|| লাইফ স্টাইল : কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গাপূজা ||

in আমার বাংলা ব্লগ19 days ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

এই বছর দুর্গাপূজাতে ভিড়টা একটু বেশিই ছিল। তবে আমার কাছে ভিড় খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। কারণ প্রিয় মানুষটার হাত ধরে এরকম দুর্গাপুজো দেখার মজাই আলাদা ছিল। আমরা খুব সম্ভবত বিকালের দিকে দুর্গাপূজা দেখতে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছালাম। কারণ ওখান থেকেই ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং তারপর কলেজ স্কয়ারের পূজো দেখার বায়না। কিন্তু সমস্যাটা হয়ে গেল সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের সামনে গিয়ে। আসলে সন্তোষ মিত্র স্কয়ার এই বছর রাম মন্দির বানিয়েছিল আর সেই কারণেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর লোক এখানে এসে সমাগম ঘটিয়েছিল। মোটামুটি শিয়ালদা স্টেশন থেকে বেরিয়েই লাইন লেগে যায়। তারপর সেই মন্দির অব্দি পৌঁছাতে প্রায় ঘন্টা দুই এর মতো লেগে গেছিল আমাদের। এজন্য কলেজের স্কয়ার এর পূজা মন্ডপে যেতে আমাদের অনেকটা সময় লেগে যায়।

InShot_20240411_201458381.jpg

যেহেতু আমরা এই দুটো পুজো মন্ডপ দেখার টার্গেট নিয়ে বেরিয়েছিলাম, এজন্য যে করেই হোক এই দুটো দেখে বাড়ি যেতে হবে সেই টার্গেট নিয়ে মোটামুটি আমরা সন্তোষ মিত্র স্কয়ার এর পূজো দেখে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম। কিন্তু কলেজের স্কয়ার যাওয়ার বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে মোটামুটি রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর পুলিশের থেকে শুনে শুনে সেখানে পৌঁছাতে প্রায় আমাদের আরো আধা ঘন্টা সময় লেগে যায়। এরপর শুরু হয় আসল আসল কাহিনী। এখানেও এত পরিমাণে ভিড় ছিল সেটা হয়তো আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন। আমরা প্রায় কয়েক হাজার লোকের পিছনে ছিলাম। এদিকে মন্দিরের ভিতরটা অনেকটাই সরু ছিল এজন্য খুব কম কম করে মানুষ ভেতরে ঢোকাচ্ছিল। এইবার কলেজ স্কয়ার তাদের পুজোর থিম হিসেবে বেনারসের কোন একটা মন্দিরের আদলে তৈরি করেছিল। দূর থেকে দেখতে ভালো লাগলেও ভিতরের ডেকোরেশন টা আমার কাছে খুব বেশি একটা ভালো মনে হয়নি।

20231019_194201.jpg

20231019_193044.jpg

কিন্তু চোখ আটকে গিয়েছিল মায়ের মুখটা দেখে। এত সুন্দর করে মায়ের মূর্তিটা বানানো হয়েছিল যেটা হয়তো আপনারা দেখলেই বুঝতে পারছেন। তবে ভেতরের সিকিউরিটি অনেক টাইট ছিল এজন্য পুলিশ আমাদের দ্রুত তাড়া দিচ্ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। আমি তো বেশ কয়েকটা ফটো সুন্দর করে তুলতে পেরেছিলাম। কিন্তু কিছু কিছু ফটো আবার অনেকটা ঘোলা হয়ে গেছে এজন্য সেগুলো শেয়ার করা হয়নি। আসলে মন্দিরের ভেতরের কাঠামোটা অনেকটাই নরমাল টাইপের ছিল। বাইরে থেকে দেখতে অনেকটা জাকজমকপূর্ণ মনে হলেও ভেতরে এসে তার কিছুও আমি খুঁজে পাইনি। তবে তার থেকে ভালো লেগেছিল এই কলেজের স্কয়ার মোড়ের পাশে একটা বড় মেলা দেখে। এই মেলাটা অনেক বড় এবং সাজানো-গোছানো ছিল।

20231019_193124.jpg

20231019_193130.jpg

এরপর মন্দির থেকে আমরা বেরিয়ে সেই মেলার ভেতর বেশ কিছু সময় আড্ডা দিলাম এবং টুকটাক কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম। এরপর তো আমাদের বাড়ি চলে আসার পালা ছিল। কিন্তু তারপর আমরা ভাবছিলাম যে আরো কয়েকটা মন্দির ঘুরে দেখা যায় কিনা। তবে আমাদের হাতে তেমন বেশি সময় ছিল না। এদিকে ট্রেন ধরতে হবে তারপর আবার আমাকে বাড়ি আসতে হবে। তাই মোটামুটি রাত দশটা বাজার আগেই আমরা যে যার ঘরে ঢুকে গেলাম। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা মোটামুটি বেশ ভালই ছিল। তবে প্রচন্ড ভিড় থাকার কারণে একটু কষ্ট হয়েছিল। তারপরও যতটা পেরেছিলাম আনন্দ করার চেষ্টা করেছিলাম আর কি।

20231019_194120.jpg

20231019_194149.jpg

20231019_194158.jpg


পোস্ট বিবরণজেনারেল রাইটিং

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 19 days ago 

প্রথমে আপনাকে জানাই আপু, ঈদ মোবারক। কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গা পূজাতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পূজায় দেখছি অনেক লোকের সমাগম হয়েছে‌ ফটোগ্রাফি গুলো খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিভিন্ন রকমের প্রতিমা দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 15 days ago 

ঈদ মোবারক ভাই,আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন রইল। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 18 days ago 

প্রিয় মানুষের হাত ধরে ঠাকুর দেখার মূহুর্ত গুলো সবার খুব ভালো কাটে ৷ যেমনটা তোমার হয়েছে দিদি ৷ তবে দিদি আপনাদের দেশের পুজো মানে অসাধারণ আয়োজন ৷ ডেগারেশন পুজোর থিম সবমিলে জাষ্ট ওয়াও ৷ দুরের থেকে ছবিতে দেখতে যা লাগছে ৷ আর মানুষ ও দেখি অনেক হয়েছে ৷ যা হোক ভালো লাগলো দিদি প্রিয় মানুষের হাত ধরে কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গাপূজা দেখার মূহুর্ত টা শেয়ার করার জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

 15 days ago 

হ্যাঁ ভাই, আমাদের দেশের পুজো মানে অসাধারণ একটা আয়োজন করা হয়। চারিদিকে বিভিন্ন রকমের থিমের আয়োজন করা হয়। আর সব সময় এরকম ভিড় হয়ে থাকে পুজোর প্রত্যেকটা দিনে।

Posted using SteemPro Mobile

 18 days ago 

কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গাপূজায় দেখছি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন৷ এখানে সকালে মিলে খুব ভালোভাবেই আনন্দ উদযাপন করেছেন৷ তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

 15 days ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে,সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 14 days ago 

আপনাকে সুস্বাগতম এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

এই বছর কলকাতায় গিয়ে সন্তোষ মিত্র স্কয়ার এর পুজো মন্ডপ দেখার পর আমি নিজেও কলেজ স্কয়ারের পুজো মন্ডপ দেখতে গিয়েছিলাম। তবে আমার কাছেও আসলে বাইরের প্যান্ডেলটা সুন্দর লাগলেও ভেতরে গিয়ে খুব বেশি একটা ভালো লাগেনি। আমরা যখন গেছিলাম তখনও খুব ভিড় ছিল, সেই কারণেই প্রধানত বিরক্তিকর লাগছিল গিয়ে। তবে মায়ের মুখটা দেখার পর একটু শান্তি হয়েছিল। তাছাড়া মন্ডপের পিছনে যে মেলা বসেছিল, ওখানেও আমি গেছিলাম।

 15 days ago 

ঠিকই বলেছেন ভাই,বাইরে থেকে প্যান্ডেলটা দেখতে যতটা সুন্দর লাগছিল ভেতর থেকে আসলে ততটা সুন্দর ছিল না। আর প্রচন্ড ভিড়ের কারণে আসলেই অস্বস্তি লাগছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 15 days ago 

আর প্রচন্ড ভিড়ের কারণে আসলেই অস্বস্তি লাগছিল।

এই ব্যাপারটা কলকাতার সব পুজোতেই হয়ে থাকে দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 59120.07
ETH 2921.92
USDT 1.00
SBD 3.79