|| লাইফ স্টাইল : কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গাপূজা ||
নমস্কার বন্ধুরা
এই বছর দুর্গাপূজাতে ভিড়টা একটু বেশিই ছিল। তবে আমার কাছে ভিড় খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। কারণ প্রিয় মানুষটার হাত ধরে এরকম দুর্গাপুজো দেখার মজাই আলাদা ছিল। আমরা খুব সম্ভবত বিকালের দিকে দুর্গাপূজা দেখতে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছালাম। কারণ ওখান থেকেই ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং তারপর কলেজ স্কয়ারের পূজো দেখার বায়না। কিন্তু সমস্যাটা হয়ে গেল সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের সামনে গিয়ে। আসলে সন্তোষ মিত্র স্কয়ার এই বছর রাম মন্দির বানিয়েছিল আর সেই কারণেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর লোক এখানে এসে সমাগম ঘটিয়েছিল। মোটামুটি শিয়ালদা স্টেশন থেকে বেরিয়েই লাইন লেগে যায়। তারপর সেই মন্দির অব্দি পৌঁছাতে প্রায় ঘন্টা দুই এর মতো লেগে গেছিল আমাদের। এজন্য কলেজের স্কয়ার এর পূজা মন্ডপে যেতে আমাদের অনেকটা সময় লেগে যায়।
যেহেতু আমরা এই দুটো পুজো মন্ডপ দেখার টার্গেট নিয়ে বেরিয়েছিলাম, এজন্য যে করেই হোক এই দুটো দেখে বাড়ি যেতে হবে সেই টার্গেট নিয়ে মোটামুটি আমরা সন্তোষ মিত্র স্কয়ার এর পূজো দেখে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম। কিন্তু কলেজের স্কয়ার যাওয়ার বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে মোটামুটি রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর পুলিশের থেকে শুনে শুনে সেখানে পৌঁছাতে প্রায় আমাদের আরো আধা ঘন্টা সময় লেগে যায়। এরপর শুরু হয় আসল আসল কাহিনী। এখানেও এত পরিমাণে ভিড় ছিল সেটা হয়তো আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন। আমরা প্রায় কয়েক হাজার লোকের পিছনে ছিলাম। এদিকে মন্দিরের ভিতরটা অনেকটাই সরু ছিল এজন্য খুব কম কম করে মানুষ ভেতরে ঢোকাচ্ছিল। এইবার কলেজ স্কয়ার তাদের পুজোর থিম হিসেবে বেনারসের কোন একটা মন্দিরের আদলে তৈরি করেছিল। দূর থেকে দেখতে ভালো লাগলেও ভিতরের ডেকোরেশন টা আমার কাছে খুব বেশি একটা ভালো মনে হয়নি।
কিন্তু চোখ আটকে গিয়েছিল মায়ের মুখটা দেখে। এত সুন্দর করে মায়ের মূর্তিটা বানানো হয়েছিল যেটা হয়তো আপনারা দেখলেই বুঝতে পারছেন। তবে ভেতরের সিকিউরিটি অনেক টাইট ছিল এজন্য পুলিশ আমাদের দ্রুত তাড়া দিচ্ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। আমি তো বেশ কয়েকটা ফটো সুন্দর করে তুলতে পেরেছিলাম। কিন্তু কিছু কিছু ফটো আবার অনেকটা ঘোলা হয়ে গেছে এজন্য সেগুলো শেয়ার করা হয়নি। আসলে মন্দিরের ভেতরের কাঠামোটা অনেকটাই নরমাল টাইপের ছিল। বাইরে থেকে দেখতে অনেকটা জাকজমকপূর্ণ মনে হলেও ভেতরে এসে তার কিছুও আমি খুঁজে পাইনি। তবে তার থেকে ভালো লেগেছিল এই কলেজের স্কয়ার মোড়ের পাশে একটা বড় মেলা দেখে। এই মেলাটা অনেক বড় এবং সাজানো-গোছানো ছিল।
এরপর মন্দির থেকে আমরা বেরিয়ে সেই মেলার ভেতর বেশ কিছু সময় আড্ডা দিলাম এবং টুকটাক কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম। এরপর তো আমাদের বাড়ি চলে আসার পালা ছিল। কিন্তু তারপর আমরা ভাবছিলাম যে আরো কয়েকটা মন্দির ঘুরে দেখা যায় কিনা। তবে আমাদের হাতে তেমন বেশি সময় ছিল না। এদিকে ট্রেন ধরতে হবে তারপর আবার আমাকে বাড়ি আসতে হবে। তাই মোটামুটি রাত দশটা বাজার আগেই আমরা যে যার ঘরে ঢুকে গেলাম। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা মোটামুটি বেশ ভালই ছিল। তবে প্রচন্ড ভিড় থাকার কারণে একটু কষ্ট হয়েছিল। তারপরও যতটা পেরেছিলাম আনন্দ করার চেষ্টা করেছিলাম আর কি।
পোস্ট বিবরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1778461293223231645?t=EoJO7fMXKgaUxTjATbtpqQ&s=19
প্রথমে আপনাকে জানাই আপু, ঈদ মোবারক। কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গা পূজাতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পূজায় দেখছি অনেক লোকের সমাগম হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিভিন্ন রকমের প্রতিমা দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঈদ মোবারক ভাই,আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন রইল। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় মানুষের হাত ধরে ঠাকুর দেখার মূহুর্ত গুলো সবার খুব ভালো কাটে ৷ যেমনটা তোমার হয়েছে দিদি ৷ তবে দিদি আপনাদের দেশের পুজো মানে অসাধারণ আয়োজন ৷ ডেগারেশন পুজোর থিম সবমিলে জাষ্ট ওয়াও ৷ দুরের থেকে ছবিতে দেখতে যা লাগছে ৷ আর মানুষ ও দেখি অনেক হয়েছে ৷ যা হোক ভালো লাগলো দিদি প্রিয় মানুষের হাত ধরে কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গাপূজা দেখার মূহুর্ত টা শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ ভাই, আমাদের দেশের পুজো মানে অসাধারণ একটা আয়োজন করা হয়। চারিদিকে বিভিন্ন রকমের থিমের আয়োজন করা হয়। আর সব সময় এরকম ভিড় হয়ে থাকে পুজোর প্রত্যেকটা দিনে।
কলকাতা কলেজ স্কয়ারের দুর্গাপূজায় দেখছি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন৷ এখানে সকালে মিলে খুব ভালোভাবেই আনন্দ উদযাপন করেছেন৷ তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে,সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকে সুস্বাগতম এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই বছর কলকাতায় গিয়ে সন্তোষ মিত্র স্কয়ার এর পুজো মন্ডপ দেখার পর আমি নিজেও কলেজ স্কয়ারের পুজো মন্ডপ দেখতে গিয়েছিলাম। তবে আমার কাছেও আসলে বাইরের প্যান্ডেলটা সুন্দর লাগলেও ভেতরে গিয়ে খুব বেশি একটা ভালো লাগেনি। আমরা যখন গেছিলাম তখনও খুব ভিড় ছিল, সেই কারণেই প্রধানত বিরক্তিকর লাগছিল গিয়ে। তবে মায়ের মুখটা দেখার পর একটু শান্তি হয়েছিল। তাছাড়া মন্ডপের পিছনে যে মেলা বসেছিল, ওখানেও আমি গেছিলাম।
ঠিকই বলেছেন ভাই,বাইরে থেকে প্যান্ডেলটা দেখতে যতটা সুন্দর লাগছিল ভেতর থেকে আসলে ততটা সুন্দর ছিল না। আর প্রচন্ড ভিড়ের কারণে আসলেই অস্বস্তি লাগছিল।
এই ব্যাপারটা কলকাতার সব পুজোতেই হয়ে থাকে দিদি।