|| গল্প হলেও সত্যি ( পর্ব - ০২ ) ||

in আমার বাংলা ব্লগlast month

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি " গল্প হলেও সত্যি " গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব বা শেষ পর্ব নিয়ে। কিছুদিন আগে এরই পর্বটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজ পরবর্তী অংশটুকু লিখবো। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।


1000077646.jpg

সোর্স


এবার যদিও তার ওই পোড়ো বাড়িতে যেতে অনেকটাই ভয় কাজ করছিল মনের মধ্যে। তবুও সে বাধ্য হয়েই গেছিল সেখানে, সাথে যদিও বহু কর্মচারীরা ছিলেন। তবুও ভয় তো লাগবেই। যেহেতু তার একটা ফোন পুরোই খারাপ হয়ে গিয়েছিল, তাই এবার সে ছোট একটা ফোন নিয়েই সেখানে গেছিল শুধুমাত্র যোগাযোগ করার জন্য। এদিকে অনেকেই ভয়ে পালিয়েছে সেখান থেকে। তাও যে কয়জন ছিল লেবাররা কাজ শুরু করেছিল। দিনের বেলা যদিও খুব বেশি একটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই আবারও একটা গা ছমছমে পরিবেশের সৃষ্টি হল। প্রায় সারা রাত ধরে ডিউটি ছিল তার। সন্ধ্যার পর থেকে তারা কেউ কখনো কারো সঙ্গ ছাড়া হয়নি। সব সময় প্রায় দুই থেকে তিনজন
একসাথে চলাচল করছিল।

কিন্তু হঠাৎই যখন রাত সাড়ে তিনটে, তখনই তারা যেদিকে কাজ করছিল তার উল্টো দিক থেকে একটা অদ্ভুত ভয়ানক আওয়াজ আসছিল। সকলেই নিস্তব্ধ হয়ে গেল। যেন কোনো মহিলার ঘুঙুরের আওয়াজ , সেই সাথে বিকট একটা শব্দ। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই আওয়াজ থেমে গেল। কিন্তু সকলেরই গা থমথমে হয়ে গেছিল। কোনোভাবে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তারপর আবারো দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। তারপর তারা সবাই মিলে আলোচনা করে , কালীঘাট থেকে এক তান্ত্রিকের সাথে কথা বলল। তিনি বলেছিলেন প্রতি শনিবার আর মঙ্গলবার করে সেখানে যজ্ঞ করতে হবে। এই ভাবেই কোনো এক মঙ্গলবারে তান্ত্রিককে সাথে করে নিয়ে গিয়ে, তারা কাজ শুরু করল। একদিকে যজ্ঞ হল, আর অন্যদিকে হল কাজ।

যজ্ঞ করার সময় ভয়ানক কান্নার আওয়াজ শুরু হতো। কিন্তু কিছুতেই তারা থেমে থাকে নি। এইভাবে ক্রমাগত যজ্ঞ হতে হতে কয়েক মাসের মধ্যেই থমথমে পরিবেশটা যেন কেটে গেল। এদিকে বাড়িতে যত পুরনো গাছপালা গজিয়েছিল সেগুলোও নেই , তাই বাড়ির ভিতরে দিনের বেলায় আলোও প্রবেশ করতে শুরু করেছিল। এদিকে পুরনো সংস্কারকে অনেকটাই নতুনের দিকে এনে ফেলেছিল তারা। ধীরে ধীরে এইভাবে কাজের মধ্যে দিয়েই পুরনো বিল্ডিংটিকে তারা নতুন সংস্কার দিয়েছিল। কলকাতার বুকে গড়ে উঠেছে সেই বড় শপিং মলটি। যার মধ্যবর্তী স্থানে হয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা । এখন আর সেখানে ভয়ের কোনো কারণই নেই। প্রতিনিয়তই বহু মানুষ সেখানে যাতায়াত করছে। এখন সেটা জনবহুল একটা এলাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আসলে ভূত বলে কিছু হয় না বলেই আমরা বিশ্বাস করে থাকি। কিন্তু জনহীন এরকম অদ্ভুত জায়গা গুলোতে হয়তো কিছু আত্মার বসবাস থাকতেও পারে। আবার সেটা আমাদের মনের ভুলও হতে পারে। তবে ঘটনাটা শুনে আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম।


................ (সমাপ্ত ).................


পোস্ট বিবরণগল্প

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last month 

এই পর্বটিও পড়লাম। বেশ ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। ভূতের এত প্রমিনেন্ট কার্যকলাপ যেন ভীষণ অবাক করে। কিন্তু মানুষ যার সম্মুখীন হয়, তার কথা জীবনে কোনদিন ভুলতে পারে না। তবে যজ্ঞ শান্তি করে যে সেখানে থমথমে পরিবেশটা কেটে গেছে তা খুব আশাপ্রদ কথা।

 last month 

হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত যে যজ্ঞের মধ্য দিয়ে তারা পুরো কাজটা কমপ্লিট করতে পেরেছিল এটাই ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পুরোটা পড়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64261.31
ETH 2787.80
USDT 1.00
SBD 2.66