|| স্বরচিত কবিতা : দূর্গা পূজা ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার স্বরচিত কবিতা নিয়ে। আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। কবিতা হল এমন একটা জিনিস যার মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের মনের ভাবকে খুব সহজেই প্রকাশ করতে পারি। কবিতা লিখতে যেমন আমি ভালোবাসি ,ঠিক তেমনি কবিতা আবৃত্তি করতেও আমি খুব ভালোবাসি। পাড়ায় যে কোনো অনুষ্ঠান হলেই কবিতা আবৃত্তিতে আমার নামটা খুব অসুবিধে না হলে আমি কখনো বাদ রাখি না। কারণ আমার মনে হয়, যত আমি আমার শেখা টাকে অনেক মানুষকে শোনাতে পারবো ততই আমি আমার নিজের ভুল ত্রুটি গুলো আরো বেশি করে সংশোধন করতে পারব। সে যাইহোক, সাপ্তাহিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্যই আমার আজকের কবিতা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
দূর্গা পূজা
নানান রঙের নানান সাজে
আগমনীর বাদ্যি বাজে।
হইচই আর হুল্লোড়ে ভাই,
মাতছে গোটা ত্রিভুবন তাই।
পঞ্চমীতে আসলো মা যে,
খুশীর সুরে মন যে নাচে।
ষষ্ঠী আর সপ্তমীতে,
ফুচকা খাওয়ার আড্ডা জমে।
অষ্টমীতে পুষ্পাঞ্জলি,
সঙ্গে খাবার রকমারি।
নবমীতে ভুরিভোজ,
সঙ্গে নতুন নতুন সাজ।
প্যান্ডেলে আর পাড়ায় পাড়ায়
সব জায়গায় দূর্গা মা রয়।
দূর্গা মায়ের মুখখানি যে,
সবার প্রাণে শক্তি আনে।
দশমীর ওই বিদায় বেলায়,
দুঃখ সবার মনে সাড়া দেয়।
মিষ্টিমুখ আর সিঁদুর খেলায়,
দেবী দুর্গার বিসর্জন হয়।
কবিতার মূলভাব
আমরা সকলেই জানি, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই সমস্ত পার্বণের মধ্যে দূর্গাপূজা অন্যতম। আর এই দুর্গোৎসবের সময় চারিদিক নানা রঙের সাজে সেজে ওঠে । হৈ- হুল্লোড়, মাতামাতি ,আড্ডাতে , কেটে যায় পূজোর পাঁচটা দিন। পঞ্চমীতে দেবী দুর্গার আগমন ঘটে , আর তারপরেই ষষ্ঠী সপ্তমী ঠাকুর দেখার ভিড় জমে চারিদিকে। অষ্টমীর সকালে আবার শুদ্ধ বস্ত্রে সকলে মিলে পুষ্পাঞ্জলি, সেই সাথে নানা রকমের ফল, মিষ্টি ,লুচি ইত্যাদির সমারোহ। তারপর নবমীতে ভুরিভোজ, সেই সাথে সাজগোজ। আর তারপরের দিনই দশমীর বিদায় বেলায় দুঃখে সবার মন কেঁদে ওঠে। আবারও অপেক্ষার দীর্ঘ একটি বছরের দিন গোনা শুরু হয়।
দূর্গা পূজা নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লিখলেন।কবিতাটিতে এই পূজার সবটাই ফুটিয়ে তুললেন।ভীষণ ভালো লাগলো দিদি।আপনাদের আনন্দ দেখে আমারও ভীষণ আনন্দ লাগছে।সকলে মিলে খুব মজা করেন, আনন্দ করেন।শুভকামনা রইলো।
কবিতাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।