|| লাইফ স্টাইল : নীল পুজোর আগেরদিন রাতে কাটানো কিছু মুহূর্ত ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট করব। একটু আধটু ঘোরাঘুরি না করলে আসলে এই ধরনের পোস্ট গুলো করার কোনো টপিকই পাওয়া যায় না। অনেকদিন যেহেতু বাড়ি থেকে বের হয়নি, তাই কি পোস্ট করব বুঝতেই পারছিলাম না। তখন ফোনের গ্যালারি ঘেঁটে দেখলাম, নীল পূজোর আগের দিনের কিছু ছবি রয়েছে। যদিও ফটোগুলো খুব একটা ভালো হয়নি। রাতের অন্ধকারে, খুব একটা ভালো করে ফটোগুলো তুলতে পারিনি। তাও ভাবলাম মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আমাদের বাড়ির পাশে একটি বেশ বড় মাঠ রয়েছে, সেখানে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখের সময় পাঁচ দিন ধরে অনুষ্ঠান হয়। প্রথম দুইদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তারপর দিন নীল পূজো, তারপর দিন চড়ক আর শেষের দিন পহেলা বৈশাখের মেলা বসে। পহেলা বৈশাখের দিন যদিও, কাছাকাছি আরো অনেক বড় একটি মেলা বসে সেখানেই যাওয়া হয়। তবে চড়ক আর নেই পুজোর দিন পাড়ার এই মাঠেই থাকি। আর গান-বাজনা তো ঘর থেকেই শোনা যায়।
যাইহোক,সেদিন সন্ধ্যা থেকে আমার অনলাইনে ক্লাস চলছিল। তাই মাইকের আওয়াজ খুব একটা ভালো করে খেয়াল করিনি। প্রায় রাত ন'টায় যখন ক্লাস শেষ হলো, তখন শুনলাম এবছর নাকি সেখানে পুতুল নাচ এনেছে। পুতুল নাচ কখনো সামনে থেকে দেখি নি , তাই দেখার একটু আগ্রহ হলো। কিন্তু তখন সবকিছু প্রায় শেষের পথে। তাও ভাবলাম একবার গিয়ে দেখি, যদি লোকজন থাকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নেওয়া যাবে। আর সেটা পরবর্তীতে করা যাবে।
প্রথমে ভাবলাম দূর থেকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েই চলে আসব। তারপর গিয়ে দেখলাম তখনও অনেক লোকজন রয়েছে সেখানে। পাড়ার প্রায় প্রত্যেকেই, আর অচেনা কিছু মানুষও রয়েছে অবশ্য।আর তখনও পুতুল নাচ চলছে। তাই পুতুল নাচের ছবিটি ভালো করে তোলার জন্য একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম। যদিও সামনে অনেক মানুষ বসে থাকায় বেশ দূর থেকেই আমাকে ফটোগ্রাফিটা করতে হয়েছিল, তাই কিছুই ভালো করে বোঝা যাচ্ছিল না। অনেকগুলোই ফটোগ্রাফি করেছিলাম পুতুল নাচের, কিন্তু সেগুলো ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না বলে একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
যাইহোক, দেখলাম ইতিমধ্যেই ঠাকুর নিয়ে চলে এসেছে। তাই তারও দুই একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যদিও নীল পূজোর দিন ঠাকুরের এই মূর্তিটাকে ফুল আর মালা দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়। বেশ ভালোও লাগে দেখতে। এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও দেখলাম বেশ কিছু দোকানপাট বসেছে, বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান ছিল, আর ছিল অল্প কিছু খেলনার দোকানপাট।
খাবারের মধ্যে ছিল জিলিপি, পাঁপড় যেগুলো প্রায় সব মেলাতেই থাকে। এছাড়া ছিল কয়েক ধরনের চপ, ঘুগনি, ফুচকা, ভুট্টা ইত্যাদি। আর ছিল সবার অত্যন্ত প্রিয় আইসক্রিম এর দোকান। অন্যসব দোকানপাটের তুলনায় আইসক্রিমের দোকানেই বেশি ভিড় দেখছিলাম। অতিরিক্ত গরমে এটাই মানুষের সবচেয়ে প্রিয় হয়ে উঠেছিল। যেহেতু তখন বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল, আর বাড়িতে আইসক্রিম ছিল তাই আমি আর আইসক্রিম কিনিনি।
যাইহোক, বেশ ভালই লাগছিল প্রথমবার পুতুল নাচ দেখতে। তাই মেলা টি পুরোটা ঘুরে দেখে কিছুক্ষণ পুতুল নাচ দেখে তারপর বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর একটা সময় কেটেছিল। তবে বেশ রাত হয়ে গেছিল বলে আমি ৩০ মিনিট এর বেশি সেখানে ছিলাম না।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |