|| দূর্গা পূজার সময় তোলা কিছু ফটোগ্রাফি ||
নমস্কার বন্ধুরা
আমরা যখন শিয়ালদা স্টেশনে নেমে সন্তোষ মিত্র স্কয়ারে পূজো দেখতে ঢুকছিলাম, হঠাৎ করে দেখলাম তার পাশে বেশ সুন্দর এবং ছোট্ট করে প্যান্ডেল করেছে। এটা মূলত করেছিল ইডেন গার্ডেনের মতো করে একটা থিম। তবে অনেক ছোট এবং প্যান্ডেলের সাইডে এরকম প্রচুর পরিমাণে মা দুর্গার মুখের মূর্তি লাগানো ছিল। যেটা দেখতে এতটাই সুন্দর লাগছিল যে একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম। আমি নিজেও আমার কিছু ফটো তুলেছিলাম।
সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পূজো দেখার পর আমরা সেখান থেকে চলে গেলাম কলেজ স্কয়ারে পুজো দেখতে এবং সেখান থেকে পুজো দেখে বের হতে না হতেই দেখলাম বেশ বড়সড় একটা মেলা এবং মেলাতে রয়েছে খাবার দাবার যেগুলো দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তবে এত পরিমাণে ভিড় ছিল যে ফটো তুলতে পারছিলাম না। তারপরও অনেক কষ্ট করে একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
এটা তো আমি স্বয়ং নিজে সেটা তো বুঝতেই পারছেন। এটা আমাদের কলকাতা থেকে তোলা নয়, এই ফটোটা তুলেছি আমি বারাসাত থেকে। অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন যখন বারাসাত স্টেশনে গিয়েছিলাম পুজো দেখতে তখন এই ফটোটা তুলেছিলাম। আসলে রাস্তার পাশে এত পরিমাণে লাইটিং ছিল যে মনে হচ্ছিল দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটা ফটো তুলি। আর দেখতেও খুব বেশি একটা খারাপ লাগছিল না। এজন্য ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
এটাতো কলেজ স্কয়ারের প্যান্ডেল সেটা হয়তো আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন। তবে এই প্যান্ডেলের বাইরে এত পরিমাণে ভিড় ছিল যে আমার সেই ঠাকুর অব্দি পৌঁছাতে রীতিমতো এক ঘন্টার বেশি সময় লেগে ছিল। তারপরও যেহেতু দাঁড়িয়ে ছিলাম তাই ঝটপট করে একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম। তবে বাইরে থেকে প্যান্ডেল দেখতে যত সুন্দর লাগছিল ভেতরে গিয়ে আমি অনেকটাই হতাশ হই। শুধুমাত্র মায়ের মূর্তি ছাড়া ভেতরকার প্যান্ডেল অত বেশি সুন্দর লাগেনি আমার কাছে।
এই দুর্গা ঠাকুরটা কলেজের স্ট্রিটের একটা ছোটখাটো প্যান্ডেল থেকে তুলেছি। আসলে রাস্তার পাশেও প্রচুর পরিমাণে দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমার পুজো করা হয় ছোট ছোট ক্লাবগুলোতে। সেগুলো দেখতেও নিতান্ত খারাপ হয় না। যেটা এই ফটো দেখে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন। আমার কাছে কিন্তু মা দুর্গার এই মূর্তিটা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
পোস্ট বিবরণ | ফোটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |