|| এলোমেলো ভাবে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি ||
নমস্কার বন্ধুরা
প্রচন্ড গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। গতকাল শুনেছিলাম বাংলাদেশের নাকি কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের এখানে এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও আবহাওয়া দপ্তর নোটিশ জারি করেছে যে রবিবার বিকাল কিংবা সন্ধ্যা নাগাদ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যদি সেটা সত্যি হয় তাহলে কিছুটা প্রাণে বাঁচা যাবে। কারণ এই প্রচন্ড গরমে শুধুমাত্র যে গরম লাগছে তা কিন্তু নয়, শরীরও প্রচন্ড পরিমাণে খারাপ হচ্ছে। বিশেষ করে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া এগুলো আর কি। যাই হোক এবার আসল কথায় ফিরে আসি। গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহেও আপনাদের সাথে আরও একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালই লাগে। তবে ইদানিং খুব কিছু একটা ফটোগ্রাফি করার সুযোগ পাই না। আমার ফোনের গ্যালারিতে কিছু পুরনো ফটোগ্রাফি ছিল সেগুলো কিছু কিছু আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই হলুদ ট্যাক্সিগুলো হল কলকাতার ঐতিহ্য। আগে একটা সময় ছিল যখন মিটার দেখে এই ট্যাক্সিগুলোর ভাড়া নেওয়া হতো। কিন্তু ইদানিং ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কারণে তারা এগুলো মেন্টেন করে না। তার বদলে লোকের থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা নিয়ে নেয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে কিছু বছরের মধ্যে এই ট্যাক্সিগুলো কলকাতা থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। যেহেতু অনেক পুরনো এবং এতে বায়ু দূষণ হয় বেশি। তবে কলকাতার রাস্তায় বেরোলে এই ট্যাক্সিগুলো দেখলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় আর কি। এই গাড়িগুলোতে উঠে খুব বেশি যে একটা কমফোর্ট সেটা বলা যায় না, তবে ভালো লাগে। এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম হাওড়া স্টেশন থেকে।
আমাদের বনগাঁ তে বেশ কিছুদিন আগে একটা মেলা হয়ে গেল এক মাস ব্যাপী। তার একটা পোস্ট অলরেডি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। সেখানকারই একটা দোকানের ফটোগ্রাফি এটা। এটি হলো মেয়েদের কানের দুলের দোকান এবং এইসব দোকানগুলোতে খুব কম দামে কানের দুল কিনতে পাওয়া যায়। যদিও যখন বড় বড় মেলা হয় তখন ছাড়া এদের খুব বেশি একটা দেখা যায় না। মোটামুটি দশ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত সব ধরনের কানের দুল এখানে ছিল আমি যেদিন দেখতে গেছিলাম। আসলে এই দোকানে এত জিনিসপত্র থাকে যে রীতিমতো কনফিউশনে পড়ে যেতে হয় কোনটা রেখে কোনটা কিনব। আমি যখন ফটো তুলছিলাম তখন দেখি লোকটা অন্যদিকে তাকিয়ে কিছু একটা দেখছিল।
এটা হল একপ্রকার ঔষধি গাছের ফুল। এই গাছগুলো দেখতে অনেকটা তুলসী গাছের মতো এবং এই গাছের শিকড় অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পেটের যে কোন সমস্যা হলে এই গাছের শিকড় বেটে রস খাওয়ালে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়। আর এই গাছের ফুল গুলো দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো, তবে সাইজে অত্যন্ত ছোট। আমাদের এখানে অনেকে এটাকে জংলি তুলো গাছও বলে থাকে। কারণ এই গাছের ফুল পেকে গেলে তুলোর মত হয়ে যায় এবং হালকা বাতাস হলেই সেগুলো বাতাসে উড়ে চলে যায়। এই ফটোটা তুলেছিলাম আমাদের বাড়ির পেছনের একটা জায়গা থেকে।
এটা হল একটি কেকের ফটোগ্রাফি। আমার খুব পছন্দের একজন বন্ধুর জন্মদিনে গিয়েছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। যদিও এই কেকটা আমি উপহার দিয়েছিলাম এবং এটা আমার খুব পছন্দের একটা কেক ছিল। আশা করছি কেকটা আপনাদের দেখে ভালো লেগেছে। তবে সত্যি কথা বলতে দেখতে যতটা ভালো ছিল দেখতে তার থেকে আরও অনেক বেশি টেস্টি ছিল। বিশেষ করে এই কেকটা তে এত পরিমাণে চকলেট দেওয়া ছিল যেটা বলার বাইরে। মোটামুটি ১ পাউন্ডের কেক ছিল এজন্য তিনজনে খেয়ে শেষ করতে পারছিলাম না। বাকি যা ছিল সেটা রেখে দেওয়া হয়েছিল।
এটা হল একটি ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি। যদিও আপনারা ফটোগ্রাফি টা দেখে বুঝতে পারছেন যে ধান গাছে সবেমাত্র ধানের চিটে হয়েছে। এই ফটোটা তুলছিলাম বেশ কিছুদিন আগে হৃদয়পুর থেকে। বিকেল বেলা প্রচন্ড গরমে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন। সাধারণত আমি বিকেলবেলা যখন ঘুরতে বের হই তখন গ্রাম অঞ্চলের দিকে বেশি যাওয়া হয়। আর হৃদয়পুরের একটা জায়গা আছে যেটা প্রচন্ড ফাঁকা জায়গা এবং প্রচুর ধান এবং তিলের গাছ লাগানো হয় সেখানে। সেখান থেকেই মূলত ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম। প্রচন্ড বাতাসে ধান গাছগুলো খুব দোল খাচ্ছিল, যেটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল তখন আমার।
এটা হল স্টার মল এর ফ্রুট সেকশন থেকে তোলা একটি ফটোগ্রাফি। আমি সাধারণত দেখতে গিয়েছিলাম যে আমাদের বাইরে ফুটপাতে যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর দাম বেশি নাকি এখানে যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর দাম বেশি এবং কোয়ালিটি কোন গুলোর বেশি। সত্যি কথা বলতে এই জায়গায় যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর কোয়ালিটি বাইরে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর মতোই। আলাদা কিছু নয়। তবে দামের ক্ষেত্রে এই শপিংমল গুলোতে যে ফলগুলো পাওয়া যায় এগুলোর দাম রীতিমতো আকাশ ছোঁয়া। আমরা যে আপেল বাইরে ১২০ টাকা করে কেজি কিনে খাই, এখানে দেখলাম সেটা ৩০০ টাকার উপরে। যদিও কিনিনি তবে ফটোগ্রাফি করতে দোষ কোথায়। হা হা হা...
এই ফুলটার নাম আমার একেবারে অজানা এবং আমিও প্রথমবার দেখেছিলাম কিছুদিন আগে এই ফুলটা। আপনাদের যদি নাম জানা থাকে তাহলে অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট করে। এই ফুল গাছগুলো দেখতে খুব বেশি একটা বড় হয় না, গাঁদা ফুল গাছের মতো বড় হয়। তবে এই ফুলের নেই কোন বিশেষ গন্ধ। হালকা একটা সুগন্ধ রয়েছে যেটা খুব কাছে না গেলে টের পাওয়া যায় না। তবে এই ফুল গাছের ফুলের অনেকগুলো কালার হয় বিশেষ করে লাল, গোলাপি, হলুদ, সাদা এবং বেগুনি যেগুলো আমি দেখেছিলাম। তবে ফুল গুলো দেখতে এতটাই সুন্দর যে প্রথম দেখাতেই যে কারো ভালো লেগে যেতে বাধ্য।
পোস্ট বিবরণ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1786747566786543717?t=KAOat4zZu_S8oEqRHskxsw&s=19
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সবুজ ধান ক্ষেত ও কেকের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সবুজ ধান ক্ষেত আর কেকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। অসাধারণ হয়েছে আপনার ফটোগুলো। তবে তুলসী গাছের মতো এক ঔষধি গাছের ধারণা পেলাম। গাছের শিকড় ঔষধ হিসেবে কাজে লাগে জেনে খুশি হলাম।
তুলসী গাছের অনেক উপকারিতা আছে আপু। এই গাছ বাড়িতে রাখা সত্যিই খুব ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
দিদি আপনাকে অনেকদিন পর দেখছি। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। খুব সুন্দর কিছু ফটো ক্যাপচার করেছেন এবং যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
তিন মাস আগে মোবাইল চুরি হওয়ার কারণে কিছুদিন পোস্ট করতে পারিনি ভাই।এখন আবার নিয়মিত পোস্ট করি। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু মোবাইল চুরির বিষয়টা জানতাম না।যাক এখন থেকে তাহলে আপনাকে আবার দেখতে পাবো বাংলা ব্লগে।
বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।তবে আপনাদের কলকাতার ট্যাক্সির ফটোগ্রাফী টি দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে এরকম ট্যাক্সি নেই। তাছাড়া ফুলের ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি ফুলের ফটোগ্রাফী খুবই সুন্দর করে আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেছেন।
আপনাদের বাংলাদেশে যখন এরকম ট্যাক্সি নেই, তাহলে কলকাতায় ঘুরতে আসলে অবশ্যই একবার চড়বেন এতে।নতুন একটা জিনিস আসলে সবার কাছে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে রইলাম। কি দারুন ফটোগ্রাফি আপনার সব থেকে ভালো লাগলো ওষুধি গাছের ফুল। এই ফুলটি সাদা হওয়ায় বেশ চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এই কেকের ফটোগ্রাফিটা দুর্দান্ত লাগছে। ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফিটা মনকে আনন্দ দিয়ে দিল। এত দারুণ লাগতেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
তিন জনে মিলে কি ১ পাউন্ডের কেক খাওয়া যায়? তাইতো রেখে দিতে হলো। তবে কেক এর ফটোগ্রাফি দেখে বেশ লোভ লাগলো। কারন আমিও চকলেট কেক খেতে বেশ পছন্দ করি। তবে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো বেশ সুন্দর ছিল। হলুদ রং এর ট্যাক্সির ফটোগ্রাফি ও নীল রং এর নাম জানা ফুলের ফটোগ্রাফি দু'টো বেশি ভালো লেগেছে আমার।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু,তিনজনে মিলে এত বড় কেক খাওয়া যায় না। আপনি দেখছি কেক অনেক পছন্দ করেন, আপনি যদি সাথে থাকতেন অবশ্যই আপনার সাথে শেয়ার করতাম।
ফটোগ্রাফি গুলো এলোমেলো ভাবে তুললেও দেখতে কিন্তু চমৎকার লাগছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তাছাড়া ধানের জমির প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ঔষধি গাছের ফুলের ফটোগ্রাফিটাও দুর্দান্ত লাগলো। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
ট্যাক্সিগুলো হল কলকাতার ঐতিহ্য জেনে ভালো লাগলো। সাদা রঙের বুনোফলটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। শেষের দিকের ফুলটি প্রথমবারের মতো দেখলাম। অসাধারন একটি কালার। ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের দিকে বৃষ্টি তো দূরে থাক আপু একটু মেঘেরও দেখা পেলাম না। এই হলুদ ট্যাক্সিগুলো শুধু কলকাতা তে দেখতে পাওয়া যায়। তবে এগুলো নিয়েও সিন্ডিকেট। ব্যাপার টা খারাপ লাগল। ধানক্ষেত টা বেশ সুন্দর লাগছে। পাশাপাশি অন্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন দিদি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আপনাদের ওদিকে দেখছি এখনো বৃষ্টি হয়নি। তবে আমাদের এখানে গতকাল রাত থেকে প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে,যার কারণে আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা। আপনার কাছে আমার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।