|| প্রিন্সেপ ঘাট ভ্রমণ ||

in আমার বাংলা ব্লগ25 days ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট নিয়ে এসেছি। বেশ কিছুদিন আগে এর একটি পার্ট অবশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। পরবর্তী ফটোগুলো নিয়ে আজকে আরেকটি পোস্ট তৈরি করেছি। প্রায় দুই মাস আগে, আমি আর আমার এক বান্ধবী দুজন মিলে প্রিন্সেপ ঘাট ঘুরতে গেছিলাম। সে অবশ্য আমার প্রিয় বান্ধবী। বহুদিন তার সাথে খুব বেশি একটা দেখা হয়নি। আমাদের বাড়ি থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব বড়জোড় ১০ মিনিট। তবে আমি এখানে না থাকার কারণে খুব একটা দেখা হয়নি দু'বছর তার সাথে। তাই প্ল্যান করে সেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম দুজনে। ও কখনো এই জায়গায় ঘুরতে যাইনি। তাই এখানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। আমিও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম, কারণ জায়গাটি আমার কাছে বেশ পছন্দের। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।


1000064896.jpg

1000064894.jpg

1000064895.jpg

যেহেতু আমরা শুধুমাত্র দুজন গিয়েছিলাম তাই একটু সকাল সকালই বের হয়েছিলাম। আর আমাদের বাড়ি থেকে এই জায়গার দূরত্ব অনেকটাই। তার উপর আবার ওইদিকে ট্রেন খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই সব মিলিয়ে আমরা সকাল সকাল বের হয়েছিলাম। গিয়ে দেখলাম খুব একটা লোকজন নেই,একজন লোক গোলাপ ফুল বিক্রি করছেন। তখন আমি বান্ধবীর কাছে দাবি করে বসলাম আমাকে গোলাপ ফুল কিনে দে। তার কাছে কিছু দাবি করলে সে অবশ্য না বলে না। সুন্দর দুটো গোলাপ ফুল কিনে দিয়েছিল আমাকে। ফুল কিনে নিয়ে ফুলগুলো শুকিয়ে যাওয়ার আগে নিজের কয়েকটা ফটো তুলে দিতে বললাম।যেহেতু আমি ফটো তুলতে অনেক ভালোবাসি আর অনেকদিন পর এখানে গিয়েছি আবার কবে যাব তার ঠিক নেই,তাই ফটো তুলতে মিস করলাম না।

1000050496.jpg

1000050502.jpg

যেহেতু আমরা দিনের বেলায় গিয়েছিলাম তাই অতিরিক্ত গরম ছিল, আর অতিরিক্ত রোদও ছিল। তবে যেহেতু এই জায়গার বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করতেই হবে, তাই রোদকে পরোয়া না করেই চলে গেলাম। যেহেতু বিদ্যাসাগর সেতুটির ভিউ এই জায়গা থেকে সবচেয়ে সুন্দর আসে তাই এখান থেকে ফটোগ্রাফি করতেই হতো। দূরে যে সেতুটি দেখতে পাচ্ছেন ওটি হলো বিদ্যাসাগর সেতু। নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ ভাবে নৌকো সাজানো রয়েছে, যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। তবে দিনের বেলায় বলে এখানে কোনো লোক ছিল না। যাইহোক আমরা বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে বেশিক্ষণ দাঁড়ায়নি সেখানে।

1000050546.jpg

1000050509.jpg

নদীর পাড়ে নেমে ভিডিওগ্রাফি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে দেখলাম অতিরিক্ত কাঁদা ছিল তাই আর নামতে পারিনি। দূর থেকে ভেবেছিলাম পাড়ে কোনো কাঁদাও নেই, আর সিঁড়িগুলো একটু নিচু হবে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলাম লাস্ট সিঁড়িটা অনেকটাই উঁচু যেটা থেকে নামা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিল। যদি সেখানে কাঁদা না থাকতো তাহলে অবশ্যই একটু চেষ্টা করে দেখতাম। যাইহোক, ওই ইচ্ছে টা আর পূরণ হয়নি।

1000050526.jpg

চারিদিক পুরো সাদামাটা ছিল, বিকেল বেলায় হলে এই বেঞ্চগুলো একটাও ফাঁকা পাওয়া যায় না। বিকেল বেলায় গঙ্গার পাড়ের হাওয়া খেতে বহু মানুষ এখানে উপস্থিত হয়। তার সাথে বহু দর্শনার্থীও থাকে । কিন্তু এটাও বেশ অন্যরকম একটু অনুভূতি ছিল। মনে হচ্ছিল আমরাই রাজত্ব করছি এখানে, হি হি হি। যেহেতু চারিদিকেই রোদ ছিল তাই আমরা খুব বেশি একটা ভিতরের দিকে আর যাইনি।

1000064968.jpg

1000064976.jpg

এখানকার বিখ্যাত খাবারগুলির মধ্যে একটি হলো পাঁপড়ি চাট। তবে সেটা বিকেলে ছাড়া পাওয়া যায় না। আর কোনো দোকানেই দেখলাম সেটা তৈরিও হচ্ছে না তখন। বুঝতেই পারছিলাম সকাল টাইমে এগুলো পাওয়া যাবে না, তাই আমরা সাথে করে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম বাইরে থেকে। তবে ওখান থেকে অবশ্য কোলড্রিংস আর আইসক্রিম কিনতে পেরেছিলাম। গরমে যেটা ছিল অত্যন্ত প্রিয়। আর শেষে আসার সময় বরফ জল কিনতে পাওয়া যাচ্ছিল, যেটা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে খুব একটা দেখা পাই না এটার। ঐদিন দেখতে পেয়ে কিনেছিলাম।

1000064974.jpg

যেহেতু চারিদিকে রোদ ছিল, তাই জায়গাগুলোর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়ে ট্রেন আসার আগে অবধি এই গাছের নিচেই বসেছিলাম। গাছের নিচে দেখলাম যতটা ঠান্ডা মনে করেছিলাম তার থেকেও বেশি ঠান্ডা ছিল, কারণ নদীর হাওয়াও আসছিল। যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ভালই কেটেছিল দিনটি।


পোস্ট বিবরণভ্রমণ
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 25 days ago 

প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যেখানে অচেনা জায়গা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি। আপনার এই পোস্ট দেখে আমার মন ভরে গেল, বেশ দারুন ভাবে আপনি ফটো গুলোকে কেপচার করেছেন পাশাপাশি বর্ণনা করেছেন। আশা করবো এমন সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আবার উপস্থিত হবেন।

 18 days ago 

আমার আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 24 days ago 

দুই বান্ধবী মিলে দেখছি দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিলেন প্রিন্সেপ ঘাটে। এই জায়গাটা কিন্তু সত্যি অনেক সুন্দর। তা আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখেই বুঝতে পারতেছি। এই জায়গাটাতে আপনি এর আগেও মনে হয় গিয়েছিলেন পোস্ট দেখেছিলাম হয়তো। আবারো আপনি আপনার বান্ধবীর সাথে এখানে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। তবে আমার মনে হয় বিকেল বেলায় এখানে অনেক বেশি মানুষ জমা হয়। জায়গাটা সুন্দর মানুষ ঘুরাঘুরি করার জন্য তো আসবেই।

 18 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু,এই জায়গাটাতে আমি এর আগেও গিয়েছিলাম আর ফটোগ্রাফিও পোস্ট করেছিলাম আপনাদের মাঝে। অনেকদিন পর আবার গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 24 days ago 

আসলে ফ্রেন্ডের সাথে অনেকদিন পর দেখা হলে অনেক বেশি ভালো লাগে। তখন একসাথে ভালো সময় অতিবাহিত করতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনারা দুই বান্ধবী প্রিন্সেপ ঘাটে ভ্রমণ করেছিলেন, আর অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর। এরকম জায়গায় গেলে ভালো সময় কাটানো যাবেই। ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করলেন শুনে ভালো লাগলো। মুহূর্তটি ভাগ করে নিয়েছেন অনেক সুন্দর করে।

 18 days ago 

আসলেই জায়গাটি অনেক সুন্দর,গেলে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে,সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64752.70
ETH 3455.13
USDT 1.00
SBD 2.50