||লাইফ স্টাইল : প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা ||
নমস্কার বন্ধুরা
বেশ কিছুদিন ধরেই টুকটাক কিছু কেনাকাটার খুব দরকার ছিল। কারণ সামনের মাস থেকে আমার ইউনিভার্সিটি খুলে যাচ্ছে। তখন তো আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এজন্য অনেকদিন ধরে প্ল্যান করছিলাম যে কিছু জামা কাপড় কেনার অত্যন্ত দরকার। তবে সত্যি কথা বলতে যেহেতু বাড়িতে মা অসুস্থ তাই নিজে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। একদিকে আমাকে সমস্ত বাড়ির কাজ সামলাতে হচ্ছিল, অন্য দিকে রান্না করা এবং নিজের পড়াশোনা সব মিলিয়ে বাইরে বেরোনোর মতো সামান্য সময়টুকুও পাচ্ছিলাম না। কিন্তু গতকাল সকালে উঠে তেমন কোনো কাজ করতে হয়নি, যেহেতু মা একটু হেল্প করে দিয়েছে। এজন্য ভেবেছিলাম যে দুপুরে খেয়ে দেয়ে একটু শপিং মলে যাবো নিজের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য।
যেই কথা সেই কাজ, প্রথমে অটো ধরে বনগাঁ স্টেশনে এবং তারপর ট্রেন ধরে চলে আসলাম আমার গন্তব্যে। এই জায়গাটাতে সাধারণত সব জিনিসের দাম অন্যান্য জায়গার তুলনায় কম থাকে। এজন্য বেশিরভাগ সময় আমি এই জায়গাটাতেই শপিং করতে আসি। বিশেষ করে মেয়েদের পোশাকের উপর সব সময় ৪০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ছাড় থাকে। তবে সমস্যার বিষয় হলো একটাই যে, এখানে নিজের পছন্দমত জিনিস খুব কম পাওয়া যায়। আর যদি পাওয়া যায় তাহলে সেটা সাইজে অনেক সময় হয় না। এজন্য অনেক ঘুরাঘুরি করতে হয় নিজের পছন্দের জিনিস খুঁজে পাওয়ার জন্য।
মোটামুটি আপাতত একটা জিন্সের প্যান্ট এবং একটা কুর্তি আর একটা টি-শার্ট কেনার খুব দরকার ছিল। যেহেতু কিছুদিন আগে জুতো কিনে নিয়েছে এজন্য ওটা আপাতত আর দরকার নেই। তাই এগুলোই খোঁজাখুঁজি করছিলাম কোথায় পাওয়া যায়। মেয়েদের পোশাকের সেকশনে এটাই হলো সব থেকে বড় সমস্যা যে কোন জিনিস তাড়াতাড়ি খুজে পাওয়া যায় না। তারপরও মোটামুটি খোঁজাখুঁজি করার পর জিন্সের প্যান্টের একটা সেকশন দেখতে পারলাম এবং সেখানে সব জিন্সের প্যান্টের উপর মোটামুটি ত্রিশ পার্সেন্ট করে ছাড় ছিল। তাছাড়া প্যান্টগুলো দেখতেও খুব সুন্দর ছিল এবং আমি যেগুলো পছন্দ করি সেই টাইপের। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো আমি যে সাইজের প্যান্ট পড়ি এগুলো তার থেকে অনেক বড় এবং ছোট ছিল। এরপর ওখানকার একজন কর্মচারীকে ডেকে বললাম যে আমার সাইজের কোনো প্যান্ট হবে কিনা। পরে উনি খোঁজাখুঁজি করে একটা নিয়ে আসলো।
যাইহোক, এবার গেঞ্জি কেনার পালা। একটা সাদা রঙের টি শার্ট, একটা কুর্তি বেশ পছন্দ হলো। যদিও দাম একটু বেশি ছিল ওখানে তারপরও নিয়ে নিলাম। মোটামুটি আমার শপিং শেষ হল এক ঘন্টা ধরে ঘোরাঘুরি করার পর। আমি সব মিলিয়ে ২০০০ টাকার মতো শপিং করেছিলাম। তারপরও মনে হচ্ছিল আরো কিছু শপিং করলে হয়তো ভালো হতো। যেহেতু এই জায়গায় বারবার আসা হয় না তাই একবার কিনে নিয়ে যাওয়াই ভালো। এরপর আবার টাকার কথা চিন্তা করলাম যেহেতু এখন হাতে খুব বেশি একটা টাকা নেই। তাই অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকা ভালো। যাইহোক,সেখান থেকে কেনাকাটা করে চলে গেলাম স্টেশনে। তারপর ট্রেন ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এভাবেই আমার গতকালের কেনাকাটা সম্পন্ন হয়েছে।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1770871389668732978?t=cKs-R7VaKgVnsYevcopvug&s=19
দিদি আপনার মা অসুস্থ শুনেছিলাম।তার সুস্থতা কামনা করছি দিদি।ঘরের সব কাজ তাই সামলে নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করতে আপনার কাঙ্খিত জায়গায় আপনি গেলেন।আর ভার্সিটি খুলে যাবে বলে কিছু কাপড় কেনাকাটার দরকার হয়েছিল বলে গেলেন।নিজের পছন্দের কাপড় কিনলেন।এতে আপনার ২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে গেলো।আরো কিছু কেনা গেলে ভালো হতো বললেন।কারন তারা মেয়েদের কাপড়ের উপর ছাড় দিয়েছেন। ধন্যবাদ দিদি অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমিও শপিং করতে গেলে লক্ষ্য করি কোন শপিংমলে বেশি ডিসকাউন্ট আছে। আর সেখানে গিয়েই নিজের ড্রেসগুলো পছন্দ করার চেষ্টা করি সে ক্ষেত্রে আপনার আমার মাঝে বেশ ভালই মিল আছে।
আপনার কেনাকাটা করার দারুন কিছু মুহূর্ত এবং অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং আপনি ঠিক করেছেন যেহেতু ওই বাজারে 70 পার্সেন্ট প্লাস মেয়েদের জামা কাপড়ে ছাড় দেওয়া হয় তাহলে ওটাই ঠিক করেছেন। সেই সাথে বেশ কিছু জামা কাপড়ও কিনেছেন আপনি প্রায় দুই হাজার টাকার। আর আপনার মায়ের পূর্ন সুস্থতা কামনা করছি যেন আপনার ভার্সিটি খোলার আগেই তিনি সুস্থ হয়ে যান।
গতকাল আপনার সকালে কাজ চাপ কম ছিল। আপনার মা- হেল্প করেছেিলো। যার কারণে আপনি শপিং করতে বেড় হলেন।শপিং করতে যাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। অনেক কিছুই একটা করেছেন মোট ২০০০ টাকার শপিং করেছেন। আর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভার্সিটি খুলে যাবে বলে কিছু কেনাকাটা করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে। এই কেনাকাটার খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু শেয়ার করেছেন৷ যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
তোমার মায়ের অসুস্থতার জন্য এখন তোমার একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে , এটা তো বুঝতেই পারছি দিদি। তবে ব্যস্ততার মধ্যেও প্রয়োজনীয় কিছু কেনার থাকলে আসলে আমদের সেটা কিনতে হয় । আমাদের এখানের ওই শপিংমলটাতে এখন বেশ ভালই অফার চলছে। আমিও দুদিন আগে গিয়ে ঘুরে আসলাম। তুমি সব মিলিয়ে ২০০০ টাকার কেনাকাটা করেছ, তার মনে যতটুকু দরকার ততটুকুই কিনেছো। যাই হোক, ভালো লাগলো দিদি তোমার এই পোস্ট টি পড়ে।