|| আজ মার্কশিট আনতে গিয়ে কলেজে কাটানো কিছু মুহূর্ত ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আজকে কলেজে মার্কশিট আনতে গিয়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত নিয়ে । আজ সকাল থেকে সারাদিন প্রচুর কাজের চাপ ছিল। তাই আজ বড্ড ক্লান্ত। তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে চলে যাচ্ছি।
প্রতিদিন বারাসাত থেকে আমাকে একা একাই কলেজে যাতায়াত করতে হতো। সময় কিছুতেই কাটতে চাইতো না। কিন্তু কাল রাত্রিবেলা আমার এক বন্ধু (সৌরভ) আমাকে ফোন করে বলল, ও বারাসাতেই আছে তাই কাল আমার সাথে যাবে। সাথে একজন সঙ্গী পেয়ে আমি তো খুব খুশি হয়ে গেলাম। এদিকে ওরও একজন সঙ্গী হল। সে যাইহোক, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে আজ আমার বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছিল। কারণ প্রতিদিনের অভ্যাস তো। সকাল আটটায় যেহেতু ঘর থেকে বেরোনোর কথা ছিল, তাই গতকাল রাতে আমি সকাল ছয়টার অ্যালার্ম দিয়েছিলাম। কিন্তু অ্যালার্ম তো অ্যালার্মের মত বেজে গেল , আর আমি ঘুম থেকে উঠে দেখলাম সকাল সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছে। দেখে তো মাথায় হাত, তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে দৌড়ে কোনরকমে রেডি হয়ে বন্ধুকে বললাম ট্রেনের টিকিট টা কেটে রাখতে আর আমি দৌড়ে গিয়ে ট্রেন ছাড়ার এক মুহূর্ত আগে ট্রেনে উঠে পড়লাম। যাইহোক, দৌড়াদৌড়ি করে হলেও শেষ পর্যন্ত ট্রেনটা আমি মিস করিনি এটাই ভালো।
সকাল ১১ টা থেকে মার্কশিট দেওয়ার কথা ছিল। আমরা দুজন সাড়ে দশটার মধ্যেই কলেজের গেটের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু অন্য সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল কলেজে, তাই আমাদের মার্কশিট দেওয়া শুরু হতে হতে প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। এদিকে প্রচুর পরিমাণে ভিড় জমে গিয়েছিল প্রতিবারের মতোই। তারপর মার্কশিট দেওয়া শুরু হলে, আমরা সকলে আমাদের অ্যাডমিট কার্ড জমা দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু জমা দেওয়ার পর অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক টানা, দু'ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর দুপুর দুটো নাগাদ আমরা মার্কশিট হাতে পেয়েছিলাম। যদিও আমরা প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, তা সত্ত্বেও যেহেতু পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে প্রায় একমাস পর আমাদের সকলের দেখা হলো, আর এরপর আর কোনদিন কারো সাথে কারো দেখা হবে কিনা এটাও যেহেতু জানিনা তাই সকলে মিলে একটু আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাচ্ছিলাম।
যদিও এখনো একদিন সার্টিফিকেট আনতে যেতে হবে কিন্তু সেটা ছয় থেকে সাত মাস পর। আজকেও বহু বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে দেখা হয়নি, আর সেই দিনও হয়তো অনেকের সাথে দেখা হবে না সেই জন্যই আজকের দিনটাকে আমরা একটু স্মরণীয় করে রাখলাম। বহু গ্রুপ ফটো তোলা হয়েছিল , কিন্তু সেগুলো এখনো জোগাড় করে উঠতে পারিনি। আজ যেহেতু বড্ড ক্লান্ত তাই সেগুলো জোগাড় করতেও ইচ্ছে করছে না। আমার ফোন থেকে যে কটা ফটো তোলা হয়েছিল তার মধ্যে থেকেই কয়েকটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। এছাড়াও কলেজের বাইরে থেকে সকলে মিলে একটা দুটো করে হলেও একজন আরেকজনের থেকে নিয়ে ফুচকা পার্টি করেছিলাম। যদিও শেষের মুহূর্তটা অনেক আনন্দের আর দুঃখের দুটোরই ছিল। তা সত্ত্বেও দিনটি আমাদের কাছে স্মরণীয়।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
আমার সকালে ওঠার তারা থাকলে এলার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর আপনার এলার্ম বাজার পরেও আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। যাক অল্পের জন্য ট্রেন মিস করেননি তাহলে এটা অবশ্য ভালো করেছেন সবার সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়ে ছবি তুলে রেখেছেন। পরে আর কার সঙ্গে দেখা হয় না হয় তার কোন ঠিক নেই। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে।
রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে আসলে অনেক দেরি হয়ে যায় আপু । সেই জন্য সকালে অ্যালার্ম বাজলেও আর ঘুম থেকে উঠতে পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে ,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে এই প্রথম আবার কলেজে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। যদিও কলেজে এসেছেন মার্কশিট নেওয়ার জন্য। আর এটি নেয়ার জন্য আপনাকে টানা দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তারপর এটি পেয়েছিলেন। আসলে কলেজে এগুলো আনতে গেলে এমনই হয়ে থাকে। এতদিন পরে আবার কলেজ এসেছেন নিশ্চয়ই অনুভূতিটা দারুন ছিল। সব মিলিয়ে বান্ধবীদের সাথে দেখা হওয়া কলেজে নিজেদের মধ্যে একটু সময় কাটানো সব মিলে খুবই দারুণ কাটিয়েছেন।
হ্যাঁ ভাই, সব মিলিয়ে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তাহলে তো বেশ দৌড়াদৌড়ি করলেন আপনি আজকে যেহেতু অ্যালার্ম আপনার মাথার উপর দিয়ে বেজে গেল। মাঝে মধ্যে এমনই হয় অ্যালার্মের মত অ্যালার্মের বেজে যায় কিন্তু ঘুম ভাঙ্গে না। যাক অবশেষে মার্কশিট নিয়ে আসলেন অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আর কলেজে তেমন একটা যাওয়া হয় না। সে সাথে সকল বন্ধু বান্ধবীদের সাথে যোগাযোগ আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। যদিও খুব কম সংখ্যক বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে যোগাযোগ হয়। তাছাড়া অনেকের সাথে আবার সরাসরি দেখা হয়ে যায়। অনেক সুন্দর সময় কাটালেন ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু , অ্যালার্ম মাঝেমধ্যে তার নিজের মতো বেজে যায় কিন্তু ঘুম আর ভাঙ্গে না। কিন্তু পরবর্তীতে সত্যিই অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেদিন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক সময় এলার্ম বেজে উঠলেও ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে হয় না। আজকে আপনার সঙ্গে ঠিক এইটাই হয়েছে। তবে যাই হোক কলেজে মার্কশিট আনতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। এতদিন পর কলেজে গিয়েছেন অনেক বন্ধু দের সাথে দেখা হয়েছে সব মিলিয়ে মুহূর্তটা নিশ্চয়ই বেশী দারুন ছিল। শুভকামনা রইল আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আমার কোথাও যাওয়ার প্রগ্রাম থাকলে তিন চারবার এলাম দেয়। সাতটায় উঠার এলাম দিলে সাড়ে পাঁটা,ছয়টা,সাড়ে ছয়টাও এলাম দেয়। তারপরও আমার উঠতে আটটা বাজে,হা হা হা। এলার্ম বিরুক্ত হয় কিন্তুু আামর বিরুক্তি লাগে না। যায়হোক শেষমেষ ট্রেনটা পেয়েছে সেটাই ভাগ্য ভালো। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই, অ্যালার্ম একা একা বাজতে বাজতে বিরক্ত হয়ে যায় কিন্তু আমরা বিরক্ত হই না, হি হি হি।