|| নতুন এবং পুরনো কলকাতার কিছু ফটোগ্রাফি ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি,ফোটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। এই ফটো গুলো আসলে ভিন্ন ভিন্ন দিনে তোলা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এটা হল আমাদের সকলের পরিচিত কলেজের স্ট্রীট। সাধারণত বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা এখানে যায়। তবে যেহেতু এখানে মান্নাদের গাওয়া সেই গানের বিখ্যাত কফি হাউজ রয়েছে এজন্য অনেকে ঘুরতেও যায়। তবে অধিকাংশ লোক বই খাতা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে যায়। আমিও বেশ কিছুদিন আগে কিছু বই কেনার জন্য এবং কিছু খাতা কেনার জন্য ওখানে গেছিলাম। সেই সময় আসলে ফটোটা তুলেছিলাম।
এটা হল ইকো পার্কের ভিতরে অবস্থিত একটা বড় লেক তার ফটোগ্রাফি। বেশ কিছুদিন আগে আমি দাদা এবং বৌদি গিয়েছিলাম এখানে ঘুরতে। যেহেতু বিকেলবেলা গিয়েছিলাম এজন্য পরিবেশটা অনেক শান্তশিষ্ট্য এবং সুন্দর ছিল এবং লেকের পাড়ে বসে পুরো পরিবেশটা দেখতে এত সুন্দর লাগছিল যে মন্ত্রমুক্ত হয়ে রীতিমতো সেখানে বসে ছিলাম। তবে লেকের গভীরতা কিন্তু অনেক বেশি এবং এর ভিতর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল করে। বিশেষ করে টুরিস্টদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এটা করা হয়।
এটা হলো আমাদের শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন যেটা খুব বেশিদিন হয় চালু হয়নি। ফটোটা যখন তুলেছিলাম তখন সবেমাত্র একটা টিকিট কাউন্টার খুলেছিল এবং সব লাইন গুলো খোলা হয়েছিল না চলাচলের জন্য। তবে এখন অধিকাংশ জায়গা খুলে দেওয়া হয়েছে এখন। আমাদের দমদম মেট্রো থেকে শিয়ালদা মেট্রো কিন্তু আরো অনেক বেশি উন্নত এবং প্রযুক্তিতেও বেশ কিছুটা এগিয়ে।
এটা হল পুরনো কলকাতার একটা বিখ্যাত সুইমিং ক্লাব। সাধারণত এখানে কলকাতার বাচ্চাকাচ্চাদের সাঁতার শেখানো হয়। এবং যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে তাদেরকে এখানে সাঁতার শেখানো হয়। যদিও এটা আমার প্রথম দেখা। তবে বাচ্চাকাচ্চাদের সাঁতার কাটতে দেখে বেশ কিছু সময় সেখানে বসে ছিলাম এবং অনেক বেশি ভালো লাগছিল আমার।
এটা হল পুরনো কলকাতার একটা ফটোগ্রাফি। যেহেতু কলেজ স্ট্রিট গিয়েছি তাই পুরনো কলকাতার টা একটু ভালো করে দেখে আসবো না সেটা কি করে হয়। এজন্য আমি এবং আমার দুজন বান্ধবী মিলে পুরনো কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। তার ভিতরে এই জায়গাটা অন্যতম। এটার বিশেষত্ব তেমন কিছু নেই, তবে পুরনো কলকাতার বিল্ডিং গুলো অনেক বেশি ঐতিহ্যবাহী এবং দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।
এই ফটোটা খুব সম্ভবত কফি হাউজের ঠিক উল্টোদিকে যে রাস্তাটা সেখান থেকে তুলেছিলাম। আর সামনের যে ফটোগ্রাফি টা দেখতে পাচ্ছেন এটা হল হাতে টানা একটা রিক্সা। সাধারণত পুরনো কলকাতায় এই ঐতিহ্যটা এখনো রয়েছে। তবে আমি এটাকে খুব বেশি একটা সাপোর্ট করি না। কারণ একজন মানুষ দৌড়ে দৌড়ে এরকম রিকশা চালিয়ে এক জায়গাতে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়, যেটা অনেক কষ্টকর মনে হয়। তবে যেহেতু ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য তারা এটা করে, তাই তেমন কিছু বলারও নেই।
পোস্ট বিবরণ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
নতুন ও পুরাতন কলকাতার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পুরাতন কলকাতার সুইমিংপুল ও ইকো পার্কের ভিতর বড় লেকটা দেখতে খুব চমৎকার লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে, খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নতুন এবং পুরাতন কলকাতার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক চমৎকার হয়েছে। আসলে কিছু কিছু জায়গা আছে এই জায়গাগুলোর মধ্যে বারবার যেতে মন চায়। তবে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মান্নাদের কফি হাউজের জায়গাটিতে একবার ঘুরতে যেতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো। যেখানে আপনি বই কিনতে গেলেন। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো ইকো পার্কের ফটোগ্রাফি। আপনার দাদা বৌদি এবং আপনি ঘুরতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এখানে যখন ঘুরতে আসবেন, তখন অবশ্যই বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মান্নাদের কফি হাউসের জায়গাটিতে একবার ঘুরে যাবেন আপু ,ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নতুন পুরাতন কলকাতার বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গা গুলো অনেক সুন্দর। তবে কফি হাউজের সেই জায়গাটিতে বসে কফি খেতে পারলে ভালো লাগতো। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি চমৎকার হয়েছে। তবে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা পুরনো এবং নতুন কলকাতার ফটো গুলো দেখতে। কারণ কলকাতা হয়তো সরাসরি কখনো দেখা সম্ভব হবে না। যদি জীবনে কখনো ঘুরতে যাই তাহলে দেখার সুযোগ হবে। কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।