|| রেসিপি : চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি পোস্ট করার। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। বিভিন্ন ধরনের নতুনত্ব রেসিপি গুলো ইউটিউব থেকে দেখে বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করতাম অনেক ছোটবেলা থেকেই, কিন্তু সেগুলো তখন খুব একটা ভালো হতো না। যেহেতু অনেকটাই ছোট ছিলাম তাই ঠিক আন্দাজ করে উঠতে পারতাম না। তবে এখন সময়ের সাথে সাথে রেসিপিগুলো তৈরি করতে যেমন ভালও লাগে খেতে তেমন ভালো হয়। তাই প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন একটা করে রেসিপি তৈরি করি। তবে যেহেতু এখন গরম কাল চলছে। তাই বেশিরভাগই ঠান্ডা পানীয় তৈরি করার চেষ্টা করছি। ঠিক সেই রকমভাবে আজকে চলে এসেছি আইসক্রিমের রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি করেছি। যেটা খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। আসলে আইসক্রিম খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। আমিও ভীষণভাবে আইসক্রিম খেতে পছন্দ করি। তবে আইসক্রিমের ফ্রিজগুলো যেহেতু আলাদা হয়, তাই বাড়িতে এনে ডিপ ফ্রিজে রাখলেও কিছুটা গলে গলে যায় । তাই ভাবলাম বাড়িতেই আইসক্রিম তৈরি করব। কিন্তু যেহেতু আমি প্রথমবার এটি তৈরি করেছিলাম , তাই সবার জন্য একটা করেই করেছিলাম, ভালো হবে না খারাপ হবে এটা মাথায় রেখে। তবে আইসক্রিমটা তৈরির পর প্রথমে ট্রাই করেছিলাম আমি, মা আর বাবা। সত্যিই আমরা ভীষণ অবাক হয়েছিলাম , এত টেস্টি হয়েছিল খেতে। মা আর বাবা বলছিল দোকানের চকোবার আইসক্রিমের থেকেও ভালো হয়েছে। আমি তো ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আশেপাশের কয়েকজন বয়স্ক দিদারা আছেন, যারা আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। তাই আমিও কোন কিছু তৈরি করলে সব সময় তাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। তারাও আইসক্রিমটা খেয়ে খুব ভালো বলেছিল। আর পরে আবার তৈরি করে দিতে বলেছিল। যাইহোক, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
লিকুইড দুধ | ১ লিটার |
আমুল দুধ | ১০০ গ্রাম |
চিনি | ৮ চামচ |
ক্যাটবেরি | ২ টি |
কাপ | ৮ টি |
কাঠি | ৮ টি |
ফয়েল পেপার |
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - লিকুইড দুধ, আমুল দুধ, চিনি, ক্যাটবেরি, কাপ, লাঠি আর ফয়েল পেপার।
এরপর একটি বড় সাইজের কাপ মেপে মেপে দুধ কড়াইতে ঢেলে দিলাম। চিনির আন্দাজটা যাতে ঠিকঠাক হয় সেই জন্যই আমি এভাবে দুধ মেপে নিয়েছিলাম।
দুধ জাল হতে হতে আমি ক্যাটবেরি দুটোকে ছোট ছোট টুকরে ভেঙে নিয়েছিলাম। তারপর একদম লো ফ্লেমে দুধটাকে ধীরে ধীরে জ্বালাতে দিয়েছিলাম । আর মাঝেমধ্যে চামচ দিয়ে ঘুটে নিচ্ছিলাম।
এরপর সেখান থেকে এক হাতা দুধ একটা বাটিতে তুলে নিয়ে আমুল দুধ গুলিয়ে নিলাম।
এরপর ১ লিটার দুধ জ্বাল দিতে দিতে প্রায় ৫০০ গ্রাম হয়ে আসলে, তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি বাটিতে গুলিয়ে রাখা আমল দুধ।
এরপর আবারও সেটি জাল দিতে দিতে কমে আসলে তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত চিনি। আমি কাপ অনুযায়ী চিনি দিয়েছিলাম। প্রত্যেক কাপের জন্য এক চামচ করে চিনি দিয়েছি।
আবারো বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিলাম টুকরো করে রাখা ক্যাটবেরি।
তারপর সেটাকেও আবার ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিলাম। তারপর নামিয়ে নিলাম।
এরপর ফয়েল কাগজটাকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম। আর আইসক্রিমের ব্যাটারটা কিছুটা ঠান্ডা হতে সময় দিলাম।
ঠান্ডা হয়ে গেলে সেগুলোকে ছোট ছোট কাপের মধ্যে ঢেলে দিয়ে কাপের মুখগুলো ফয়েল পেপার আর গার্ডার দিয়ে আটকে দিলাম।
এরপর প্রত্যেকটা কাপের মধ্যে একটা করে কাঠি দিয়ে দিলাম। আর সেটাকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ডিপ ফ্রিজে ঠান্ডা হতে দিলাম।
১২ ঘণ্টা পর দেখলাম আইসক্রিম গুলো খুব ভালোভাবে জমাট বেঁধেছে। তারপর সেটাকে বার করে নিয়ে খেয়ে ফেললাম।
কাপ থেকে বার করে আইসক্রিমের কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
বাহ চমৎকার আপু। এই গরমে হোমমেইড আইসক্রিমের থেকে ভালো আর কী হতে পারে বলুন। বাড়িতে চকলেট আইসক্রিম টা দারুণ তৈরি করেছেন। রেসিপি টা খুব একটা কঠিন ছিল সেটা বলব না। বিশেষ করে আপনার উপস্থাপনা টা বেশ দারুণ ছিল। সবমিলিয়ে চমৎকার তৈরি করেছেন আইসক্রিম এর রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
হ্যাঁ ভাই রেসিপিটা খুব একটা কঠিন ছিল না। তবে খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার মতো আমিও খুব ছোট বেলা থেকেই ইউটিউব দেখে দেখে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সঠিক মাপ না জানার জন্য তেমন ভালো হতো না। তবে এটা ঠিক সময়েয় সাথে সাথে রেসিপি তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি খেতেও ভালো লাগে। যেই পরিমান গরম পড়েছে এতে ঠান্ডা খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। আপনার বাবা মা যেহেতু আইসক্রিম খেয়ে প্রশংসা করেছে তার মানে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে কখনো আইসক্রিম বানানো হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনিও এভাবে আইসক্রিম তৈরি করে দেখবেন আশা করি আপনার কাছেও ভাল লাগবে আপু। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে রেসিপিটা।
আপনার এমন আইসক্রিম তৈরি করার পাশাপাশি আমিও কিন্তু খুব সহজেই শিখে ফেললাম কিভাবে আইসক্রিম তৈরি করতে হয়। আমি এর আগে আইসক্রিম তৈরি করেছি খুব সহজে যেগুলা এত সুস্বাদু নয়। তবে আপনার এই তৈরি করার বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছে এই আইসক্রিম খেতে।
আসলেই আপু, এই আইসক্রিমটা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল। আমি তো মাঝে মধ্যে এটি তৈরি করব বলে ঠিক করে নিয়েছি।
এই গরমে আইসক্রিম দেখলে অনেকটাই স্বস্তি লাগে। আপনি এই প্রথম চকলেট আইসক্রিম তৈরি করেছেন। চকলেট আইসক্রিমটি খেতে অনেক টেস্টি হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগছে। এত সুন্দর ভাবে আইসক্রিমের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, এই গরমে আইসক্রিম দেখলে মনে এমনি একটা স্বস্তি কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ইদানিং ইউটিউবে খুবই সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখা যায়। সেগুলো দেখলেই বানাতে ইচ্ছা করে। আর এই গরমের মধ্যে আইসক্রিম হলে তো কথাই নেই। বাচ্চাদের খুবই পছন্দের এই চকলেট আইসক্রিম। খুব সহজেই চকলেট আইসক্রিম তৈরি করেছেন আপু। দেখে মনে হচ্ছে একদম পারফেক্ট হয়েছে।
খেতে যে এত ভালো লাগবে বুঝিনি আপু। বাচ্চারা আসলেই খুব পছন্দ করবে এই আইসক্রিম গুলো। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম আমার বেশ পছন্দের। আমার কাছে বেশ লেগেছে আপনার আইক্রিমের রেসিপিটি। খুব সুন্দর করে আপনি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন। এক কথায় অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ সময় উপযোগি একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমারও আপনার মত চকলেট ফ্লেভার এর আইসক্রিম অনেক পছন্দের আপু। সেই জন্যই চকলেট ফ্লেভারের আইস ক্রিম তৈরি করেছি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বেশ চমৎকার আইসক্রিম তৈরি করেছেন আপনি। আপনার এমন সুন্দর আইসক্রিম তৈরি করতে দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। অসাধারণভাবে প্রস্তুত প্রণালী আমাদের দেখিয়েছেন। পছন্দ এই গরমের দিনে আমাদের এমন আইসক্রিম খাওয়া প্রয়োজন,এতে যান ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
আইসক্রিম তৈরির রেসিপি টা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি নিজেদের বানানো যে কোন জিনিস যদি খায়তে অনেক সুন্দর হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে আইসক্রিম জাতীয় যে কোন খাবার খাইতে অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি আইসক্রিম দেখে আমারই তো খেতে ইচ্ছা করছে দিদি। চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি পদ্ধতি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ঠিকই বলেছেন ভাই, নিজেদের তৈরি যে কোনো জিনিস যদি খেতে ভালো হয়,তাহলে তার থেকে খুশির আর কিছু হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাসায় বসে এতো সুন্দর আইসক্রিম তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আজকে আপনি খুবই সুন্দর করে চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি করেছেন। আপনার আইসক্রিম টি দেখে মনে হচ্ছে চকোবার আইসক্রিম এর থেকে ও বেশি ভালো হয়েছে। আপনি একদম নিখুঁত ভাবে পুরো আইসক্রিম টি তৈরি করেছেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন,আইসক্রিমটা আসলেই চকোবার আইসক্রিমের থেকেও ভালো হয়েছে খেতে।যাদেরকে আইসক্রিমটা দিয়েছিলাম প্রত্যেকেই বলেছে দোকানের থেকে অনেক বেশি স্বাদ হয়েছে এর ।
এই গরমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আইসক্রিম তৈরি করে খেয়েছেন, দেখেই তো আমার ইচ্ছে করছে আপনার হাত থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি। খুবই অল্প উপকরণের মাধ্যমে আপনি এটা তৈরি করেছেন। আমার কাছে কিন্তু এই গরমের মধ্যে আইসক্রিম খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেকগুলা আইসক্রিম বসিয়েছিলেন, আমার জন্য কয়েকটা পাঠিয়ে দিতেন পার্সেল করে। চকলেট আইসক্রিম এমনিতেই আমি খুব পছন্দ করি। আর ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা আইসক্রিম তো আরো বেশি সুস্বাদু হয়।
এরপর কখনো তৈরি করলে আপনার জন্য অবশ্যই পার্সেল করে পাঠিয়ে দেবো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।