|| রেসিপি : কুলফি আইসক্রিম ||
নমস্কার বন্ধুরা
প্রতি সপ্তাহের মত এই সপ্তাহতেও আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। বিভিন্ন ধরনের রেসিপি গুলো তৈরি করতে আমার বেশ ভালই লাগে।সেই সাথে ভিন্ন ধরনের রেসিপি টেস্ট করতেও বেশ ভালো লাগে। আবার যেহেতু প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছে, আর বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। তাই গতকাল আবারো তৈরি করেছিলাম আইসক্রিম। আজ আমি আপনাদের মাঝে এই আইসক্রিমের রেসিপিটি শেয়ার করব। এর আগে আমি আপনাদের মাঝে চকলেট আইসক্রিমের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। যেটা আমি প্রায়ই বাড়িতে তৈরি করে থাকি। খেতেও খুব ভালো লাগে। আজ কিন্তু একটু অন্যরকম ট্রাই করেছি, চেষ্টা করেছি কুলফি মালাই তৈরি করার। খেতে সত্যিই খুব ভালো হয়েছিল। এই কুলফি মালাই ছোটবেলায় খুব খেতাম, তখন অবশ্যই এগুলো খুব পাওয়াও যেত। এখন আর এগুলো খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই ভাবলাম বাড়িতেই বানিয়ে ফেলি। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
দুধ | ১ লিটার |
আমুল দুধ | ১ প্যাকেট |
কনফ্লাওয়ার | ৪ চামচ |
চিনি | ২ কাপ |
এলাচ | ৪ টি |
পেস্তা বাদাম | অল্প কয়েকটি |
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - দুধ, আমুল দুধ, কনফ্লাওয়ার, চিনি, পেস্তা বাদাম আর এলাচ।
এরপর একটি কড়াইতে সম্পূর্ণ দুধ ঢেলে দিয়ে সেটাকে গরম করতে দিলাম। একবার ফুটে আসলে তাতে দিয়ে দিলাম এলাচ। তারপর আবারও বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলাম।
এরপর একটি কাপে আমুল দুধের প্যাকেট কেটে , তাতে এক চামচ গরম দুধ দিয়ে পুরোটা ভালোভাবে গুলিয়ে নিলাম।
এক লিটার দুধ প্রায় অর্ধেক হয়ে আসলে, তাতে দিয়ে দিলাম গুলিয়ে রাখা আমল দুধ আর পরিমাণ মতো চিনি। এরপর আরো পাঁচ মিনিট মত সেটাকে ঘন হতে দিয়ে তাতে দিয়ে দিলাম কর্নফ্লাওয়ার।
কুলফি এর মতন একটু ব্রাউন কালার আনার জন্য, একটা ছোট বাটিতে সামান্য পরিমাণ চিনি নিয়ে, সেটাকে হালকা আগুনের তাপে পুড়িয়ে নিলাম। তারপর সেটাকে দুধের সাথে গুলিয়ে নিলেই একটা সুন্দর কালার চলে আসলো। এরপর দুই মিনিট গরম করে সেটাকে নামিয়ে নিলাম আর ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছুটা অপেক্ষা করলাম। এই আইসক্রিম তৈরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই কিন্তু লো ফ্লেমে করতে হবে।
বিভিন্ন রকম আকৃতির শেপ দেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিমের মোল্ড নিয়েছিলাম। কুলফি সাধারনত গোল একটি খাপের মধ্যে দিয়ে চার টুকরো করে কেটে বিক্রি করা হয়। আবার ছোট আকৃতির কুলফি মোল্ডও পাওয়া যায়। তাই আমি বিভিন্ন ধরনের শেপে এই গুলো তৈরি করলাম।
পেস্তা বাদাম গুলো সরু সরু করে কুচিয়ে নিলাম আর ফয়েল পেপার চৌকো করে কেটে নিলাম। এরপর আইসক্রিমের ব্যাটার প্রতিটা খাপের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
এরপর ফয়েল পেপার দিয়ে প্রত্যেকটার মুখ আটকে দিয়ে এর মধ্যে একটি করে চামচ দিয়ে দিলাম। তারপর ডিপ ফ্রিজে দিয়ে ১৮ ঘন্টা জমার জন্য অপেক্ষা করলাম।
১৮ ঘণ্টা পর তিন রকম আকৃতির তিনটি আইসক্রিম বের করে নিয়ে , সেগুলো একটি প্লেট রেখে উপর দিয়ে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম । তারপর খেয়ে দেখলাম সত্যি দারুন হয়েছে খেতে। আপনারাও বাড়িতে এভাবে তৈরি করুন,আশা করি ভালো লাগবে খেতে।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
অনেক সুন্দর ভাবে কুলফি আইসক্রিম তৈরি করেছেন।আসলে এই গরমে আইসক্রিম এর তুলনা হয় না। যত দেখি ততোই খেতে ইচ্ছে করে। আপনি অনেক সহজ সরল ভাবে আইসক্রিম তৈরি করেছেন। ধাপ গুলো দেখে যেকেউ সহজে তৈরি করতে পারবে।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,আসলে গরমে আইসক্রিম দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। সব সময় বাইরে বেরোনো হয় না বলে বাড়িতেই তৈরি করে নেই আইসক্রিম।
https://x.com/GhoshPuja2002/status/1801595848654262357?t=c6MG4xj_haK5K0rOVr3UFg&s=19
সারা বাংলাদেশে আমাদের কুষ্টিয়া জেলার কুলফি খুবই নামকরা যেখানেই যায় কুষ্টিয়ার কুলফির নাম শুনি।আপনি নিজে আজ বানিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
সারা বাংলাদেশে এই কুলফি আইসক্রিম বিখ্যাত জেনে ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর লাগছে কুলফি আইসক্রিম টি দেখতে। এই প্রচন্ড গরমে এই ধরনের কুলফি আইসক্রিম হলে তো কোন কথাই নাই। তার উপর নিজে বানিয়ে খাওয়ার মাঝে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। খুব সুন্দর ভাবে উপকরণ এবং ধাপ গুলো উপস্থাপনা করেছেন দিদি আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এই গরমে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, আসলে নিজে কোনো জিনিস বানালে সেটা খেতে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন অনেকদিন হলো বৃষ্টির দেখা নেই তবে গতকালকে কিন্তু আমরা একটু বৃষ্টির দেখা পেয়েছি । আর এই গরমের ভিতরে এরকম কুলফি মালাই খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । আপনার কুলফি মালাই গুলো এতটা ইয়ামি ও লোভনীয় লাগছে কি আর বলব । আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে দারুণ বানিয়েছেন রেসিপিটি । দেখে শিখে নিলাম কোন সময় ট্রাই করবো ।
কুলফি মালাই গুলো সত্যিই খেতে খুবই ইয়াম্মি ছিল আপু। আপনি যখন বানাবেন আপনার কাছেও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে আশা করি।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর এই কুলপি আইসক্রিম তৈরি করতে দেখে। এমন সুন্দর আইসক্রি তৈরি করতে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। দারুন লাগছে দেখতে। আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপনার এই আইসক্রিম।
আপনার কাছে আমার তৈরি কুলফি আইসক্রিম গুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
কি দারুণ বানিয়েছেন দিদি মজাদার কুলফি আইসক্রিম গুলো।ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। আমার তো খুব প্রিয় আইসক্রিম। এই গরমে যদি এরকম সুস্বাদু আইসক্রিম খাওয়া যায় তাহলে তো মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।ধাপে ধাপে আইসক্রিম তৈরি পদ্ধতি দারুণ ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন দিদি,গরমে এই ধরনের আইসক্রিম গুলো খেলে সত্যিই মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু এই গরমে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ সামলানো খুবই কঠিন। কুলফি মালাই আইসক্রিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। দোকান থেকে প্রায় সময় কিনে খাওয়া হয়। কিন্তু কখনো এভাবে ঘরে তৈরি করা হয়নি। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আমি অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করে দেখবো। ধন্যবাদ ঠান্ডা ঠান্ডা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কুলফি মালাই খেতে আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
কুলফি আইসক্রিম দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি এত সুন্দর করে আইসক্রিম তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি দারুণ হয়েছে। আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছে।
আবারও তৈরি করেছি আপু। চলে আসেন, দুজন মিলে ভাগ করে খেয়ে নেব। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কুলফি আইসক্রিম আমার খুবই প্রিয়।আমি বাজারে ঘুরতে গেলেই কুলফি আইসক্রিম কিনে খাওয়ার চেষ্টা করি। আপনি দেখছি বাসায় বসে কুলফি আইসক্রিম তৈরি করেছেন। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি আইসক্রিম তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা আইসক্রিম গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আমার তৈরি আইসক্রিম আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।