|| বনগাঁ উৎসব ভ্রমণ ||
নমস্কার বন্ধুরা
প্রচন্ড গরমের দাবদহে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ। একদম শেষ রাতে এবং সকালের দিকটাতে একটু গরম কম হলেও দিন যত বাড়ছে তত যেন সূর্য মামা আমাদের উপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে। আসলে এই গরমের জন্য মূলত আমরাই দায়ী। প্রকৃতির সাথে এত অত্যাচার করি আমরা প্রতিনিয়ত আর তার ফলাফল তো আমাদের অবশ্যই পেতে হবে। আজকে মনে হয় আমাদের এদিকে তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আশা করা যায় দু-একদিনের ভিতর তাপমাত্রা আরো বাড়বে। তারপরে আবার এই গরমে বিকালের দিকে প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করছে সব মিলিয়ে খুবই দুর্বিসহ অবস্থা।। তবে এই সমস্যার সমাধান আমরা সকলেই জানি। আমরা যদি প্রতি বছর কিছু কিছু গাছ লাগাই আমাদের বাড়ির আশেপাশে তাহলে হয়তো এই সমস্যা কিছুটা কমবে। কিন্তু আমরা বুঝেও না বোঝার ভান ধরি। যাদের বাড়িতে এসি রয়েছে তারা হয়তো এই গরমে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। কিন্তু যাদের ঘরে এসি বা কুলার নেই তাদের অবস্থা তো খুবই খারাপ। যাইহোক আজকের প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
ধর্মযুদ্ধের প্রতিবাদে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সম্প্রতির মেলা হলো আমাদের এই বনগাঁ উৎসব। প্রতিবছরের মতো এ বছরও আমাদের বনগাঁতে এই মেলার আয়োজন করা হয়। সাধারণত বনগাঁর ক্ষমতায় থাকা দল প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করে এবং ৩০ দিন ব্যাপী এই মেলায় প্রচুর লোকের সমাগম হয় বাইরে থেকে। আমাদের বনগাঁর লোক তো রয়েছে তবে তারপরেও আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে মেলা ঘুরতে আসে। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, এই মেলায় এমন এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যেটা অন্য সময় বাইরে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে হাতের তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিস, শো-পিস এবং ডিনার সেট। যেগুলো এই জায়গাতে অল্প দামে খুব সুন্দর পাওয়া যায়। তিন চারদিন আগে আমি এবং আমার এক বান্ধবী এখানে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আসলে কথা ছিল দুপুর নাগাদ যাওয়া। কিন্তু দুপুরের এত রোদের তীব্রতা এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে একেবারে সন্ধ্যার দিকে যাব। যদিও সন্ধ্যার দিকে লোকের ভিড় হয় বেশি তারপরও আমরা রোদ এর কথা চিন্তা করে ওটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
কিন্তু অবাক হলাম ওখানে গিয়ে এটা দেখে যে, আমরা যে পরিমাণ লোক এক্সপেক্ট করেছিলাম তার টেন পার্সেন্ট এখানে কেউ আসেনি। আসলে যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে লোকজন মেলায় ঘুরতে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক,আমরা যেহেতু ঘুরতে গিয়েছিলাম সেজন্য আশপাশের সব স্টল গুলো একটু একটু ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম। তবে এইবার দেখলাম এই মেলায় খাবারের স্টল খুব বেশি একটা বসেনি। বেশ কয়েকটা মিষ্টির দোকান এবং কয়েকটা তেলে ভাজার দোকান ছাড়া তেমন কোন বিশেষ দোকান দেখতে পারলাম না। আগের বছর নাগরদোলা এসেছিল তারপর বিভিন্ন রাইড এসেছিল এইবার দেখলাম অনেকটাই কম। প্রথমেই তো কসমেটিকসের দোকানে গেলাম নিজের জন্য কিছু কেনার জন্য। টুকটাক কিছু জিনিস পছন্দ হলো এবং সেগুলো নিয়েও নিলাম। তারপরে মনে হচ্ছিল কিছু প্লেট কেনা যাক কিন্তু এবার দেখলাম প্লেটের দাম অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাছাড়াও সেখানে অনেক কাপড় এবং ব্যাগ এর দোকান ছিল। যদিও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল কিন্তু কোয়ালিটি খুব বেশি একটা ভালো ছিল না। এরপর একদম শেষের দিকটাতে আমরা চলে গিয়েছিলাম নাগরদোলা চড়ার জন্য। কিন্তু লোকজন এত কম ছিল যে অনেকটা সময় লাগাচ্ছিল এজন্য সেটাও বাধ্য হয়ে ক্যান্সেল করতে হলো। কিন্তু খাবারদাবার স্টলে গিয়ে অনেকটাই হতাশ হলাম। বেশি একটা ভালো ছিল না এবং লোকজন কম থাকায় তারা বেশি করে বানাচ্ছিল না। মোটামুটি এই বছর বনগাঁ মেলায় গিয়ে বেশ খানিকটা হতাশ হলাম। তবে তারপরও যেহেতু বছরে একবার যাওয়া হয় এজন্য মোটামুটি সব জায়গা গুলো ভালো করে ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। তারপর ঘন্টা খানিক পর বাইরে থেকে মোমো এবং চিকেনের কিছু আইটেম কিনে নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম। আসলে মেলার ভিতরে প্রচন্ড গরম লাগছিল। যেহেতু চারপাশ আটকানো ছিল এজন্য বেশি সময় ওখানে থাকতে পারিনা।
পোস্ট বিবরণ | ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1782461535794626680?t=CzujWyEy6HCGsBYXiTT_Bg&s=19
গত বছর আমরাও বন্ধুরা মিলে বনগাঁ উৎসব ঘুরতে গিয়েছিলাম দিদি। গত বছর কিন্তু প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় ছিল। তবে এই বছর ভিড় না হওয়ার প্রধান কারণ হলো ভয়াবহ গরম। যাইহোক দিদি, আমিও গত বছর গিয়ে দেখেছিলাম, এখানে কম দামে খুব ভালো ভালো জিনিস পাওয়া যায়। তুমি যেহেতু তোমার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছো, তার মনে অনেক মজা করেছো নিশ্চয়ই। যদিও আগের বছরও এখানে খাবারের দোকান খুব কম ছিল। তবে বিভিন্ন ধরনের রাইড গুলো বেশি ছিল আগের বছর।
হ্যাঁ ভাই,প্রচন্ড পরিমাণে গরমের কারণেই হয়তো এবছর ভিড় টা একটু কম ছিল। আপনিও দেখছি তাহলে গত বছর এই মেলায় ঘুরতে এসেছিলেন। যাইহোক, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে যাই দিদি আপনাদের ঐদিকে মেলা হলে ঘুরতে।