|| রেসিপি : পেঁয়াজি ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি পোস্ট করার। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। আজকে আমি পেঁয়াজি তৈরির রেসিপি নিয়ে এসেছি। মাঝখানে কিছুদিন বৃষ্টি হয়েছিল আর তখন আবহাওয়া একটু ঠান্ডা ছিল। তখন বাড়িতে বসে এটা ওটা খেতে ইচ্ছে করছিল, আর বানিয়ে ফেলেছিলাম এরকম কিছু তেলেভাজার রেসিপি। তার মধ্য থেকে একটি অবশ্য আপনাদের মাঝে গত সপ্তাহে পোস্ট করেছিলাম।আর এই সপ্তাহে আরেকটি নিয়ে হাজির হলাম।পেঁয়াজি খেতে কমবেশি সবাই খুব ভালোবাসে। তবে এই ধরনের তেলেভাজা গুলো সবসময় স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক নয়। তাই বেশিরভাগ সময় এগুলোকে এভয়েড করেই চলি। তবে বাইরে থেকে কিনে খাওয়ার তুলনায় ঘরে বানালে একটু স্বাস্থ্যকর হয়। বাইরে যেহেতু অনেক দিনের পুরনো তেলে এগুলোকে ভাজে সেই জন্য এটা আমাদের শরীরের পক্ষে আরো বেশি ক্ষতিকর। তাই যখন এই ধরনের রেসিপিগুলো খেতে ইচ্ছা করে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলি। সন্ধ্যেবেলার টিফিনে মুড়ির সাথে এগুলো খেতে ভালোই লাগে। চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পেঁয়াজ | ১২ টি |
কাঁচা লঙ্কা | ৮ টি |
বেসন | ৮ চামচ |
চালের গুঁড়ো | ৪ চামচ |
লবণ | ২ চামচ |
হলুদ | ১ চামচ |
লঙ্কা গুঁড়ো | ১ চামচ |
বেকিং সোডা | ১/২ চামচ |
সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, বেসন, চালের গুঁড়ো, লবণ, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, সাদা তেল আর বেকিং সোডা।
পেঁয়াজ গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে কুচি কুচি করে নিয়েছি। কাঁচা লঙ্কাগুলোকেও ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কুচি করে নিয়েছি। এরপর তাতে দিয়ে দিয়েছি বেসন।
এরপর তাতে একে একে দিয়ে দিয়েছি চালের গুঁড়ো, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো লবণ।
এরপর দিয়ে দিয়েছি বেকিং সোডা। তারপর সমস্ত উপকরণ গুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে একটু মাখিয়ে নিলাম। জল ছাড়াই কিছুটা মাখা হয়ে গেছিল । আর যেটুকু বাকি ছিল তাতে সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে পুরোটা মেখে নিলাম।
একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে মাখিয়ে রাখা ব্যাটার থেকে খানিকটা করে নিয়ে একটি একটি করে চপের আকারে শেপ দিয়ে সেগুলোকে তেলে ভেজে নিলাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি।
এরপর একটি প্লেটের উপর কাগজ পেতে পেঁয়াজি গুলোকে পরিবেশন করে নিলাম। বেশ ভালই লাগছিল গরম গরম পেঁয়াজি গুলো খেতে।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পেঁয়াজি বড়া রেসিপি তৈরি করে। আসলে এই রেসিপি খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। প্রায় দিন বাজারে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় এই রেসিপি খেয়ে থাকি। রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি স্টেপ অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1791506408531448093?t=PjMseUVTcjxtHRU4qctqmw&s=19
পেঁয়াজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি বেশ দারুণভাবে এই রেসিপি পোস্টটি সম্পন্ন করেছেন। খেতেও মনে হয় বেশ দারুন হয়েছে। দেখতে তো বেশি মুচমুচে মনে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। ভীষণ ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাই, পেঁয়াজি গুলো বেশ মুচমুচে হয়েছিল খেতে। আপনারও দেখছি আমার মত পেঁয়াজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পেয়াজু আমার একটি প্রিয় খাবার। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পেয়াজু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পেয়াজু রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি চালের গুঁড়া দিয়ে এতো সুন্দর একটি পেয়াজু রেসিপি তৈরি করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
পেঁয়াজি রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে এই ধরনের ভাজাপোড়া খেতে বেশ ভালই লাগে। আর আপনি ঠিকই বলেছেন বাইয়ের ওরা অনেক দিনের তেলে এগুলো ভাজে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তারপরেও খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আর আপনি বাড়িতে এভাবে তৈরি করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে খুবই মজার হয়েছিল। আর স্বাস্থ্যসম্মত তো বটেই ।দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু,বাইরে বেশ পুরনো তেল দিয়ে এই ধরনের চপগুলো ভেজে থাকে,সেই জন্যই বাড়িতে তৈরি করা কিছুটা স্বাস্থ্যকর বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
দিদি, আপনি ঠিকই বলেছেন, এসব তেলে ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে বাসায় তৈরি করা হলে নিঃসন্দেহে তা স্বাস্থ্যসম্মত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মচমচে পিয়াজু রেসিপি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দিদি, মুখরোচোক এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
পেঁয়াজির রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু বাইরের জিনিস থেকে নিজের হাতে তৈরি জিনিস গুলো অনেক স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর।আর বৃষ্টির দিনে এমন পিঁয়াজু হলে সত্যি আর কিছুই লাগে না। অনেক দিন হলো এমন পিঁয়াজু খাওয়া হয় না। পিঁয়াজু গুলো দেখে অনেক লোভ লেগে গেল আপু।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। নাস্তায় এ ধরনের খাবার খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। মুখরোচক এই খাবারগুলো আবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তবুও মন মানে না, মাঝে মাঝে খুব খেতে মন চায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, ক্ষতিকর হলেও এই মুখরোচক খাবার গুলো আমাদের সকলেরই বেশ পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বিকেলের নাস্তায় ভাজাপোড়া খেতে কিন্তু ভালোই লাগে। যদিও এগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নয় তবে তাও প্রায় সময় খাওয়া হয় এগুলো। এভাবে কখনো পেঁয়াজি তৈরি করা হয়নি। তবে মাঝে মাঝে কিনে খাওয়া হয়। আপনার রেসিপি টা দেখে ভালো লাগলো। খেতেও নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তেলে ভাজা পেঁয়াজি দেখে তো আমারও খেতে মন চাচ্ছে। আসলে শীতের দিনে ও বৃষ্টির দিনে খুব খেতে মন চায় এই ধরনের তেলে ভাজা গুলে।আপনি চমৎকার লোভনীয় করে রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন ।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে পেঁয়াজি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।