|| জেনারেল রাইটিং : ব্যস্ততা থাকলেই মানুষ সুস্থ থাকবে ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি জেনারেল রাইটিং লিখব। প্রতি সপ্তাহেই একটি করে জেনারেল রাইটিং পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। আজকের জেনারেল রাইটিং এর টপিকটি হল " ব্যস্ততা থাকলেই মানুষ সুস্থ থাকবে "। অনেকদিন ধরেই এই বিষয়টি অনুভব করছি। তাই ভাবলাম এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরা যাক। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
" ব্যস্ত থাকলেই মানুষ সুস্থ থাকবে " এটা আসলেই বাস্তবিক একটা সত্যি। আমি আমার নিজের জীবনেই এটা লক্ষ্য করে দেখেছি। আসলে মানুষ যখন অলস বসে থাকে, কোনো কাজ থাকে না বা পড়াশোনা থাকে না তখন মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভুলভাল চিন্তা করতে থাকে। আর চিন্তা করতে করতে সেটা একসময় দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়। এর ফলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিন্তা আসলে খুবই খারাপ জিনিস এটা মানুষের শরীরকে আর মনকে একেবারেই ভেঙে দেয়।তবে এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল ব্যস্ততা। মানুষ যদি ব্যস্ত থাকে, তাহলে সে কোনো দুশ্চিন্তা করারই সময় পায় না। তাই সুস্থ থাকতে গেলে নিজেকে সব সময় কোনো না কোনো ভাবে ব্যস্ত রাখতে হবে। সেটা হতে পারে মানুষের সাথে মিশে ব্যস্ত থেকে বা বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থেকে বা পড়াশোনায় নিজেকে ব্যস্ত রেখে বিভিন্নভাবে।
ছোটবেলায় বাচ্চাদের মধ্যে কোনো চিন্তা থাকে না, তাই তারা আনন্দে হেসে খেলে সুন্দর জীবন পার করে। কিন্তু এই বয়সটা যখন একটু বেড়ে ১৫-১৬ এর দিকে চলে যায় তখন বেড়ে যায় পড়াশোনার। তখন থেকে পড়াশোনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিরক্তি তৈরি হয় আমাদের মনের মধ্যে। তার ঠিক পরেই যখন আমরা ১৮ বছর বয়স পার করে ফেলি, তখন আমরা কিছুটা বড় হয়ে যায়। আর এই সময় থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা। কারণ এই সময়ে আমরা স্কুল লাইফের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ লাইফে চলে আসি। স্কুল লাইফে আমাদের বন্ধুগুলো হয় ঠিক অন্যরকম, পড়াশুনা, ঝগড়াঝাঁটি, হাসাহাসি, টিফিন শেয়ার করা এসবের মধ্য দিয়ে আমরা পার করে ফেলি স্কুল লাইফ। এরপর যখন ১৮ বছর বয়স হয়ে যায় তখন অনেক রকম পারিবারিক চাপ, নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের বিভিন্ন রকমের দুশ্চিন্তা , কম্পিটিশন সবই যেন বেড়ে যায়।
এই বয়সটাতে আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের ভাঙ্গা গড়া শুরু হয়ে যায়। এসে যায় বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ। কিন্তু এই সময়ে আমাদের কেউ তেমন ভালো বন্ধু আর হয় না। একেবারে বন্ধু হয় না বললে ভুল বলা হবে, তবে মনের দুঃখ বা কষ্ট বা সমস্ত কথা শেয়ার করার মতো কোনো বন্ধু হয়তো পাওয়া যায় না। যারা পায় তারা খুব ভাগ্যবান। আর যারা পায় না তারা কেউ কেউ নিজের মনকে শক্ত করে ফেলে, আবার কেউ কেউ ডিপ্রেশনে চলে যায়। কিন্তু এই ডিপ্রেশন জিনিসটা একেবারেই আসে না, যদি তারা বিভিন্নভাবে ব্যস্ত থাকতে পারে। সারাটা দিন পড়াশোনা বা কাজের মধ্যে দিয়ে যদি কেটে যায়, তখন অন্য কিছু ভাবার সময় টা পাওয়া যায় না । আবার সারাদিন কষ্ট করার পর রাতের বেলাও এতটাই ক্লান্তি চলে আসে, তখন দুশ্চিন্তা করার সময় পাওয়া যায় না। তাই কোনো কাজ না থাকলে অন্তত মানুষের সাথে গিয়ে মেশা উচিত, বাইরে বেরিয়ে ঘোরাফেরা করা উচিত। কারণ একঘেয়েমি বাড়ির ভিতরের বন্দী জীবন মানুষের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই ভালো থাকার জন্য নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখুন। ব্যস্ততা থাকলেই সেই সব মানুষ সুস্থ থাকবে।
পোস্ট বিবরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|
মানুষ স্বাভাবিকভাবেই যখন ব্যস্ত থাকে তখন তুচ্ছ থেকে গভীর বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সময় পায় না। জীবনে এমন অনেক বিষয় থাকে যা চিন্তার আওতায় পড়ে, কিন্তু দুশ্চিন্তা করা একদম শোভা পায় না।
কিন্তু তবুও আমরা অতিমাত্রায় ভাবি, ডিপ্রেশনের ব্যাপারটা যদিও খুব বেশি ব্যক্তিকেন্দ্রীক তবে অভ্যাস পরিবর্তন করার ইচ্ছাশক্তি থাকলে এটিকেও টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
সর্বোপরি পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। কারণ যুবসমাজের জন্য একটি বড় দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে তাতে।
শুভকামনা জানাই, 💐
আপনার পোস্টটি একদম যৌক্তিক।মানুষ কাজে থাকলে বা ব্যস্ত থাকলে সে সুস্থ থাকে।কারণ শরীর সচল রাখতে জায়গা পরিবর্তন ,মুভমেন্ট জরুরি।আপনি দারুন একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন আপু।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এর জন্য অলস ব্যক্তি বেশিদিন সুস্থ একেবারেই থাকতে পারবে না। অন্যদিকে একজন মানুষ যদি সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটায়, তাহলে সে সুস্থ থাকতে পারবে এটা ঠিক। অলসতা মানুষকে আরো অনেক বেশি দুর্বল করে দেয়। আর অন্যদিকে ব্যস্ততার মাধ্যমে মানুষ অনেক কাজ করে, যেটা তাদেরকে অসুস্থ বেশি করে না। আপনি একেবারে সত্য এবং বাস্তবিক কথাগুলোকে তুলে ধরেছেন এই লেখাগুলোর মাধ্যমে। আমার কাছে আপনার প্রত্যেকটা লেখা অনেক ভালো লেগেছে দিদি।
সত্যি কথা দিদি ব্যস্ত থাকলেই সুস্থ থাকা যায়। অলস ভাবে বসে থাকলে দিন কাটে না।মনে বিষন্নতা চলে আসে।তাই সব মানুষের কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকা জরুরী।সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে অলস ব্যক্তি কখনোই সুস্থ থাকতে পারেনা৷ যে ব্যক্তি সব সময় পরিশ্রমের মধ্যে থাকেন সেই ব্যক্তি সব সময় সুস্থ থাকে এবং অসুস্থতা তার
ভেতরে থাকে না বললেই চলে৷ আর যে ব্যক্তি অলস সব সময় অলসভাবে তার জীবন যাপন করে, তার থেকে অসুস্থ ব্যক্তি হয়তো আর কেউই হতে পারে না৷ ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে অলস ব্যক্তি কখনোই সুস্থ থাকতে পারেনা৷ যে ব্যক্তি সব সময় পরিশ্রমের মধ্যে থাকেন সেই ব্যক্তি সব সময় সুস্থ থাকে এবং অসুস্থতা তার
ভেতরে থাকে না বললেই চলে৷ আর যে ব্যক্তি অলস সব সময় অলসভাবে তার জীবন যাপন করে, তার থেকে অসুস্থ ব্যক্তি হয়তো আর কেউই হতে পারে না৷ ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷