|| গরালগাছা জমিদার বাড়িতে কাটানো কিছু মুহূর্ত ||

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আবারও নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, গরালগাছা জমিদার বাড়িতে কাটানো কিছু মুহূর্ত। প্রথমবারের মতো আমি গরালগাছা জমিদার বাড়িতে গিয়েছিলাম , এটাকে অবশ্য অনেকেই বাবুদের বাড়ি বলে চেনে। ডানকুনিতে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। আমি এখানে গিয়েছিলাম , আমাদের পাশের ফ্লাটের এক দাদার বিয়ে উপলক্ষে। গিয়ে অবশ্য খুব মজা করেছিলাম। তা আপনারা পুরো পোষ্টটি দেখলে বুঝতেই পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।


IMG-20231207-WA0175.jpg


এখানে আপলোড করা সমস্ত ছবি গুলো গরালগাছা জমিদার বাড়ি থেকে তোলা। আজকে শুধুমাত্র নিজেদের কিছু ছবি শেয়ার করেছি। পরবর্তীতে জমিদার বাড়িটিরও ছবি শেয়ার করবো। আমাদের বাড়ি থেকে, বেশ দূরে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি। এখানে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ট্রেন বা বাস দুটোই ব্যবহার করা যায়। তবে আমরা ফ্ল্যাটের কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ঠিক করেছিলাম , সেখানে যাওয়ার এবং ফেরার জন্য।


IMG20231207180121.jpg


যেহেতু বিয়েটা বেশ অন্যরকমভাবে হয়েছিল , তাই বিয়ের আগের দিনই বরপক্ষ এবং কনেপক্ষ ওই জমিদার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে মজার বিষয়, বরপক্ষ আর কনেপক্ষ উভয়ের বাড়ি বারাসাতে। তা সত্বেও এত দূরে কেন! আসলে তারা তাদের বিয়েটাকে একটু অন্যরকম জায়গায় অন্যরকম ভাবে সাজাতে চেয়েছিল তাই এই পরিকল্পনা। এখান থেকে গাড়িতে করে যেতে আমাদের প্রায়, এক ঘন্টা সময় লেগেছিল। তবে ফিরতে অবশ্য এক ঘন্টা তিরিশ মিনিট সময় লেগেছিল, কারণ কলকাতার রাস্তার প্রচন্ড জ্যামের মধ্যে পড়তে হয়েছিল আমাদের।


IMG-20231207-WA0151.jpg


যাইহোক, আমাদের যেহেতু সকাল বেলাতেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এতটা দূরত্বে বারবার যাতায়াত করা সম্ভব নয় বলে আমরা বিকেলের দিকে একেবারে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে নতুন একটা জায়গার বিয়ে দেখতে পেরে আমি তো ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। বেশ অন্যরকম লাগছিল বিষয়টা। কিন্তু আমার পরিবারের লোকেদের যেহেতু কাজ ছিল তাই তারা কেউ যেতে পারিনি। যদি পরিবারের লোকেরাও যেত আরও বেশি ভালো লাগতো আমার।


IMG-20231207-WA0142.jpg


গিয়ে প্রথমেই নতুন বরের সাথে কয়েকটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম। তারপর কিছু স্ন্যাকস আইটেম খেয়েছিলাম, যার মধ্যে থেকে চিকেন তন্দুরি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তারপর আমরা আবারও নিজেরা কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তারপর বিয়ে শুরু হয়ে যাওয়ার পর, খুব মজা করে বিয়ে দেখছিলাম। বিয়ে শেষ হওয়ার পর আমরা সকলে মিলে খাবারের জায়গায় চলে গেলাম।


IMG-20231207-WA0143.jpg


খাবারের আইটেমের মধ্যে ছিল , বাটার নান, চানা মাসালা , সাদা ভাত, কাতলা কালিয়া, পোলাও, ফ্রাইড রাইস, মটন কষা, চাটনি, পাঁপড়, দুই রকমের মিষ্টি আর আইসক্রিম। সত্যি বলতে প্রত্যেকটা খাবারের স্বাদ ছিল অসাধারণ। আর খাবারের স্বাদ ভালো হলে, যেকোনো আইটেমই ভালো লাগে।


IMG-20231207-WA0180.jpg


বাড়িটির প্রায় সমস্ত জায়গায় গিয়ে আমি ফটো তুলেছিলাম। তবে যে কটা জায়গা বাদ পড়েছিল, খাওয়া-দাওয়ার পরে গিয়ে সেই কয়টা জায়গাও কমপ্লিট করে এসেছিলাম, হি হি হি। এরপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যাইহোক, খুব মজা করে কেটেছে তিনটে দিন, পরবর্তী দুই দিনের ফটোগ্রাফি পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।


IMG-20231207-WA0177.jpg


পোস্ট বিবরণলাইফ স্টাইল
ডিভাইসrealme 8i

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 7 months ago 

জমিদার বাড়িতে বিয়ে বিষটি সত্যি খুব সুন্দর। আপনারা বিয়ে উপলক্ষে ফ্লাইটের সবাই মিলে গাড়ি ঠিক করে বিয়েতে গেছেন বেশ ভালো লাগলো জেনে।জমিদার বাড়িতে তোলা আপনার ফটোগুলো রানীর মতোই লাগছে।খাওয়াদাওয়া আইটেম গুলো তো বেশ লোভনীয় তবে বিয়ের খাওয়া মানেই তো লোভনীয় খাওয়া দাওয়া।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 7 months ago 

ধন্যবাদ দিদি, পোষ্টটি পড়ে অনেক সুন্দর একটি প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58132.39
ETH 3138.08
USDT 1.00
SBD 2.44