আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

---

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে। ফটোগ্রাফি গুলি আমি আমার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে করেছিলাম। আশা করি,ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে খারাপ লাগবে না। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

---

এরকম সুদীর্ঘ পাঁচটা - ছটা বিল্ডিং রয়েছে ইউনিভার্সিটিটির ভিতরে । এটি হয়তো ক্যাম্পাস। যেহেতু আমি সেখানকার নতুন স্টুডেন্ট তাই কিছুই এখনো ঠিক করে চিনি না।
ফটোগ্রাফি গুলো যে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে প্রথমেই করেছিলাম তা কিন্তু নয়। শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। কারণ যখন গেছিলাম তখন প্রচন্ড পরিমাণে চিন্তার মধ্যে ছিলাম, কারন সেটাই ছিল ভর্তির লাস্ট ডেট। আর ইউনিভার্সিটি দূরত্ব আমার বাড়ি থেকে প্রায় দু' ঘন্টারও বেশি। তাই কোনো কারণে যদি কিছু মিসটেক হয়ে যায় সেটা সংশোধনেরও উপায় ছিল না। যদিও আমি সেখানকার একজন অধ্যাপক এর সাথে আগে থেকেই কথা বলে সবকিছু ঠিকঠাক করে নিয়েছিলাম, তবু একটু চিন্তা থেকেই যাই আর কি।

ইউনিভার্সিটির গেট দিয়ে ঢোকার পর যে বিল্ডিংটি সর্বপ্রথম চোখে পড়বে সেটি হল এটি। এটি হলো তিন নম্বর বিল্ডিং। এখানে সমস্ত বিল্ডিং এর প্রসিডিউর গুলো করা হয়ে থাকে। এছাড়া নতুন স্টুডেন্ট ভর্তি হলে তাকে গাইড করা হয় এখান থেকেই। বিল্ডিং টির সামনে বেশ কিছু সুন্দর ফুলের গাছ ছিল, সেগুলোরও অবশ্য ফটোগ্রাফি করেছি তবে সেগুলো অন্য আরেকটি পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

এটি হলো ইউনিভার্সিটির সমস্ত বিল্ডিং গুলোতে যাওয়ার রাস্তা। এখানে অনেকগুলি বিভাগে অনেকগুলি বিল্ডিং বিভক্ত রয়েছে। যদিও সবগুলো আমি ঠিক ভাবে চিনি না। তবুও ভর্তির পর যখন নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম, তখন বাবাকে নিয়ে পুরো ইউনিভার্সিটিটি একবার ঘুরে এলাম। আপনারাও নিশ্চয়ই দেখে বুঝতে পারছেন এটি কতটা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন সুন্দর একটি জায়গা। এরকম সুন্দর পরিবেশে পড়তেও আসলে অনেক ভালো লাগে।

একটি বিল্ডিং আর গাছপালার মধ্যে থেকে ফটোগ্রাফিটি করা। আসলে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এত সুন্দর লাগছিল, যে মন চাইছিল আরও বেশি ফটোগ্রাফি করে নিতে। কিন্তু যেহেতু আমাদের বাড়ির দূরত্ব ইউনিভার্সিটি থেকে অনেকটাই, আর তাছাড়া বাড়িতে অসুস্থ মা কে রেখে গিয়েছিলাম, তাই আমাদের বাড়ি ফেরার তারা ছিল অনেকটাই। তাই খুব বেশি সময় সেখানে আমরা কাটাইনি। তবুও বাবাকে যেহেতু প্রথমবারের মতো ইউনিভার্সিটিতে নিয়ে গেছিলাম তাই তাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসলাম। সেও খুব খুশি হয়েছে এত সুন্দর একটা ইউনিভার্সিটি দেখে।

এই রাস্তাটি ফুড কোটিং এর দিকে চলে গিয়েছে দেখলাম। যদিও শেষ মাথা পর্যন্ত যায়নি, তবুও দূর থেকে দেখতে পেয়েছিলাম। দেখে মনে হচ্ছিল, বেশ অনেক ধরনের স্পাইসি খাবার দাবার রয়েছে। যদিও সেগুলো সব সময় খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক নয়। তবে এর পাশাপাশি একটি নরমাল খাবার-দাবারের ক্যান্টিনও রয়েছে। যদিও সেটা দেখিনি । ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক মহাশয় সে বিষয়ে আমাদের বলেছিলেন।

এই ফটোগ্রাফির মধ্যে কিছু ছোট ছোট ফুল গাছের ছবি রয়েছে যেগুলো ঠিক করে বোঝা যাচ্ছে না। সেগুলোর আলাদা করে ফটোগ্রাফি আমি করেছি। অন্য একটি পোষ্টের মাধ্যমে ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। যাইহোক,বেশ অনেক ধরনের ফুল গাছ ছিল এখানে, গোলাপ, জবা, নয়ন তারা ইত্যাদি।

ইউনিভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকে কিছুটা সামনে এগোতেই এই ঝর্ণাটি চোখে পড়বে। এর এক পাশ দিয়ে ইউনিভার্সিটিতে ঢোকার প্রবেশ পথ। আর এক পাশ দিয়ে গাড়ি পার্কিং এর জায়গা। সব মিলিয়ে ইউনিভার্সিটি টি আমার কাছে দারুন লাগে। আপনাদের কাছেও নিশ্চয়ই ভালো লাগলো এর পরিবেশ।

---

পোস্ট বিবরণ	ফটোগ্রাফি
ডিভাইস	poco m6 pro
ফটোগ্রাফার	@pujaghosh

---

---

---

---

---

---

🪔আমার পরিচয়🪔

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

_{Posted using SteemPro Mobile}