|| রেসিপি : ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি। তবে গত সপ্তাহে কিছুটা ব্যস্ততার কারণে সেরকম কোনো পোস্ট করা হয়নি। তবে এই সপ্তাহে আবারো একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। যেহেতু একটু বৃষ্টি পড়েছে, তাই আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা হয়েছে। তাই বাড়িতে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারগুলো তৈরি করছি। বিভিন্ন ধরনের চপ রেসিপিগুলো তো মাঝেমধ্যেই করা হয়ে থাকে। তবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কখনো তৈরি করিনি। রেস্টুরেন্টে আবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর দাম বেশ বেশি। তাই ভাবলাম ইউটিউব এর সাহায্য নিয়ে, বাড়িতেই তৈরি করে ফেলি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। অবশ্য সেদিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাবো বলে ভাবিনি। তবে সেদিন অবশ্যই নিরামিষের একটা ব্যাপার ছিল, তাই অন্য কিছু বানানোর অপশন ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই এই রেসিপিটা চেষ্টা করেছিলাম। খেতে কিন্তু দারুন লাগছিল। তবে মুচমুচে রেস্টুরেন্ট এর তুলনায় একটু কম হয়েছিল। যাইহোক খেতে ভালো হলেই হলো। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| আলু | ৪ টি |
| লবণ | ২ চামচ |
| হলুদ | ১ চামচ |
| শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো | ২ চামচ |
| কর্নফ্লাওয়ার | ৪ চামচ |
| ময়দা | ৬ চামচ |
| সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - আলু, লবণ, হলুদ, শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো, কর্নফ্লাওয়ার , ময়দা আর সাদা তেল।
আলু গুলোকে লম্বা লম্বা আর সরু করে কেটে, ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম। তারপর একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো জল আর সামান্য লবণ দিয়ে আলু গুলোকে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম। পুরোপুরি সিদ্ধ করিনি, ৫০% সিদ্ধ করেছিলাম। কারণ ভাজার সময় বাকিটা সিদ্ধ হয়ে যাবে।এরপর এটাকে ৩-৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। কারণ কয়েকটা রান্নার ভিডিওতে দেখেছিলাম ফ্রিজে দুই থেকে তিন ঘন্টা রাখলে এটা খেতে বেশ মুচমুচে হবে।
তিন থেকে চার ঘন্টা পর আলু গুলোকে ভাজার জন্য তার উপরে স্বাদ মতো নুন, শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো , হলুদ আর কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে দিয়েছিলাম।
এরপর তাতে সামান্য ময়দা ছিটিয়ে দিয়ে, সব উপকরণগুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করা আলুর সাথে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে আলু গুলোকে অল্প অল্প করে ভেজে নিয়েছিলাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি।
মুচমুচে একটু কম হয়েছিল রেস্টুরেন্ট এর তুলনায়, তবে খেতে কিন্তু খুবই টেস্টি হয়েছিল। যাইহোক সবশেষে একটি কাগজের উপর এগুলোকে নামিয়ে নিয়েছিলাম, যাতে অবশিষ্ট তেল কাগজের গায়ে শুষে যায়। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
| পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
|---|---|
| ডিভাইস | poco m6 pro |
| ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
🪔আমার পরিচয়🪔
আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।
আমাদের এদিকেও ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে দিদি। আবহাওয়া টা বেশ ঠান্ডা। এখনো প্রচন্ড বৃষ্টি পড়ছে বাহিরে। এই সময় যদি গরম গরম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হত তাহলে একেবারে জমে যেত। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দিদি।
বৃষ্টির দিনে এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে আসলেই ভালো লাগে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
একটু বৃষ্টি পড়লে এরকম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও ভাজা জাতীয় জিনিস খেতে ভালো লাগে । আর এটা ঠিক বলেছেন ফ্রেন্স ফ্রাই এর দাম ভালই বেশি রাখে ওরা । নিজেরা যদি একটু কষ্ট করে তৈরি করা যায় তাহলে খেতে কিন্তু ভালো লাগে । আমি তো মাঝে মাঝে তৈরি করি আমার ছেলের জন্য । খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে । আপনার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো ।
আপনিও আপনার ছেলের জন্য মাঝে মাঝে এই ধরনের খাবারগুলো তৈরি করেন জেনে ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এই ধরনের মুখরোচক খাবার আমার মনে হয় সবার পছন্দ। বিশেষ করে বাচ্চাদের।ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে অনেক মজার। আমি ও মাঝে মাঝে বাচ্চাদের জন্য তৈরি করি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, এই ধরনের মুখরোচক খাবারগুলো খেতে সবাই কম বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
রেস্টুরেন্টে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর দাম এতটা যে একদম মাথা খারাপ হওয়ার মতো ।বাড়িতে বানালে সেটা বেশ সাশ্রয়ী হয় ।আপনি ইউটিউব ঘেটে চমৎকারভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করেছেন ।দেখেই মনে হচ্ছে বেশ মুচমুচে হয়েছে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, বাড়িতে একটু কষ্ট করলেই এই রেসিপিটা খুব সহজেই তৈরি করা যায়। কিন্তু রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে গেলে এর দাম অনেক হয়ে যায়।
আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক লোভনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে খুব জিভে জল চলে এসেছে।ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর আগে আমি খাইনি কিন্তু আপনার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেখে মনে হচ্ছে খুব টেস্টি হয়েছে ধন্যবাদ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপিটি তৈরি করা খুবই সহজ ভাই। আপনিও বাড়িতে তৈরি করবেন আশা করি ভালো লাগবে।
আলু দিয়ে ঝটপট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আজকে আমাদেরকে দেখিয়েছেন। পরিবেশন করা ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে দিদি লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই,রেসিপিটি খেতে বেশ ভালো হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে দেখেছি। রেস্টুরেন্টের মতো হতে চাই না। এক্ষেত্রে আপনি দেখছি ইউটিউব এর সাহায্য নিয়েছেন। হালকা ঠান্ডা আবওহাওয়াই এটা কিন্তু বেশ দারুণ লাগে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা চমৎকার তৈরি করেছেন আপু। দেখে লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
রেস্টুরেন্ট এর মত পুরোপুরি মুচমুচে না হলেও খেতে বেশ ভালো হয়েছিল আর মোটামুটি মুচমুচে হয়েছিল ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপিটি আমাদের মাঝেই শেয়ার করেছেন। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার অনেক পছন্দের। এটি সন্ধ্যায় স্নাক্স হিসাবে খাওয়া যায়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। উপকরণ গুলো এবং ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, সন্ধ্যা বেলা স্নাক্স হিসেবে রেসিপিটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা আর এই ঠান্ডা হাওয়ায় মুখরোচক সব খাবার দাবার বানানোর মজাই আলাদা। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার মেয়ের ভীষণ পছন্দের একটি খাবার মাঝে মাঝেই বানিয়ে দিতাম মেয়ে বায়না ধরতো তাই অনেকদিন থেকে বায়না ধরে না আমিও বানিয়ে দেই না বানিয়ে দিতে হবে একদিন মেয়েকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানিয়ে দেয়ার ছলে আমারও খাওয়া হয়ে যায়। ধন্যবাদ দিদি চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মেয়ে বায়না ধরলে দেখছি আপনি প্রায়ই রেসিপিটি বানাতেন দিদি। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে আমি অনেক পছন্দ করি৷ তবে অনেকদিন হয়ে গেছে ফ্রেন্স ফ্রাই খাওয়া হয় না৷ আজকে অনেকদিন পর আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখে একেবারে মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ যেভাবে আপনি এটি তৈরি করে এর ডেকোরেশন শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
আপনিও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে অনেক পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আমার তৈরি রেসিপি টা আপনার কাছে সুস্বাদু মনে হয়েছে জেনে খুশি হলাম।