|| ভাইফোঁটার ক্ষুদ্র আয়োজন ||
নমস্কার বন্ধুরা
আমরা সকলেই জানি, গত বুধবার দিন ভাইফোঁটা ছিল। সেই দিনেরই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । ভেবেছিলাম বুধবার দিন এই পোস্টটা করবো , কিন্তু নানা কারণে করা হয়ে ওঠেনি। তাই আজ নিয়ে চলে এলাম। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
ভাইফোঁটা আর রাখী বন্ধন, ভাই বোনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় আর সুন্দর করে তোলে। সেই জন্যই প্রতিবছর প্রতিটা ভাই বোনের মধ্যেকার সুন্দর সম্পর্কের জন্য এই উৎসব দুটি পালন করা হয়।
এবছর ভাইফোঁটার জন্য আমার উৎসাহ অনেক বেশী ছিল। কারণ দীর্ঘ ১১ বছর পর আমি ভাইফোঁটা দিলাম এবছর। ছোটবেলায় অবশ্য একবার দিয়েছিলাম ,তবে অনেক ছোটো থাকায় আমি ঠিকঠাক মত নিয়ম পালন করতে পারিনি । তাই মা বলেছিল আর একটু বড় হওয়ার পর থেকে ফোঁটা দিতে। তাই জন্যে বেশ কিছু বছর ভাইফোঁটা দেওয়া হয়নি । তারপর যখন একটু বড় হলাম তখন থেকে দাদা আবার বাইরে থাকে। তাই সবমিলিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর ফোঁটা দেওয়া হয়নি।
কিন্তু এবছর যেহেতু আমার দাদা কালীপুজোর সময় ১৫ দিন ছুটি পেয়েছে , তাই সে আগে থেকেই আমাকে বলে রেখেছিল আমি যেনো এবছর ভাইফোঁটার দিন বাড়িতে যায় । আমি তো শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম । আর সেইদিন থেকেই ভাইফোঁটার অপেক্ষা করছিলাম।
তাই গত বুধবার দিন ভোর বেলাতেই ট্রেনে করে বাড়ি চলে আসলাম । তারপর ফোঁটার জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে বসিয়ে দিলাম দাদাকে ফোঁটা দেওয়ার জন্য।
আমার আয়োজনের মধ্যে রেখেছিলাম ধান, দূর্বা, ফুল, কাজল, চন্দন আর দই, যেগুলো ফোঁটা দেওয়ার জন্য লাগবেই। এছাড়া খাবারের মধ্যে লুচি - তরকারি, মিষ্টি ( যেগুলোর জন্য আমাকে একেবারেই কষ্ট করতে হয়নি যেহেতু আমাদের মিষ্টির দোকান তাই এগুলো আমি বাড়িতেই পেয়ে গিয়েছিলাম)। তাছাড়া ছিল পায়েস ( যেটা মা তৈরি করে রেখেছিল) আর ছিল কিছু ফল। আর ছিল গিফট ,যেটার কথা না বললেই নয়, হি হি হি।
গিফটের জন্য আমি মঙ্গলবার রাতে দাদার জন্য আমার পছন্দের একটা শার্ট কিনে রেখেছিলাম । আর দাদা দেখলাম আমার জন্য একটা স্মার্ট ওয়াচ কিনেছে। যেটা আমার খুবই পছন্দের । আর এটা আমি আগে থেকেই চেয়েছিলাম দাদার কাছে।
এরপর সব নিয়ম মেনে ফোঁটা দেওয়া শেষ হলে, দুজন কিছু ফোটো তুলে নিলাম। তারপর মা এর হাতে তৈরি সুস্বাদু খাবার খেয়ে নিলাম । সবমিলিয়ে দিনটা বেশ দারুণ কেটেছে ।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
ওরে বাবা! এত দিন ভাইফোঁটা দেওয়ার সুযোগ হয় নি, এটা তো আপসোস এর ব্যাপার। দাদাকে শার্ট গিফট দিয়ে দাদার কাছ থেকে স্মার্ট ওয়াচ উপহার পাওয়ার ব্যাপারটা বেশ ভালো ছিল।
হ্যাঁ ভাই ,অনেক বছরই ভাইফোঁটা দেওয়া হয়নি। গিফট এর ব্যাপার গুলো সত্যিই খুব মজার হয়, হি হি হি।
গিফট মানেই মজা তবে ভাইফোঁটাতে মজা বোনদের হয় । ভাইফোঁটাতে বোনদের এই গিফট দিতে গিয়ে দাদাদের পকেট ফাঁকা হয়ে যায় শুধু। 🤭🤭
আপনি দেখছি অনেক বছর পরে ভাইফোঁটা দিয়েছেন। আসলে ভাই তো ভাই ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন, এ বাঁধন কখনো ছিন্ন হবার নাই। যাইহোক আপু আপনাদের ভাই বোনের ফোঁট দেওয়ার মুহূর্ত বেশি সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আমাদের ভাই-বোনের ফোঁটা দেওয়ার মুহূর্ত আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ বছর আসলেই সময় টা অনেক দীর্ঘ। এতো বছর পর নিজের দাদা কে ফোঁটা দিয়েছেন দেখে ভালো লাগল। ভাই ফোটা এবং রাখি বন্ধন ভাই বোনের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। বেশ ভালো আয়োজন ছিল এটা নিয়ে আপনাদের বাড়িতে। দেখে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
হ্যাঁ ভাই , অনেকটা দীর্ঘ সময় পরে ফোঁটা দিয়েছি, তাই বেশ সুন্দর মুহূর্ত ছিল সেদিনের । ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি আপনি যেমন নানা ঝামেলায় সময় মতো পোস্ট শেয়ার করতে পারেন নি ।আমিও তেমনি সময় মতো পোস্টটি পড়তে পারিনি।তাই আজ পড়লাম,হিহিহি।আপনাদের ভাই-বোনের মুখের আদলে অনেক মিল।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। গিফট তো দুজনেরটাই সুন্দর হয়েছে।এভাবে অটুট বন্ধনে ভাই-বোনের সম্পর্ক থাকুক।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু , প্রায় সকলেই বলে আমাদের ভাই বোনের মুখের আদলে অনেক মিল আছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আপনার দেখি আমার মতো অবস্থা অনেক সময় পোস্ট রেডি থাকে কিন্তু বিভিন্ন ঝামেলার জন্য আপলোড দেওয়ার সময় পাই না। যাই হোক এত বছর পর ভাইফোঁটা পালন করতে পেরে নিশ্চয়ই আপনি খুব আনন্দ পেয়েছেন। আপনারা বছরের এই একটা দিন ভাইদের মঙ্গল কামনা করে খুব সুন্দর ভাবে পালন করেন। আপনার ভাইয়া তো আপনাকে খুব সুন্দর গিফট দিয়েছে। এত বছর পরে হলেও অবশেষে আপনি ভাইফোঁটা দিতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। আশীর্বাদ করি আপনাদের ভাই বোনের বন্ধন যেন এভাবেই অটুট থাকে।
হ্যাঁ আপু, অনেক বছর পরে ভাইফোঁটা পালন করতে পেরে সত্যিই খুব আনন্দিত হয়েছি। আপনি এত সুন্দর করে আশীর্বাদ করলেন, যে আপনাকে ধন্যবাদ দিলেও কম হয়ে যায়।