টটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। মোটামুটি মাসের বাজার ঘাট মাস শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহের ভিতর করে কমপ্লিট করা হয়। এজন্য মাস শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই চলে গিয়েছিলাম আমাদের বাড়ির পাশের শপিংমলে। বাড়ি থেকে খুব বেশি একটা দূর নয়, এজন্য মোটামুটি হেঁটেই চলে গিয়েছিলাম। যেহেতু সাথে বাবা ছিল এজন্য খুব বেশি একটা চাপ ছিল না। যাই হোক যথারীতি বিকাল নাগাদ আমি এবং বাবা চলে গেলাম শপিংমলে টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য। আমাদের সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিল আটা, ময়দা, চাল এইসব জিনিস। যেগুলো বাইরে অনেক দামে বিক্রি হচ্ছিল কিন্তু এখানে একসাথে কোয়ান্টিটি বেশি নিলে প্রায় কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পাওয়া যায়, যেটা আমাদের জন্য অবশ্যই সুবিধাজনক ছিল। যাই হোক আমরা সর্বপ্রথম চলে গেলাম শুকনো বাজার করার জন্য এবং সেখান থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় যা যা জিনিস ছিল সেগুলো কিনে নিলাম। মোটামুটি আটা প্রতি কেজি আমাদের ৫ থেকে ৬ টাকা করে লাভ হয়েছিল, যেটা হিসাব করে দেখলাম। তারপর চিনি যা নিয়েছিলাম তাতেও প্রায় দশ টাকার উপরে লাভ হয়েছিল প্রতি কেজিতে।
তবে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কাঁচা সবজি। বাইরে আমরা যে লাউ ১৫ টাকা করে কিনে খাই, এখানে এসে দেখি সেটা ৫০ টাকা হয়ে গেছে। সব জিনিসের দাম মোটামুটি এখানে কম, কিন্তু কাঁচা সবজির দাম শপিং মলে যে কেন কম হয় না এটা আমি আজ অবধি বুঝতে পারলাম না। যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। কারণ ব্যাপারটা আমার জানার খুব ইচ্ছা। যাইহোক এরপর বাবা দেখলাম আমাকে বেশ কিছু চকলেট কিনে দিল যেটা আমার খুবই পছন্দের ছিল। তারপর যেহেতু আমার নতুন ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে এজন্য একটা জলের বোতল খুব দরকার ছিল। আর এখানে ফিফটি পার্সেন্ট অফে জলের বোতল পাওয়া যাচ্ছিল, এই সুযোগে একটা নিয়ে নিলাম। তবে এখানে আর একটা জিনিস দেখলাম যে চানাচুর এবং জুসের উপর আপ টু ফিফটি পার্সেন্ট অফ ছিল। এটা দেখেই ওখানে গেলাম, তবে সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় এটা ছিল যে ওই জিনিসগুলোর ডেট চলে যাওয়ার আর বোধহয় সপ্তাহখানেক ছিল। এই জন্য এত কম দামে দিচ্ছিল, তবে আমরা সেগুলো কিনিনি।
এরপর নিজের জন্য পছন্দমত কিছু বিস্কুট নিয়ে নিলাম যেটা আমার প্রত্যেকদিন সকালবেলা দরকার পড়ে। মোটামুটি আমরা যে বাজার ঘাট করেছিলাম সেটা হাতে করে বয়ে আনা সম্ভব ছিল না। তাই মোটামুটি বিল মিটিয়ে একটা কাউন্টারে সেগুলো রেখে আমি আর বাবা চলে গেলাম টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। তারপর সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে টোকেন দিয়ে নিজেদের জিনিসপত্র গুলো নিয়ে রিক্সায় উঠে পড়লাম। তারপর সোজা বাড়ি। সবমিলিয়ে একটা ব্যস্ততম সময় কেটেছিল ওই দিন। তবে খুব এনজয় করেছিলাম। আসলে শপিং মলগুলোতে অফার দিলে অনেক বেশি ভালো লাগে। এজন্য মাঝেমধ্যে আমি একটু খোঁজখবর নেই, যে কখন অফার দিচ্ছে। যদিও মোটামুটি সারা বছরই কমবেশি অফার থাকে।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
আসলেই আপু কথাগুলো ঠিক বলেছেন বড়, বড় শপিংমল থেকে জিনিসপত্র ক্রয় করলে যেমন পাইকারি রেটে এগুলো পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে এটা আমাদের পাবলিকের জন্যও অনেক বেশি লাভজনক হয়। সপ্তাহের প্রথমেই আপনারা মাসের বাজার টা করে ফেলেন জিনিসটা শুনে অনেক ভালো লাগলো । কারণ এভাবে বাজার করলে অল্প খরচাই সবকিছু কভার করা যায়। যাইহোক খুব সুন্দর লাইফ স্টাইল পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই,সপ্তাহের শুরুতেই মাসের বাজারটা করে নিতে পারলে সারা মাসে আর চিন্তা থাকে না। আর সামান্য একটু সাশ্রয়ও হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শপিং মল গুলোর সবথেকে প্লাস পয়েন্ট এটাই যে সারা বছরই টুকটাক অফার চলতেই থাকে। এজন্য বাহিরের দোকান থেকে বেশ কমে কেনা সম্ভব। তবে পরে আবার ভ্যাট লাগায় দেয়, তাতে আবার সেটা ব্যালেন্স এ চলে আসে আমার যেটা মনে হয়! আর সবজির দাম বেশি হওয়ার রহস্য আমিও জানি না! তবে চকলেট আর জলের বোতল পেয়ে আপনি তো নিশ্চিত ভাবেই খুশী হয়ে গিয়েছিলেন! 😄
হ্যাঁ দিদি, আসলে বাইরের জিনিসগুলোর তুলনায় শপিংমলের জিনিসের দাম কম থাকলেও ট্যাক্স দিয়ে মোটামুটি একই খরচ পড়ে যায়। তা সত্ত্বেও যেহেতু সব জিনিস এক জায়গায় পাওয়া যায় এটাই একটা সুবিধা। ঠিক বলেছেন চকলেট আর জলের বোতল পেয়ে আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1790438175535472889?t=7Q122gvpENpPU70wMdWDPw&s=19
বড় বড় শপিংমল গুলোতে গেলে আসলে এই একটা সুবিধা পাওয়া যায়, বাইরে থেকে কম দামে সব জিনিস এখানে মোটামুটি এভেলেবল থাকে। তবে আপনার মত আমারও ওই একটাই প্রশ্ন দিদি, কাঁচা সবজির দাম এখানে বেশি কেন থাকে! এটা আমি আজও বুঝতে পারলাম না। যাইহোক, নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী শপিং করেছেন, তারপর বাবাকে নিয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করেছেন, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম। আসলে আমিও শপিং মল থেকে জিনিস কিনতে খুব স্বাচ্ছন্দাবোধ করি। এখানে একসাথে সব জিনিস পাওয়া যায় আবার দামও কিছুটা কম থাকে।
শপিং মল থেকে শপিং করার আসলে এটাই সুবিধা, একসাথে অনেক জিনিস কম দামে পাওয়া যায়। তবে কাঁচা সবজি গুলোর দাম যদিও একটু বেশি থাকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন৷ বড় বড় শপিংমল গুলোতে কোন কিছু কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনেক ধরনেরই সুবিধা রয়েছে৷ সেই সুবিধাগুলো আমরা সবসময় ভোগ করে আসছি৷ সেখানে কোন কিছু কেনাকাটার ক্ষেত্রে আমরা যেরকম সবকিছু পেয়ে যাই তেমনি দামের ক্ষেত্রেও কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।